ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবুন
এখনই যে গরম পড়েছে তাতেই যে নাজেহাল অবস্থা , ভাবছি সামনের দিনগুলোতে আরো না জানি কি অপেক্ষা করছে। দিন যত গড়িয়ে যাচ্ছে, ততই যেন তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যদিও এই কয়টা দিন গ্রামে ছিলাম দেখে ব্যাপারটা সেভাবে আন্দাজ করতে পারিনি, তবে আজ শহরে ফেরার পর থেকেই মনে হচ্ছিল যেন তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছিল নিজের ভিতরটা। কোনভাবেই যেন প্রশান্তি পাচ্ছিলাম না। যদিও রুমের ভিতরে বৈদ্যুতিক পাখা ঘুরছিল, তবে মনে হচ্ছিল সেখান থেকে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে।
এই ইট পাথরের শহরে প্রাকৃতিক পরিবেশের অবস্থা বড্ড নাজুক। কোন কিছুই যেন পরিকল্পিত নয়, যে যেভাবে পেরেছে সেভাবেই যেন উঁচু উঁচু দালানকোঠা গড়ে তুলেছে। নিয়মকানুন বলে যে কোন বিষয় থাকে, সেসবের কোন কিছুর কেউ তোয়াক্কা করেনি। আমি মাঝে মাঝে ভাবি, আমাদের ছোট শহরের যদি এই অবস্থা হয়, না জানি বড় শহরগুলোর আরও কি অবস্থা।
এখন থেকে বছর বিশেক আগেও আমাদের এই ছোট শহরের এমন অবস্থা ছিল না। বলতে গেলে তখনও, প্রাকৃতিক পরিবেশের অবস্থা মোটামুটি কিছুটা ভালো ছিল। তবে মুহূর্তেই যেন সব কিছুর পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে । এ পরিবর্তন যে খুব একটা সুখকর হয়েছে তেমনটা না বরং দিন দিন আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বড্ড বিপদের সম্মুখে ফেলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।
এই যে আজ, পরিবেশ প্রকৃতি বড্ড ভারসাম্যহীনতায় ভুগছে এর জন্য কারা দায়ী জানেন, এক কথায় আমাদের মত মানুষরা। যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ক্রমাগত পরিবেশ প্রকৃতির উপরে নির্যাতন করে গিয়েছে। প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতা নিয়ে বিভিন্নভাবে গাছ কেটে শেষ করে দিয়েছে, ক্রমাগত নদী থেকে বালু উত্তোলন করে নদীকে মৃত বানিয়ে ফেলেছে, পাহাড় কেটে নিঃশেষ করেছে কিংবা যত্রতত্র ইটভাটা বানিয়ে বায়ু দূষিত করে ফেলেছে। তাছাড়া তো আরো অনেক কারণ আছেই।
বড্ড গরমে আজ যখন হাঁসফাঁস করছিলাম, তখন ভাবছিলাম এ থেকে কিভাবে প্রতিকার মিলবে। কেননা এমনটা চলতে থাকলে, যে গতিতে পৃথিবীর বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে হয়তো আগামী প্রজন্মের জন্য সামনে বড্ড ভয়াবহ কিছু অপেক্ষা করছে।
আমি ছোট মানুষ, তবে যতটুকু বুঝি যখন দেয়ালে পিঠ থেকে যায়, তখন নিজের থেকেই একটু অগ্রসর হতে হয়। কেননা আমার মতো ভুক্তভোগী আরও অনেকেই। এটা সত্য, এই বিষিয়ে ওঠা পরিবেশ প্রকৃতি চাইলেই রাতারাতি পরিবর্তন করা সম্ভব না, তবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যদি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাবে সবাই পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে হয়তো, একটা সময় আবারও পূর্বের মত পরিবেশ প্রকৃতি পাওয়া কিছুটা হলেও সম্ভব হবে।
আমার একটাই কথা নতুবা চাওয়াই বলতে পারেন, পরিবেশ প্রকৃতির উপর নির্যাতন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হোক এবং সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র । নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাই গাছ লাগান, কেননা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে বাঁচাতে হবে ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই প্রতিনিয়ত যেন গরমের প্রভাবটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে হ্যাঁ একার পক্ষে তো আর পরিবর্তন বয়ে আনা সম্ভব না সবাই যদি এই বিষয়টা মাথায় নেয় অর্থাৎ সবুজ শ্যামল পরিবেশ গড়ার উদ্দেশ্যে কাজ করে তাহলে হয়তো ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষা পাবে।
সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে ভাই, এটাই হচ্ছে মূল কথা। সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র।
উপরের কথা গুলো যথার্থ বলেছেন ভাই। বর্তমান প্রকৃতির পরিবেশের খুব খারাপ অবস্থা। গাছ পালা এবং বন জঙ্গল কেটে বড় বড় দালান কোঠা তৈরি করা হচ্ছে। আমরা সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ভাবে ঝামেলার মধ্যে পেরেছি। যে গরম আবার তো লোডশেডিং রয়েছে। সব মিলিয়ে খুব খারাপ পরিস্থিতি।
আসলেই ভাই সব মিলে খুব বাজে অবস্থার ভিতরে সময় যাচ্ছে।
অপরিকল্পিত নগরায়ন সমানে গাছ কাটা নিজের সুবিধাই ইচ্ছামতো প্রকৃতি কে ব্যবহার করার ফলাফল এইটা। প্রকৃতির উপর নির্যাতন চালালে প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নিয়েই থাকে। ভবিষ্যতে যে এই অবস্থা আরও শোচনীয় আরও ভয়াবহ হবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এই জাতি কে এটা বোঝাবে কে ভাই??
প্রকৃতির প্রতিশোধ বড্ড ভয়াবহ। সবার সুবুদ্ধির উদয় হোক।
বেশ কয়েক মাস আগেই জানতে পেরেছিলাম এবার অতিরিক্ত গরম পরবে। গ্রীষ্মের শুরুতেই এই অবস্থা, সারাবছর কিভাবে কাটবে সেটাই ভাবছি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাবলে নিজের কাছেই খারাপ লাগে। কারণ বর্তমান অবস্থা যদি চলতে থাকে, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। তাই আমাদের উচিত প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করা। মোটকথা যার যার অবস্থান থেকে অবশ্যই সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরী। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটাই একদম সত্য কথা ভাই, যার যার অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে এবং কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
প্রকৃতির উপর নির্যাতন মানুষ কখনোই বন্ধ করবে না দাদা। এখনকার মানুষ নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছুই বোঝেনা। আর এই কারণে শহরে যারা থাকে তাদের অধিকাংশের বাড়িতে এয়ারকন্ডিশন রয়েছে। গাছ লাগানোর কথা তাদের মাথায় আসে না, আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা তো বাদই দিলাম। তবে সবাই যদি এক জোট হয়ে প্রতিবছর কিছু কিছু গাছ লাগাই কিংবা প্রকৃতির উপর অত্যাচার বন্ধ করি, তাহলে হয়তো আমরা আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারবো আস্তে আস্তে।