বিরক্তিকর ভোট প্রচার

in আমার বাংলা ব্লগlast month

1000027603.jpg
source

এই অসহ্য বিরক্তিকর শব্দদূষণ ভোট প্রচারের ব্যাধিতে, শুধু কি আমি একাই অতিষ্ঠ নাকি আপনারাও ! যদিও এটা আমার সঠিক জানা নেই ! হয়তো সবাই মুখ ফুটে এই ব্যাপারে কথা বলতে চাইবে না, কেননা নীতিকথা ও মানবিকতার মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে যারা প্রতিনিয়ত নাড়াচাড়া করেন, তারাই তো এই সব কাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

এমনিতেই অসহ্য গরম, তার ভিতরে যখন পড়ন্ত বেলায় বাসার ভিতরে শুয়ে আছি, তখন মুহূর্তেই বাসার সামনের গলির ভিতরে কমপক্ষে বিশ থেকে ত্রিশটার মতো মোটরসাইকেল সিরিয়াল ধরে ঢুকে গিয়েছিল। অনেকের হাতেই হ্যান্ডমাইক ছিল, ক্রমান্বয়ে শুধুমাত্র আমার ভাই-তোমার ভাই, অমুক মার্কা-তমুক মার্কা বলে, চিৎকার চেঁচামেচি করছিল।

তন্দ্রায় থাকা অবস্থাতেই সবাই যেন একদম ঝাঁপ দিয়ে উঠে পড়েছিলাম, ভয়ে বড্ড কুঁকড়ে গিয়েছিল আমার ছোট্ট বাবুটা। এতো বীভৎস চিৎকার চেঁচামেচি, কোনভাবেই যেন মানিয়ে নিতে পারছিলাম না। আসলে তারা কি প্রচার করছে, সেটাও তো ঠিকমত বোঝা যাচ্ছিল না। অতিরিক্ত শব্দ দূষণে পরিবেশটা যেন একদম অস্থির হয়ে উঠেছিল।

আচ্ছা, এই অবস্থা শুধু কি আমার এখানেই হচ্ছে নাকি আশেপাশে সর্বত্র একই অবস্থা ! বড্ড বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম, এই পড়ন্ত বেলায়। এতো নির্মম ও পৈশাচিক ভাবে মানসিক অত্যাচার করার কি মানে হয় ! এটা কি কোন সুস্থ নিয়মকানুনের ভিতরে পড়ে !

পুরো শহর জুড়ে একদম অলিতে-গলিতে পোস্টার-ফেস্টুন,ব্যানার টানিয়ে ভরে ফেলেছে, গাছে পেরেক ঢুকিয়ে গাছগুলোর অবস্থা নাস্তানাবুদ করেছে বহু আগেই, এখন লেগে পড়েছে বিরক্তিকর মাইকিং আর মোটরসাইকেলে চড়ে অতিরিক্ত শব্দ দূষণ করে, সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করার লক্ষ্যে !

যেখানে ডিজিটাল যুগ বলে, সবাই মুখে ফেনা তুলে ফেলেছে, তবে বাস্তবে সবার কার্যক্রম দেখলে মনে হয়, এখনো সেই সেঁধানো নিয়মকানুনেই সবাই আটকে আছে।

আচ্ছা, প্রচার-প্রচারণা কি ডিজিটাল মাধ্যমে করা যায় না ! মুঠোফোনের সিম কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তো, খুব সহজে সকলের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব ! আসলে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা করার যদি সদিচ্ছা থাকে, তাহলে নানারকম পথ এমনিতেই বের করা যায় !

আমি সত্যিই বড্ড বিরক্ত কিংবা অতিষ্ঠ বলতে পারেন, এই জঘন্য ভোট প্রচারের কারণে। আমি নিজেই লজ্জিত হয়ে গিয়েছি, এই সকল তথাকথিত জনপ্রতিনিধিদের আচার আচরণ দেখে ! তাদের মানসিকতা আমাকে বড্ড ভাবিয়ে তুলেছে !

যেহেতু আমি স্বাধীন দেশের নাগরিক, মতামত প্রকাশ করার অধিকার আমার আছে কিংবা ভোট প্রদান করা, নাগরিক হিসেবে দায়িত্বের ভিতরে পড়ে, তাই আমি চেষ্টা করব আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার জন্য।

তবে এতকিছুর পরেও প্রশ্ন থেকেই যায়, এভাবে আর যাইহোক, দয়াকরে সাধারণ জনগণকে ভোট প্রচার-প্রচারণার নামে অতিরিক্ত শব্দদূষণ করে, তাদের জীবন বিষিয়ে তোলা থেকে বিরত থাকুন।

ভুল-ত্রুটি মার্জনীয়
ধন্যবাদ।

1000020537.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 last month 

আরো কয়েকদিন এই বিরক্তিকর শব্দ দূষণ সহ্য করতে হবে আমাদের সকলের।বাবুর জন্য বেশ খারাপ লাগলো ।ছোটদের জন্য এই শব্দদূষণ অনেকটা ক্ষতিকর।রাস্তা সাইডে বাসা হলে এগুলো আসলেই সহ্য করা ছাড়া কিছু করার থাকেনা।আমাদের বাসার আশেপাশে খুব একটা প্রচার হচ্ছেনা হঠাৎ হঠাৎ আরকি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 last month 

হঠাৎই দুপুর বেলা এমন ভাবে ভয় পেয়েছিলাম, তা বলে বোঝাতে পারবো না।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

এত যন্ত্রণা সহ্য করা যায়?। আমার মত কিন্তু একদম ভিন্ন। যেখানে সিলেকশন হয়ে থাকে আগের থেকে সেখানে আর আমার ভাই তোমার ভাই করার কি দরকার। শুধু শুধু মানুষ কে কষ্ট দেওয়া ছাড়া আর কিছুই না। আল্লাহ্ এদের কে হেদায়েত করেন।

 last month 

সকলের মানসিক সুস্থতা বড্ড জরুরী, আপু।

 last month 

ভাইয়া এই ভুক্তভোগী আমরা নিজেও।কান মাথা একদম অতিষ্ঠ করে ফেললো এরা শুরুতেই এদের অনিয়ম দিয়ে তাহলে এরা নেতা হলে মানুষের পাশে কিভাবে থাকবে।রাস্তা বুকিং করে প্রচারনা।রাত ৯-১০ টাই মানুষর বাড়ির গেটে ডেকে ডেকে ভোট চাওয়া আর মাইকিং এর তো আছেই একদম অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম।

 last month 

আমি নিজেও ভুক্তভোগী ভাই, একদম মাথা কান সব ব্যথা ধরে আছে, বিশ্রী একটা অবস্থা।

 last month 

আজকে আপনি সমপযোগি একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। আসলে বর্তমান সময়ে ভোটের প্রচার‌ গুলো একদম বাজে পদ্ধতি অবলম্বন করে করা হচ্ছে।এটা আমাদের জন্য খুবই বিরক্তিকর। আমাদের উপজেলার মধ্যে আপনাদের এলাকার বাজে সাউন্ড দিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা করছে। আসলে তারা চাইলে সুষ্ঠু পদ্ধতি অবলম্বন করে ভোটের প্রচার‌ করতে পারবে।

 last month 

বর্তমান সময়ে এসে এমন প্রচার প্রচারণা সত্যিই হাস্যকর ও লজ্জাজনক।

 last month 

ভাই আজকে আপনি যে কথাগুলো লিখেছেন এই কথাগুলো আমাদের প্রত্যেকটা মানুষেরই মনের কথা। কারণ নির্বাচন আসলেই প্রত্যেকটা এলাকায় এমনভাবে প্রচার করা হয়, মানুষ যেন একদম বিরক্ত হয়ে যায়। আমাদের বাসার পাশেই এবার নির্বাচনের প্রচার আরম্ভ শুরু করে দিয়েছে। আর বাসাতে যেন থাকা যাচ্ছে না। সব সময় বক্সের শব্দ, এই মোটরসাইকেল যাচ্ছে ও মোটরসাইকেল যাচ্ছে। কি যে এক অবস্থা শুরু হয়েছে। জীবন যেন একদম অতিষ্ঠ করে ফেলেছে।

 last month 

আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছি, মানুষের এমন কার্যকলাপ দেখে।

 last month 

বর্তমান সময়ের একদম বাস্তবিক একটা কথা আপনি তুলে ধরেছেন ভাইয়া। একদম অসহ্য ,বিরক্তি কর, এবং ঘৃণিত একটি কাজ এই ভোট প্রচার বলে মনে করি আমি। একদম শান্তিতে থাকা যাচ্ছে না এদের মাইকিং এর কারণে। বলে বোঝাতে পারবো না কতটা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। যেমন আপনাদের ক্ষেত্রেও হয়েছে। আমার এলাকাতেও ঠিক এমনটাই ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু আমরা নিরুপায়। তাই সবকিছু সহ্য করে যেতে হচ্ছে কারণ আমরা সবাই ভুক্তভোগী।

 last month 

এসবের প্রতিকার দরকার এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত, নিজ নিজ জায়গা থেকে।

 last month 

সব জায়গাতে একি অবস্থা। ভোটের সময় একদম অসহ্যকর হয়ে যায়। কারণ চারদিকে এত শব্দ আর এইভাবে প্রচার ও শুরু হয় খুবই বিরক্ত লাগে। আপনার কথাগুলো যেন আমার মনের কথা ভাইয়া। আসলে ভোটের সময় বেশি বেশি করা হয়।এত শব্দ দূষণ না করলেও পারতো।

 last month 

সমসাময়িক অবস্থায়, এইসব কার্যকলাপ দেখে, আমি নিজেই বেশ হতাশ ও অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছি।

 last month 

শব্দদূষণ আমাদের জন্য কতটা ক্ষতিকর এটা আসলে তারা বুঝতে পারে না। তাদের ভোট প্রচারের পদ্ধতি আমার কাছেও ভালো লাগে না ভাইয়া। আমিও অনেক বিরক্ত। আপনার প্রত্যেকটি কথার সাথে সহমত পোষণ করছি ভাইয়া। সমসাময়িক বিষয় বিবেচনা করে বেশ ভালো লিখেছেন আপনি।

 last month 

এখন কিসের নির্বাচন হচ্ছে ভাইয়া?? আসলে নির্বাচন আসলে শব্দদূষণে অবস্থা খারাপ! একেক সময় একেক জনের প্রচারণা চলে মাইক দিয়ে! এলাকার মানুষ শান্তিতে ঘুমতো পারে না। যারা হার্টের রোগী তাদের অবস্থাটা হয় আরও ভয়াবহ! ছোট বাচ্চারা তো ঘুমের মাঝেই কেঁদে। প্রচারের নামে যেভাবে মানসিক অত্যাচার চালায় সেটা আসলে আমাদের মতো নীরিহ পাবলিকদের সহ্য করতে হয়। এটা হয়তো যুগের পর যুগ চলবে!! এমন প্রচারণী ব্যবস্থা বয়কট হলে ভালো হতো।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.12
JST 0.028
BTC 63633.54
ETH 3477.74
USDT 1.00
SBD 2.54