টুং-টাং
source
মানুষ যেমন অতিরিক্ত ফুর্তিতে থাকলেও গান-বাজনা করে তেমনটা আবার অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাতে থাকলেও গান-বাজনা করে। আমি অবশ্য আনন্দ ফুর্তির দলে নেই, দুশ্চিন্তা আমাকে প্রায়ই ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়, তাই আমি এবার দুশ্চিন্তার হাত থেকে নিজেকে রেহাই দিয়েছি ভিন্ন ভাবে।
তখনো সন্ধ্যে হয়নি, তবে বাহিরে যে পরিমাণ ঠান্ডা পড়েছে, তাই আজ আর বাহিরে যাওয়ার ইচ্ছে জাগে নি। ঘরের ভিতরেই ল্যাপটপটা অন করে বিকেল থেকেই অফিসের কাজ করা শুরু করে দিয়েছি,চোখের পলকে কয়েকটা ঘন্টা সময় কিভাবে যে কেটে গেল, তা যেন বুঝতেই পারলাম না।
একটা বিষয় মাঝে মাঝে আমি ভীষণভাবে খেয়াল করি, যখন আমি প্রচুর পরিমাণে কাজের চাপে থাকি, তখন দেখি প্রায়ই সবকাজ গুলিয়ে ফেলি। সহজ কাজগুলোকেও তখন আমার জটিল মনে হয়। তাই আমি মনে করি কাজের ফাঁকে ফাঁকে কিছুটা হলেও মানসিক বিশ্রাম ও রিফ্রেশমেন্ট দরকার। তাতে মূলত পুনরায় কাজ করার ইচ্ছেশক্তি আরো কিছুটা বৃদ্ধি পায়।
ভিডিও লিংক
সন্ধ্যের ঠিক আগ মুহূর্তেই, উকুলেলেটা হাতে নিয়ে বসে গেলাম। সবেমাত্র ইউটিউব দেখে একটু আধটু শিখেছি তাও সেটা পুরোপুরি নয়। যেটুকু শিখেছি সেটাই যদি ভালোভাবে বাজাতে চাই, তাহলে মোটামুটি এটার উপর দীর্ঘ সময় দিতে হবে, তবে এত সময় কই। এটাই তো ভাবনার বিষয়।
৩০-৩২ বছর বয়সী মাঝ বয়স্ক মানুষ যখন হঠাৎই টুংটাং করে উকুলেলের আওয়াজে গলা ছেড়ে এলোমেলো ভাবে গান গাওয়ার চেষ্টা করে, তখন বুঝে নিতে হবে ঝামেলা আসলে অন্যত্র। সে হয়তো কিছুটা মানসিকভাবে প্রশান্তি চাচ্ছে নতুবা নিজেকে চাঙ্গা করে তোলার জন্য এসব করছে।
এমনিতেই ঠান্ডা তার ভিতরে কোনরকম উকুলেলেটা হাতে নিয়ে, লেপের ভিতরে বসে নিজের মতো করে নেড়েচেড়ে অনেকটা সময় ইচ্ছেমতো বাজালাম, বাহ্ এখন তো কিছুটা ফুরফুরে লাগছে নিজের কাছে। মস্তিষ্কটা যেন মুহূর্তেই হালকা হয়ে গেল। যাই এবার কাজ করি গিয়ে, আরো কিছুটা সময় লাগবে কাজগুলো শেষ করতে।
আমার সেই টুং-টাং করার মুহূর্তের ছোট একটা ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করেছি, আশা করি ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শুভ ভাই যাই বলেন না কেনো সময় খারাপ যাক কিংবা মন্দ ফুর্তি থাকা সবার দরকার ৷ কারন জীবন মানে ভালো মন্দ থাকবে ৷ আর গান বাজনা মনের আনন্দের প্রধান খোরাক ৷
যা হোক আপনি নতুন ইউকেলে শিখছেন আশা করি শিখে যাবেন ৷গান গুলো কিন্তু মন্দ বলেন নি৷ বেশ চমৎকার করে গেয়েছেন৷ তবে ভাই আমারও অনেক ইচ্ছা একটা ইউকেলে কেনার ৷
চেষ্টা কর ভাই তুমিও একটা উকুলেলে কিনে নেওয়ার জন্য, তোমার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ভাই আপনার কাছে একটা হেল্প সেটা হলো আপনি যার কাছ থেকে উপহার পেযেছেন ৷ তার মাধ্যমে যদি নিয়ে কুরিয়ার করে পাঠায় ৷ আমি টাকা দিয়ে দিব আপনাকে ৷ আসলে আমি গ্রামে থাকি তাই ৷ তাহলে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারি ৷
আমার মনে হচ্ছে ৩০-৩২ বছর বয়সী মাঝ বয়স্ক মানুষটি হচ্ছেন আপনি ভাইয়া।আর আপনার এই টুং-টাং আওয়াজে গাওয়া গানটি কিন্তু বেশ জমেছিল।আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো, আসলেই গান শুনলে কিংবা গাইলে মনে প্রশান্তি ফিরে আসে যেন।আশা করি আপনি নিজেও প্রশান্তি পেয়েছেন কিছুটা দুশ্চিন্তা থেকে, ধন্যবাদ আপনাকে।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ভাইয়া, আপনি ডাক্তার মানুষ। ডাক্তারেরা মানুষকে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে বলে। আর আপনি নিজে দুশ্চিন্তাতে ভুগছেন যেনে খারাপ লাগলো। আশাকরি তাড়াতাড়ি দুশ্চিন্তা মুক্ত হবেন। ভালো গেয়েছেন এবং বাজিয়েছেন। একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, কাজের ফাকে রিফ্রেশমেন্ট দরকার।তাতে এনার্জি আসে। টুংটাং শিরোনামে পোস্টটি শেয়ার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পৃথিবীতে সবাই চিন্তিত, নিজ নিজ অবস্থান থেকে। কেউ স্বীকার করে, আবার কেউ বা স্বীকার করে না।
আপনি কথা গুলো সঠিক বলেন ভাইয়া। মানুষ অতিরিক্ত চিন্তার কারণে যেমন গান শোনে। তেমনি আনন্দের সময়ও গান শুনে। দুইটা অভ্যাস আমার কাছে খুব বেশি পরিচিত। তবে আপনি যে গানটি গেয়ে শোনালেন ভীষণ ভালো লেগেছে। মাঝে মাঝে মানসিক প্রশান্তির জন্য রিপ্লেসমেন্ট এর জন্য এই ধরনের মনের আনন্দ খুবই দরকার।
আমার গান আপনার পছন্দ হয়েছে, এটা যেন বেশ ভালো লাগলো আপু।
আসলেই গান-বাজনা করলে মনটা একেবারে রিফ্রেশ হয়ে যায়। আমার মন খারাপ হলে তো আমি গলা ছেড়ে গান গাওয়ার চেষ্টা করি সব সময়। যাইহোক ইউটিউব দেখে উকুলেলের কর্ড গুলো মোটামুটি বেশ ভালোই আয়ত্ত করতে পেরেছেন ভাই। উকুলেলে বাজাতে বাজাতে চমৎকার একটি গান করলেন। এই গানটি বেশ ভালোই লাগে শুনতে। সব মিলিয়ে ভিডিওটা বেশ উপভোগ করলাম ভাই। আশা করি সব সময় দুশ্চিন্তাকে দূরে ঠেলে মনটা প্রফুল্ল রাখবেন ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝে মাঝে মানসিক প্রশান্তি ফিরে নিয়ে আসার জন্যই, এমন রিফ্রেশমেন্ট দরকার, এটা আমি মনে করি ভাই।
এখন দাদা ডিপ্রেশনে যেতে গেলে ৩০-৩২ বছর বয়স লাগে না, ১৮ বছর থেকেও শুরু হয়। আসলে যে পরিমাণ ঠান্ডা পড়েছে বেশ কয়েকদিন, আমি নিজেও লেপের নিচে থেকে বেরোচ্ছি না। তবে গান গাইতে পারি না, সেই জন্য হয়তো অন্য কাজ করে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। আপনার গলায় আগেও কম বেশি গান শুনেছি , আপনার গানের গলা কিন্তু যথেষ্ট সুন্দর দাদা। তাছাড়া আপনি ভালো উকুলেলেটা বাজাতেও পারেন যা দেখছি 😯। আপনার জন্য শুভকামনা রইল দাদা।
তা অবশ্য ঠিক বলেছ, আসলেই ডিপ্রেশনের কোন বয়স নেই।
দাদা, অল্প বয়সী ছেলেমেয়েরা এখন খুব তাড়াতাড়ি ম্যাচিউর হয়ে যায়, এই জন্যই তারা বেশি ডিপ্রেশনে ভোগে।