সেদিন গিয়েছিলাম শহরে

in আমার বাংলা ব্লগlast month

1000034248.jpg

গ্রামের বাড়ির কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে কোনভাবেই শহরের দিকে যেতে পারিনি, মোটামুটি অর্থনৈতিক ভাবেও বেশ চাপের ভিতরে ছিলাম। যেহেতু বাড়ির সামনের অংশে ছাদ দেওয়া হয়েছে এবং পিছনের অংশে থাকবে টিনের চাল, তাই বাড়ির নকশা অনুযায়ী প্রতিনিয়ত কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।

হয়তো সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, সামনে মাসের ভিতরেই নতুন বাড়িতে উঠে যাব। দিনশেষে আমার গ্রামে থেকে যাওয়ার ইচ্ছেটাই অনেক। হয়তো এখানে শহরের মতো আধুনিক সুযোগ সুবিধা নেই, তবে প্রচুর শান্তি আছে বসবাস করে।

এখানকার পরিবেশ প্রকৃতি শহরের থেকে অনেকটাই আলাদা। তাছাড়া যেহেতু আমি খুব নিরিবিলি থাকতে পছন্দ করি, সেদিক থেকে চিন্তা করেই মূলত এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া।

যেহেতু বাড়ির কাজ খুবই দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, তাই মূলত এখন টিনের কাজ আর ঘরের মেঝে করতে পারলেই, কোন রকমে বাড়িতে ওঠা যাবে। তারপর না হয়, ধীরে ধীরে সময় নিয়ে অন্যান্য কাজগুলো করা যাবে।

যেহেতু হঠাৎই আর্থিকভাবে একটু চাপের ভিতরে পড়ে গিয়ে ছিলাম, তাই আমার সিনিয়র কলিগদের সঙ্গে কথা বলে দাদার শরণাপন্ন হয়েছিলাম। দাদা মানুষটা ভীষণ অদ্ভুত, যেমনটা চেয়েছিলাম তার থেকে বরং আরো ভালো ভাবে আমি সহযোগিতা পেয়েছি। যদিও তার কাছে সহযোগিতা পাওয়া নতুন না, কেননা এমন সহযোগিতা প্রতিনিয়তই আমি বা আমরা সকলেই কমবেশি পেয়ে থাকি।

ভিডিও লিংক


বলতে গেলে এই বাড়িটা করা হচ্ছে সম্পূর্ণ আমার আর গিন্নির ব্লগিংয়ের পয়সা দিয়ে। যেহেতু টিনের কাজ আর ঘরের মেঝে সম্পন্ন করতে জরুরী পয়সার দরকার, তাছাড়া যেহেতু সহযোগিতাও পেয়েছি, তাই দেরি না করে দ্রুত ব্যাংকে চলে গিয়েছিলাম।

শহরে গিয়েই প্রথমে আম্মুর সঙ্গে দেখা করে,তারপর আম্মুকে সঙ্গে করে নিয়েই ব্যাংকের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। এই প্রথম আমি নিজের হাতে আম্মুর মাধ্যমে পয়সা উত্তোলন করলাম ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে। আম্মু মূলত ব্যাংকের চেক বইয়ের সঙ্গে অভ্যস্ত ছিল,তাই তাকে নতুনভাবে এই পদ্ধতিটা দেখালাম। আমার শ্বশুর মশাই পদ্ধতিটা দেখে রীতিমতো কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছিল ।

যাক অবশেষে পয়সাগুলো হাতে পেলাম, এখন দ্রুতই বাড়ির কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারলেই মানসিকভাবে যেন শান্তি পাবো।

আমার সেদিনের সেই ব্যাংকে যাওয়া, পয়সা উত্তোলন করা, সম্পূর্ণ বিষয়ের উপর ভিত্তি করে পুরো মুহূর্তের ভিডিও আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম, আশা করি ভালো লাগবে ।

ধন্যবাদ সবাইকে।

1000033814.png

1000020537.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

"ভালো থাকবেন 🙏! Let's keep the momentum going by sharing our thoughts and ideas on this post 🤩! We're grateful for your presence in our community, and we'd love to hear about your experiences with us 🎉. By voting for @xpilar.witness (https://steemitwallet.com/~witnesses), you'll be supporting the growth of the Steem ecosystem, and we're excited to continue creating engaging content for you! 💪 Let's do this together! 🤝"

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

আগামী মাসে নতুন বাড়িতে উঠতে পারবেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। আসলে সবকিছুই সম্ভব হয়েছে দাদার কারণে। দাদা না থাকলে এতগুলো মানুষের কর্মসংস্থান হতো না এবং আমরা মন খুলে ব্লগিং করতে পারতাম না। যাইহোক ভিডিওটা খুব সুন্দর হয়েছে ভাই। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।

 last month 

ভাই আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য এবং আপনি যা বলেছেন তা একদম সত্য।

 last month (edited)

নতুন বাড়ির আজ শেষ জেনে বেশ ভালো লাগলো। আর এই বাড়ির বেশি ভাগ খরচ এসেছে আপনার ও ভাবীর ব্লগিং থেকে সেটা জেনে আরও বেশি ভালো লাগলো। দাদা সহোযোগীতায় আমরা সবাই ব্লগিং করে ইনকাম করছি সে জন্য দাদা প্রতি কৃজ্ঞত। বেশ ভালো লাগলো ভিডিটি। ধন্যবাদ ব্লগটি শেয়ার করার জন্য।

 last month 

আমরা সকলেই কৃতজ্ঞ আমাদের প্রতিষ্ঠাতার কাছে, কেননা তার মাধ্যমেই কিন্তু আমাদের এই অর্থগুলো উপার্জন হচ্ছে।

 last month 

শহরে সুযোগ সুবিধা বেশি ঠিক আছে কিন্তু শান্তি তো গ্রামেই ভাই। কথাটা ঠিক বলেছেন। যদি কখনও সুযোগ আসে আমি নিজেও পুরোপুরিভাবে গ্রামের বাড়িতে স্থায়ী হবো। আশাকরি আপনার বাড়ির কাজ খুব দ্রুত ভালোভাবে শেষ হবে। আপনার জন্য শুভকামনা।।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 62382.95
ETH 2427.50
USDT 1.00
SBD 2.58