আশা জাগে মনে
দিন দিন সব জায়গায় শহর বন্দর নগরের ছোঁয়া লেগেছে। এটাকে অবশ্যই উন্নয়নের জোয়ার বলতে হয়। তবে সব জায়গা নগর হয়ে যাওয়ার কারণে কৃষি জমি ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে। এই ঊর্ধ্বগতির দ্রব্যমূল্যের বাজারে যখন আমার মত একজন সাধারণ মানুষ এইসব বিষয় নিয়ে ভাবনা চিন্তা করে, তখন পারিপার্শ্বিক অবস্থাতে শুধুমাত্র সিন্ডিকেট চোখে পড়ে।
যেহেতু কৃষি জমি কমে এসেছে, তাও প্রতিনিয়তই কৃষকেরা চেষ্টা করছে আবাদি জমিতে ফসল ফলানোর জন্য। তবে বীজ থেকে শুরু করে অন্যান্য কৃষি পণ্য সবকিছুই বেশ খরচ সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনিতেই স্বল্প জমি, তার ভিতরে যদি আবার কৃষি পণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়, তাহলে কিন্তু কৃষক মুখ ফিরিয়ে নেয়।
বাজারে গেলে দেখা যায়, কাঁচাবাজারে যেন আগুন লেগেছে। তারমানে চাহিদা অনুযায়ী যোগান হচ্ছে না। একটা দেশের অর্থনীতি ঠিক রাখতে গেলে কৃষির দিকে নজর দেওয়া খুবই জরুরি। তবে সুনজর আদৌ পড়ছে কিনা এই সেক্টরে, সেটা নিয়ে আমি ভীষণ চিন্তিত।
কৃষক যদি কৃষি কাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে জমিতে কে চাষাবাদ করবে। কৃষি কাজের দিকে কৃষককে ভালোভাবে অনুপ্রাণিত করতে সরকারের ভূমিকা হওয়া উচিত বন্ধুর মতো। মানে কৃষক বাঁচলেই, বাঁচবে দেশ ও দেশের অর্থনীতি।
তবে বাস্তব চিত্র বড্ড ভয়ানক। সরেজমিনে যদি দেখা যায়, এমনটা কিন্তু সকলের নজরেই পড়ে। তবে তারপরেও আমরা যেন কিছুই করতে পারছি না। কিছুদিন আগে ঢাকাতে গিয়ে একবার আমি ৬০ টাকা হালি দরে লেবু কিনে খেয়েছিলাম। তখন বারবার ভাবছিলাম, যে কৃষক লেবুর চাষ করেছে সেকি হালিতে ৬০ টাকা পেয়েছে।
তাহলে কৃষক কিভাবে অনুপ্রাণিত হবে কৃষি কাজ করতে। কৃষির মতো একটা স্পর্শকাতর জায়গায়, সিন্ডিকেট যদি সব দিক থেকে এভাবে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকে, তাহলে কৃষকের তো বেঁচে থাকা বড্ড কঠিন হয়ে যাবে। আর কৃষকই যদি বাঁচতে না পারে, তাহলে বাজারে শাকসবজি থেকে শুরু করে অন্যান্য খাদ্যশস্যের দাম কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হবে না। তাই আগে যে কোন মূল্যই হোক না কেন, কৃষককে বাঁচাতে হবে আর কৃষক বাঁচলেই হয়তো আমরা সাধারণ মানুষ ঠিকভাবে খেয়ে-পড়ে বাঁচতে পারি বা ঠিক থাকতে পারে আমাদের অর্থনীতি।
যদিও পারিপার্শ্বিক অবস্থায় সিন্ডিকেটের কারণে, এমন অলীক স্বপ্ন দেখা শুধুমাত্র আমাদের ভাবনা-চিন্তাতেই সীমাবদ্ধ। তারপরেও আশা জাগে মনে হয়তো সিন্ডিকেট একদিন ভেঙে যাবে, সবকিছু সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে চলে আসবে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1714913834916601900?t=otbGKLsqch9KEMLQ46tlPw&s=19
জি ভাইয়া। আস্তে আস্তে শহর বন্দরে নগরের ছোঁয়া লেগেছে এবং আস্তে আস্তে অনেক মানুষ এটারও সুবিধা নিচ্ছে। যারা দিন আনে দিন খায় তাদের জন্য জীবনটা অনেক কঠিন। অনেক দালানকোটা বেড়ে উঠছে এই কারণে অনেক মানুষ তাদের কৃষির মাধ্যমে যে দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহ করত সেটাও কমে যাচ্ছে এবং তারা চেষ্টা করবে কিভাবে ভালো ফসল করতে গেলে কীটনাশকের যে দাম।কৃষকের মাথায় হাত। জি ভাইয়া কৃষক যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় কৃষি কাজ বাদ দেয় তখন তখন দেশ ও দেশের অর্থনীতি নেমে যাবে। দোয়া করি যেন সকল সিন্ডিকেট ভেঙ্গে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে সবকিছু চলে আসবে এবং দাম নিয়ন্ত্রণ থাকবে। সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে
আসলে আপনি ঠিক বলেছেন দিন দিন কৃষি জমি অনেক কমে যাচ্ছে। আর কৃষি জমি কমে যাওয়ার কারণে কাঁচা বাজারের দাম অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসলে আগে শহরের কাঁচা বাজারের যেরকম দাম ছিল এখন গ্রামে সেরকম হয়ে গেছে আর শহরে হয়তোবা আরো বেড়ে গেছে। তাই এখন থেকে উচিত সবকিছু আবার কন্ট্রোলের মধ্যে নিয়ে আসার। না হলে দেখা যাবে এভাবে সব কিছুর দাম শুধু বাড়তেই থাকবে বাড়তেই থাকবে। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর লেখাগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সিন্ডিকেট ভেঙে যাক, সাধারণ মানুষের জীবনে স্বাভাবিকতা ফিরে আসুক, এমনটাই তো প্রত্যাশা ব্যক্ত করি ।
দিনদিন অনেকেই কৃষিকাজ বন্ধ করে ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হয়ে যাচ্ছেন। কারণ কৃষিকাজের প্রতি তাদের আগ্রহ অনেকাংশে কমে গিয়েছে। তার মূল কারণ হচ্ছে ন্যায্যমূল্য না পাওয়া। আবার বীজ,সার সহ আরো প্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম অতিরিক্ত বেড়েছে। এতো দাম দিয়ে সবকিছু কিনে,এতো পরিশ্রম করার পরও যদি ন্যায্যমূল্য না পায়,তাহলে হতাশ হওয়াটা স্বাভাবিক। কৃষকেরা যদি কৃষিকাজ না করে তাহলে আমাদেরকে না খেয়ে মরতে হবে। তাই সরকারের উচিত অতি শীঘ্রই এই ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। আমরা সবাই আশা করি সিন্ডিকেট একদিন ভেঙে যাবে। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলেই সিন্ডিকেট ভেঙে যাওয়া খুবই জরুরী, নইলে সামনের দিনে বেশ ভয়াবহ অবস্থা অপেক্ষা করছে।
এটার সাথে আমি টোটালি একমত ভাইয়া। কৃষক না বাচঁলে একটি দেশের উৎপাদন কমে যাবে, খাদ্য সংকট হবে। কিন্তু কৃষক যে জমি চাষ করছে, ফসল ফলাচ্ছে সেখান থেকে কিন্তু যথাযথ মূল্য তারা পায়না। এই যে আপনি শহরে ৬০ টাকা হালি লেবু কিনেছেন। কৃষকদের কাছ থেকে সে লেবু কিন্তু ১০ টাকারও কম হালিতে কিনে তারপর বিক্রি করে। তার মানে কৃষক ন্যায্য মূল্যটা পাচ্ছে না
কৃষককে বাঁচাতে হবে, তাহলেই সবকিছু ঠিকঠাক থাকবে।