সেদিন গিয়েছিলাম দাওয়াতে
আত্মীয়-স্বজন আসলে উৎসবের সময় যেন একটু আদিখ্যেতা বেশি দেখানোর চেষ্টা করে। এমনিতেই টানা দুই সপ্তাহ গ্রামে থেকে আসলাম, তারপরে বাসায় আসতে না আসতেই শুরু হয়ে গেল আবারো এক দাওয়াতের পর্ব।
ভিডিও লিংক
যেহেতু এই আত্মীয়ের বাড়িতে বিগত সময়ে কখনো যাইনি, তাই পরিবারের চাপেই এক প্রকার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল, সেখানে যাওয়ার জন্য। এমনিতেই বাইরে যে পরিমাণ গরম পড়েছে, তাতে আসলে কোন জায়গাতেই যাওয়ার ইচ্ছা করে না, তবে পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে অনেক সময় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়।
যাইহোক অবশেষে সেদিন দুপুর বেলার দিকে পুরো পরিবার নিয়ে রওনা দিলাম কৃষ্ণপুরের উদ্দেশ্যে। এক ঘন্টার যাত্রা, যেহেতু আমরা গাড়ি ভাড়া করেছিলাম আর চেয়েছিলাম গ্রামীণ পরিবেশের ভিতর দিয়ে যাওয়ার জন্য, তাই কিছুটা সময় একটু বাড়তি লেগেছিল। এমনিতেই আমি প্রচুর ক্লান্ত ছিলাম, কেননা তার আগের দিন রাতে রবিবারের আড্ডা শো করতে হয়েছিল এবং সেই রিপোর্ট লেখা এবং নিজের কিছু কাজ করতে গিয়ে একদম সকাল হয়েছিল। অবশেষে কোনরকমে যখন ঘুমোতে গিয়েছিলাম, তখন ঠিকঠাক মতো ঘুম না হতেই পরিবারের লোকজন আমাকে ডাকা শুরু করেছিল এই দাওয়াতে যাওয়ার জন্য।
কি আর করার, অবশেষে আমি কোন মতো নিজেকে প্রস্তুত করে সবার সঙ্গে বেরিয়ে পড়লাম। যদিও প্রথম দিকে কিছুটা রাগ লাগছিল, তবে যাত্রাপথের গ্রামীণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে সেই রাগ অনেকটাই কমে গিয়েছিল। বেশ দারুণ উপভোগ করেছিলাম সময়টা।
অবশেষে যখন আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলাম, তখন মেজাজটা অনেকটাই ফুরফুরে হয়েছিল। গাড়ি থেকে নামতেই উষ্ণ অভ্যর্থনা আমাদের জানানো হয়েছিল। এই যে শহুরে জীবনে এত গরম, তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে আমরা যখন আমাদের আত্মীয় বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলাম, তখন সেখানকার পরিবেশ প্রকৃতি অনেকটাই ভিন্ন ছিল। কেননা চতুর্দিকে গাছপালা এবং ছায়ায় ঘেরা। তাপমাত্রা অনেকটাই সহনীয় ছিল।
বেশ শীতলতা অনুভব করছিলাম, তাছাড়াও তাদের সঙ্গে বেশ জমিয়ে আড্ডা দিয়েছিলাম এবং তাদের ঘরোয়া আয়োজনে আমাদের জন্য যে খাবারের ব্যবস্থা করেছিল, তা ছিল অনেকটা মুখে লেগে থাকার মত। খুব যে ভারী খাবার ছিল তেমনটা না, তবে রান্নার প্রশংসা করতেই হয়।
যেহেতু দুপুর বেলা দাওয়াত ছিল আর জার্নি করে গিয়েছিলাম, তাই বলা যায় একপ্রকার ক্ষুধার্তই ছিলাম। অবশেষে অভুক্ত পেটকে কিছুটা প্রশান্তি দিয়েছিলাম সেখানকার খাবার খেয়ে। যেহেতু প্রথম বার গিয়েছি,তাই আদর-যত্ন অনেকটাই বেশি ছিল। কোন রকমে ভরপেট খেয়ে শরীরটা এলিয়ে দিয়েছিলাম বিছানাতে। কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছি, তা যেন আর বুঝে উঠতে পারিনি।
হীরা তো কিছুটা রাগে গজগজ করছিল। বারবার বলছিল, আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছো, কই সবার সঙ্গে টুকটাক একটু গল্প করবে, তা নয় শুধু ঘুম আর ঘুম। বুঝলাম, হোম মিনিস্টার কিছুটা রেগে আছে। অতঃপর সবার সঙ্গে পুনরায় গল্প করতেই, কখন যে বেলা গড়িয়ে গিয়েছিল সেভাবে আর খেয়াল করা হয়ে উঠিনি।
অবশেষে সবাইকে বিদায় জানিয়ে এখন বাড়ি ফেরার পালা, সবমিলিয়ে যদি বলতেই হয়,তাহলে এক কথাতেই বলবো, স্বল্প সময়ের ভ্রমণ হলেও বেশ দারুণ কেটেছিল সময়টা।
যাইহোক আমাদের কাটানো মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে, একটা ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করেছি, আশা করছি ভাল লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সাধারণত ঈদ বা অন্যান্য উৎসবের সময় আত্মীয় স্বজনরা দাওয়াত দিয়েই থাকে। যদিও এই গরমে কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না,কিন্তু অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় যেতেই হয়। যাইহোক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া এবং গল্প গুজব করে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন ভাই। ভিডিওটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। শায়ানের চুল ফেলে দিয়েছেন দেখছি। এই গরমে যথাযথ একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
শুধু শায়ানের না, আমারও একদম চুল কেটে খটখটা করেছি ভাই। মাথা ঠান্ডা রাখা দিয়ে কথা।
পুরুষদের শান্তির একমাত্র জায়গা হচ্ছে ভুম। হিরা ভাবি কিন্তু ঠিকই বলেছে, মাঝে মাঝে পরিবারের সকলের সাথেই একটু গল্পগুজব করবেন তাহলে দেখবেন মন ভালো থাকবে। তবে আপনার এই ভিডিওটা সর্বপ্রথম আমি ফেসবুকে দেখেছিলাম, অনেক চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা সত্য ভিডিওগুলো টুকটাক ফেসবুকে দেওয়ার চেষ্টা করি, সবার সঙ্গেই কথা বলতে ইচ্ছে করে, তবে শরীরটা বড্ড ক্লান্ত ছিলরে ভাই। তাই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।
হি হি হি অবশেষে ভাবির গজগজানিতে আপনার ঘুমে একেবারে চলে গেল। আসলে ক্লান্ত শরীরে গেলেন আপনি খাওয়া দাওয়া বেশ ভারি করে খাইলেন পড়ন্ত বিকালেই বেশ ভালোই ঘুম আসলো আপনার। মাঝে মধ্যে এমন নতুন আত্মীয়দের বাড়িতে গেলে বোঝা যায় অতিথি আপ্যায়ন কাকে বলে। ভীষণ ভালো লাগে এই ধরনের ঝাঁক ঝমক খাবার গুলো মাঝে মধ্যে খেতে। যেহেতু সারারাত জেগে কাজ করছিলেন একটু খারাপ লাগারই কথা। অবশেষে ভালোভাবে পেটের আদর যত্ন করতে পেরেছিলেন ভালো লাগলো জানতে পেরে।
আর বইলেন না, সেই রকম আমাকে চাপে রেখে দিয়েছিল ও।
যখন কোন উৎসব শুরু হয় তখন আত্মীয় স্বজনদের বাসায় দাওয়াতের ধুম পড়ে যায়। অনেক সময় বাধ্য হয়েও যেতে হয়। তবে গ্রামীন পরিবেশে বেড়াতে গেলে অনেক আনন্দ হয়। আর আপনি সবার সাথে আত্মীয়র বাড়িতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। তবে সারারাত না ঘুমিয়ে নিজের প্রয়োজনীয় কাজ করার পর কোথাও ঘুরতে গেলে ভীষণ ক্লান্তি চলে আসে। তাইতো ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ভিডিওগ্রাফিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য।
Very good