কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকাল
কয়েকদিন হল বেশ ভালো পরিমাণে ঠান্ডা পড়েছে। আশেপাশের গ্রাম বা আমাদের এই মফস্বল শহরে একই অবস্থা। তাপমাত্রা সর্বদা ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রি এর আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে। বলা যায় হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। যদিও আমার ঠাণ্ডা বুঝে ওঠার কোন উপক্রম নেই বললেই চলে, কেননা আমি তো বাহিরে খুব একটা তেমন বের হই না। ঐ টুকটাক একটু বিকেল বেলা করে বাহিরে ঘোরাঘুরি ঠিক এতটুকুই।
ভিডিও লিংক
নিদ্রা জনিত সমস্যা আমার নতুন না। বহুদিন আগে থেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছি। আগে প্রতিনিয়ত ঘুমের ওষুধ সেবন করতাম, তবে খুবই সাম্প্রতিক সময়ে পুনরায় ডাক্তার দেখানোর পর থেকে, ডাক্তার এবার বলেছে ওষুধের তালিকায় ঘুমের ওষুধের মাত্রাটা পরিমানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ মাফিক রাখতে । বলেছে একান্তই যদি ঘুম না হয়, সেই ক্ষেত্রে সেবন করার জন্য।
অতিরিক্ত স্ক্রিন আসক্তির জন্য মাথাব্যথা নতুন নয়। গতরাতেও দীর্ঘ অনেকটা সময় কাজ করার পরে, ভোর রাতের দিকে আর কোনভাবেই ঘুম আসছিল না। ভাবলাম সকালের আবহাওয়াটা উপভোগ করব। যদিও দীর্ঘ সময় বই পড়েছিলাম, তারপরেও আমি চাচ্ছিলাম যে বাহিরের আবহাওয়াটা একটু পরিষ্কার হোক। তবে কোন অবস্থাতেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল যেন, হালকা ঝিরি বৃষ্টির মত করে কুয়াশা প্রতিনিয়তই পড়ছে।
যদি এই ইট পাথরের নগরীতে শীতকাল কে খুব ভালোভাবে উপভোগ করা যায় না। তারপরেও ইচ্ছে করেই, বাসার কাউকে না জানিয়ে সকালবেলা বাহিরে চলে গিয়েছিলাম হাঁটতে। অনেকটা সময় নিজের মতো করে একাকী হেঁটেছি। এমনিতেই সারারাত ঘুম হয়নি তারমধ্যে ক্লান্ত শরীর। তবে কোন অবস্থাতেই তা, ভুলেও যেন বুঝে উঠতে পারছিলাম না। অনেকটাই ফুরফুরে লাগছিল।
খানিকটা সময় পুকুরপাড়ের ঐদিকটাতে ঘোরাঘুরি করেছি আর দেখার চেষ্টা করছিলাম সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকা। কোন অবস্থাতেই বোঝা যাচ্ছে না যে, অনেকটা সকাল হয়ে গিয়েছে। তারপরেও এত ঠান্ডার মাঝে অনেকেই জীবিকার জন্য বেরিয়ে পড়েছে।
আসলে জীবনগুলো বড্ড অদ্ভুত হয়তো সেটা জায়গা ভেদে। এমন কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে যখন অনেকে কম্বলমুড়ি দিয়ে উষ্ণতার মাঝে হারিয়ে গিয়েছে, তখন কেউবা কনকনে ঠান্ডার ভিতরে জীবিকার সন্ধান করছে। আমার নীরব সংগ্রাম আসলে মূলত, এই সাধারণ মানুষ গুলোর জন্যই। দীর্ঘ অনেকটা দিন ধরে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনায় আমি গুলিয়ে গিয়েছি। হয়তো অনিদ্রার সমস্যাটা সেখান থেকেও হতে পারে। তবে তারপরেও আমার এই নীরব সংগ্রামটা যেন বন্ধ না হয়, তেমনটাই আমি সংকল্প করেছি।
আসলে সাধারণ মানুষের কাছাকাছি না গেলে, তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থাতে কিংবা সমসাময়িক সময়ে কি পরিমান জটিলতা যাচ্ছে, তা হয়তো দেখা যায় না। তবে আমি নিজের থেকেই সাধারণ মানুষগুলোর জটিলতা স্বচক্ষে দেখার চেষ্টা করি, হয়তো অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য নতুবা তাদের সমাধানের পথ দেখানোর জন্য। তবে জীবনটা যে সবার জন্য সর্বদা উপভোগ্য নয়, তা হয়তো সাধারণ মানুষের কাছাকাছি আসলে খুব ভালোভাবে সেটা বোঝা যায়।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1745361812697325668?t=h8zK7UUw7v-N2V9TLPGEHQ&s=19
আমাদের দিকেও ভাইয়া হাড় ভাঙা ঠান্ডা! সারাদিন সূ্র্যের দেখা পায় না। যেহেতু গ্রামের টিনের চালার ঘর ঠান্ডার পরিমাণটাও বেশি লাগে। তবে এই ঠান্ডার মাঝেও অনেকে বসে নেই। যারা দিনে আনে দিন খায় তারা ঠিকই বেরিয়ে পরে শত ঠান্ডা উপেক্ষা করে জীবিকার সন্ধানে। এই শীতে সেসকল মানুষগুলো ভালো থাকুক এমনটাই প্রত্যাশা করি 🌼
এমনটা প্রত্যাশা কিন্তু আমারও। ভালো থাকুক সাধারণ মানুষজন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকাল। আসলে শীতের সকালে কুয়াশার সাথে আমি বেশ পরিচিত। প্রায় প্রত্যেকদিন ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে উঠে কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হয় গ্রামে প্রচন্ড শীত বেশি এবং কুয়াশাও বেশি। আপনাদের এলাকাতে বর্তমানে ১৫ ডিগ্রি আশে পাশে ছিল। কিন্তু আমাদের এলাকাতে আজকেও ১১ ডিগ্রি ছিল সকালে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ছাত্র জীবনে একটু কষ্ট করতেই হবে ভাই, তারপরেও আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল ।
আজ কয়েকটা দিন কুয়াশা যেন বেড়েই চলেছে। আপনি দেখছি কুয়াশার মধ্যে বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আর এত সাত সকালে শীতের কুয়াশায় চুড়িওয়ালা কে দেখতে খুবই ভালো লাগছে ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খেলে একসময় দেখা যায় নরমাল আর ঘুম আসতে চায় না। তাছাড়া আপনি রাত জেগে কাজ করেন জন্যই আপনার ঘুমের এত অসুবিধা হয়। কাজের টাইমটা যদি আপনি ঘুরিয়ে নিতেন তাহলে হয়তো ঘুমের এতটা অসুবিধা হতো না। রাতের কাজগুলো দিনে করলে হয়তো এই সমস্যা দূর হতে পারে। যাই হোক ঘুম না আসাতে কিন্তু বাইরে সুন্দর আবহাওয়াতে ঘুরতে পেরেছেন। বাইরে যে বেশ ঠান্ডা ছিল ভিডিও দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
জীবন যেখানে যেমন আপু, আসলে এটা সত্য যে আমার লাইফস্টাইল এর বড্ড সমস্যা আছে। তারপরেও যেহেতু বলেছেন , দেখি চেষ্টা করব 🙏
আসলেই সাধারণ মানুষের কাছাকাছি গেলে জীবন সম্পর্কে বাস্তব ধারণা পাওয়া যায়। এমন কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে কতো কষ্ট করে, মানুষজন বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছে জীবিকার তাগিদে। তাদেরও ইচ্ছে করে শীতের সকালে কম্বলের নিচে একটু আরাম করে ঘুমাতে। তবে কোনো উপায় নেই বলেই প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছে জীবনের সাথে। যাইহোক কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে বেশ ভালোই হাঁটাহাঁটি করেছেন ভাই। ভোরবেলা ঘুম ভেঙে যাওয়ায় বেশ ভালোই হয়েছে। কারণ ঘুমিয়ে থাকলে তো সকালটা উপভোগ করতে পারতেন না। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা সত্য যে দিনের সময়টা আমার বেশ ভালোই কেটেছে। সকালটাকে যেন নিজের মতো করে উপভোগ করেছিলাম।