ছিঁচকে চোর
সেদিন মামির বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম, গিয়ে দেখি সন্ধ্যেবেলাতেই ঘরের সব দরজা জানালা বেশ শক্তভাবে লাগিয়ে রেখেছে। মানে স্বাভাবিকভাবে যেভাবে দরজা জানালা লাগিয়ে রাখে, ঠিক এই সময়ে এসে দেখি তার উল্টো অর্থাৎ গ্রিলের সঙ্গে দড়ি দিয়ে জানালাগুলোকে আরো শক্ত করে বেঁধে রেখেছে।
মূলত সেদিন ইফতার উপলক্ষে আমরা মামির বাসায় গিয়েছিলাম, তবে যাওয়ার পরে এই অবস্থা দেখে মামিকে বলেই ফেললাম ঘটনা কি, তারপর যা শুনলাম, তা শুনে অনেকটাই ব্যথিত হয়ে গিয়েছি।
একটানা দুদিন মামির বাসায় চুরি হয়েছে, তাও সেটা দুপুরবেলা আর তারাবির নামাজের সময়। অর্থাৎ যখন বাসায় কেউ থাকেনা ঠিক সেই সময়েই এ ঘটনাগুলো ঘটে। দুপুরবেলা সবাই ঘুমিয়ে গিয়েছিল আর তারাবির নামাজের সময় সবাই মসজিদে। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে এলাকার কিছু ছিঁচকে চোর।
এমনটা যে শুধুমাত্র আমার মামির বাসায় হয়েছে তা না, বলতে গেলে এলাকার প্রায় বাসাতেই একই অবস্থা। ছিঁচকে চোর গুলোর অত্যাচারে এলাকাবাসী যেন একদম অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কই রমজান মাসে সারাদিন একটু রোজা রাখার পরে সবাই পরিবার নিয়ে আরাম আয়েশ করবে, তবে দিন দিন ঘটনা এতটাই সাংঘাতিক হয়ে যাচ্ছে, কোনভাবেই যেন এদের প্রতিহত করা যাচ্ছে না।
এরা বাসা বাড়ির বাহিরের লাইট খুলে নেয় কিংবা বারান্দার গ্রিল কাটে কিংবা জুতা স্যান্ডেল যা পায় তাই নিয়ে চলে যায়। আর যদি কোন অবস্থাতে বুঝতে পারে বাসায় কেউ নেই, তাহলে পুরো বাসা ওদের দখলে। খুব ঠান্ডা মেজাজে সময় নিয়ে মন মত চুরি করে ।
আসলে উঠতি বয়সী যে সকল ছেলেরা হঠাৎই মাদকাসক্ত হয়ে গিয়েছে, মূলত তারা এই ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে। তাছাড়া টোকাই গুলো তো আছেই।
যদিও সচেতন মহল থেকে এখন কঠোরভাবে এসব দমন করার জন্য সবাই প্রস্তুত হয়ে আছে, তবে তারপরেও এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা টুকটাক ঘটেই যাচ্ছে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
খুবই খারাপ লাগলো ভাইয়া। আসলে এখন যে দিনকাল হয়েছে সব মিলিয়ে যেন হযবরল অবস্থা। চুরি , ডাকাতি , ছিনতাই আবার ২ দিন পরপর আগুন লেগে যাওয়া। পুরো যা তা অবস্থা। আর হ্যা , ঠিক বলেছেন ভাইয়া , মূলত মাদকাসক্ত উর্ধবয়সী কিশোররাই এখন ছিনতাই , চুরি, ডাকাতি বেশি করছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। আসলে ভাইয়া এমন ছিঁচকে চোর দমন করা অনেক জরুরি। এই যুবক ছেলেগুলো নেশা করে সুযোগ পেলে চুরি করে বেড়ায়।যাইহোক সচেতন মহল থেকে এখন দমন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শুভ দা আপনার এ ঘটনা পরে অবাকই হলাম৷আমাদের গ্রামে এমন ঘটনা ৷ দিন দুপুরে ঘড় থেকে চুরি আবার চরের দল কি করতেছে খাবার লবনে ঘুমের মেডিসিন দিচ্ছে যাতে ঘুমিয়ে থাকে এই হলো অবস্থা ৷ আপনার মামার বাসায় দেখি একি অবস্থা ৷ তবে এটা ঠিক বলেছেন যে আসলে উঠতি বয়সী যে সকল ছেলেরা হঠাৎই মাদকাসক্ত হয়ে গিয়েছে, তারাই এ কাজের সাথে অতপ্রত ভাবে জড়িত ৷
কয়েকদিন আগে কুষ্টিয়াতে আমার এক আত্নীয়ের বাসায় পুকুর চুরি হয়েছে বলা যায়। রাতে বাসায় কেউ ছিল না। সবাই মিলে ঢাকাতে গিয়েছিল ছেলের বাসায় বেড়াতে। সকালে প্রতিবেশী আবিষ্কার করে যে গেট খোলা। পরে দেখা যায় বাসাবাড়ির দামি দামি জিনিস সব গায়েব।
দেশের সার্বিক অবস্থা খুবই হতাশাজনক!
আপনার আত্মীয়ের ব্যাপারটা জেনে বেশ ব্যথিত হলাম, ভাই।
উপরের কথা গুলো একদমই ঠিক বলেছেন ভাইয়া। ছিঁচকে চোর যদিও অনেক দিন ছিলো না মাঝখানে। তবে এখন অনেক ছেলেরা মাদক গ্রহন করতে না পারলে বিভিন্ন ধরণের জিনিস চুরি করে। সেই টাকা নিয়ে নেশা করে। তবে বর্তমানে সমাজের খুব খারাপ অবস্থা। তবে এসব থেকে মুক্তি পেলে বেশ ভালো লাগতো। তবে আপনার পোস্ট পরে অনেকেই সতর্কতা অবলম্বন করবে আশাকরি। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন ভাইয়া।
এমন সময় সচেতনতা বাড়াতে হবে, তার বাইরে আর কিছুই করার নেই।
ঘটনাটি পড়ে খুব বেশি খারাপ লাগলো ভাইয়া।এক দিকে চলছে বাজারে দ্রব্য মূল্যের দামের ঊর্ধবতী হওয়া আবার অপরদিকে বাসা বাড়িতে চলছে চোরদের কঠিন উপদ্রব। এরকম হলে জনগণ কিভাবে নিজেকে শান্তিতে একটু সময় দিবে।আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া উঠতি বয়সী ছেলেদের মাদকাসক্তির ফলে এই জাতীয় ঘটনা গুলি বেশির ভাগ সময় ঘটে চলেছে।আশা করি উপর মহল যেনো এই উপদ্রপ থেকে আপনার মামীর এলাকায় তদারকি অভিযান চালিয়ে এসব দমন করেন।
ছিঁচকে চোর কথাটা শুনলে হাসি আটকানো মুশকিল হয়ে যায়। তবে এটা সত্যি ভাই মাঝে মাঝে এদের কাজ কারবার দেখলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখা যায় না। যেসব এলাকায় কিশোর গ্যাং অথবা কিশোর মাদকাসক্তের পরিমাণ বেশি সেসব এলাকায় এসব ছিঁচকে ছুড়ি বেশি হয়।
আপনার কথায় যুক্তি আছে ভাই, মূলত কিশোর গ্যাং থেকেই এমন ঘটনা ঘটছে।
যখন সবাই দুপুরে ঘুমিয়ে যায় কিংবা তারাবির নামাজ পড়তে যায় তখন চোর এসে চুরি করে ।বিষয়টা পড়ে বুঝতে পারলাম চোরের আসলেই অনেক জ্বালাতন। টানা তিন দিন আপনার মামাদের বাসায় চুরি করেছে। এমন হলে তো বাড়ি পাহারা দিয়ে বসে থাকতে হবে ।রমজান মাসেও চোর চুরি করছে মানুষের আর কোন বিবেক নেই। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
মানুষের বিবেক তো অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে আপু।
আসলেই ভাই ছিঁচকে চোরের উপদ্রব কমবেশি সব জায়গায় বেড়েছে। আমাদের এলাকার বিভিন্ন মসজিদে গত সপ্তাহের জুম্মার নামাজের সময়, মসজিদের হুজুরেরাও এই ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করেছে। সম্ভব হলে সবাইকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে বলেছে। মূলত যারা মাদকাসক্ত, তারাই এই কাজগুলো বেশি করছে। এই মুহূর্তে সচেতনতা বৃদ্ধি করা ছাড়া তেমন কোনো উপায় নেই আমাদের। যাইহোক সচেতনতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে যাক সর্বত্র, এই প্রত্যাশায় ব্যক্ত করছি।