শিশু পার্কে কিছু সময়
প্রথমেই বলে রাখছি এই মুহুর্তে কিন্তু আমরা গ্রামে আছি, তবে এ ঘটনা গ্রামে আসার দুদিন আগের। খুবই সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের এলাকায় ব্যক্তি পর্যায় থেকে এক ভদ্রলোক শিশু পার্ক তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে। মফস্বল এলাকায় এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানো যায়।
ভিডিও লিংক
মূলত শহুরে জীবনে আমরা তো অনেকটা জেলখানার মতো বাচ্চাদেরকে নিয়ে বন্দী হয়ে থাকি, নেই কোন খেলার মাঠ কিংবা উন্মুক্ত পরিবেশ। তাই যখন এরকম একটা স্থান পাওয়া গিয়েছে, তখন সেটা অবশ্যই প্রশংসনীয়।
মূলত আমরা গিয়েছিলাম বাবুকে নিয়ে, বাবুও বেশ খুশি হয়ে গিয়েছিল সেখানে গিয়ে। যদিও এখনো পার্কটি পুরোপুরি নির্মিত হয়নি, তবে ইতিমধ্যেই পার্কে বেশ ভিড় লেগে গিয়েছে দর্শনার্থীদের। সবাই মূলত আমাদের মত পরিবার নিয়ে এসেছে, বিশেষ করে শিশু বাচ্চাদের নিয়ে।
মাত্র কয়েকটা রাইড এখন পর্যন্ত লাগিয়েছে সেখানে, তাতেই মোটামুটি বেশ ভালই ভিড় জমে গিয়েছে সেখানে, তবে পার্কের পরিচালকের সঙ্গে যখন কথা বললাম এবং পার্ক কে ঘিরে তার যে পরিকল্পনা শুনলাম, সেটা যদি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়, তাহলে এই পার্কটি হতে পারে আমাদের এই শহুরে জীবনের মানুষের বিনোদনের প্রাণকেন্দ্র।
সুইমিংপুল, বাচ্চাদের সকল প্রকার খেলার রাইড, সাজানো গোছানো ফুলের বাগান, ফুড কর্নার, অতিথিদের পিকনিক করার ব্যবস্থা কিংবা রিসোর্ট তৈরি করবে পার্কের ভিতরে। এই কথাগুলো যখন পরিচালকের মুখ থেকে শুনছিলাম, তখন বেশ ভালই লাগছিল। আসলে এই ব্যাপারগুলো একদম সময়োপযোগী, এই ব্যস্ত শহরে এটা খুবই দরকার।
পার্কের কাজ খুবই দ্রুতগতিতে চলছে এবং ক্রমাগত দর্শনার্থীরা আসছে, সময়টা যে একদম খুব খারাপ কেটেছে তা বলব না, তবে আপাতত পার্ক যে অবস্থায় আছে, সেখান থেকেই আমরা বিনোদন খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
যে কয়েকটি রাইড ছিল সবগুলো রাইডে চড়েছিলাম, আমার বেশ মাথা ঘুরে ছিল চরকিতে উঠে, অনেকটা সময় লেগেছিল নিজেকে স্থির করতে, তবে দারুণ উপভোগ করেছি প্রত্যেকটা রাইড। পরে অবশ্য ফুড কর্নারে হালকা-পাতলা খেয়ে, বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম।
সব মিলিয়ে যদি বলতেই হয়, সময়টা আসলেই বেশ ভালো কেটেছিল সেদিন। আমাদের কাটানো মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে একটা ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করেছি, আশাকরি ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া যে কোন শহরেই বাচ্চাদের জন্য একটা শিশু পার্ক খুবই প্রয়োজন। কেননা চার দেয়ালে বন্দি থাকতে থাকতে বাচ্চারাও হাঁপিয়ে ওঠে ।ভালোই হয়েছে আপনাদের শহরে শিশু পার্ক তৈরি হচ্ছে এবং আপনারা গিয়ে বেশ আনন্দ করেছেন বোঝা যাচ্ছে ।আপনিও তো দেখছি বাবুর সঙ্গে সবগুলো রাইডে চড়েছেন ।বেশ মজা লাগলো বিষয়টা ।তবে আপনার মত আমারও মাথা ঘুরানোর সমস্যা হয়। তবে আমিও মেয়ের সঙ্গে রাইডে চড়ে থাকি, বেশ ভালই লাগে ।ধন্যবাদ আপনাকে আপনাদের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
বাধ্য হয়ে চড়া লেগেছে আপু, বাবুকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য।
ভাই আপনি আজকে আমাদের কাজী রাশিদা পার্কে পরিবার নিয়ে ঘোরাঘুরির কিছু অনুভূতি। আসলে পার্কের মধ্যে পরিবেশটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সেখানে ছোট্ট ছেলে মেয়েদের আনন্দ দেওয়ার জন্য বেশ কিছু খেলনার জিনিস রয়েছে সেগুলো দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল। আপনারা সেখানে বসে আইসক্রিম খেয়েছিলেন এটাও জানতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
শহরে জীবনে বাচ্চাদের খেলার জায়গা তেমন থাকেই না। আশেপাশে যদি এরকম শিশু পার্ক থাকে তাহলে বাচ্চারা কিছুটা সময় হলেও আনন্দে কাটাতে পারে। আর এক্ষেত্রে যেহেতু পার্কটা সবেমাত্র শুরু করছে সেই হিসেবে আমার মনে হয় উন্মুক্ত অবস্থায় বাচ্চারা বেশ ভালোই আনন্দ করতে পারবে। তবে এই জায়গাটা একদমই গাছ গাছালি শূন্য হয়ে গেছে। এখানে যদি ফুলের বাগান বা ছোটখাটো কিছু ফলের গাছ লাগানো হয় তাহলে অবশ্য জায়গাটা স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশবান্ধব হবে সাথে বিনোদন কেন্দ্রও হবে।
এটা সত্য আপু শহুরে জীবনে এরকম পার্ক থাকলে বেশ ভালোই হয়, কেননা তাতে মানুষের বিনোদনের ঘাটতি পূর্ণ হয়।
শৈশবের একটা ফিল নিয়েছিলেন তাহলে রাইডে চড়ে 😁। ছোটবেলায় উঠা হতো। এখন তো পার্কে ও যাওয়া হয় না। আর পার্কের পরিবেশও ভালো থাকে না। যেহেতু এলাকায় নতুন দিয়েছে আশা করছি পরিচালক সাহেব পার্কের সার্বিক তত্বাবধান করবে। শায়ানে মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছেন মেবি গরমের কারণে! গরমে বাচ্চাদের মাথায় চুল থাকলে এমনিতেই মাথা গরম থাকে। যাইহোক, আপনাকে আর আপুকে ভালো লাগছে দেখতে। অনেকটা নব্বই দশকের নায়ক-নায়িকাদের মতো 🌸।
সব রাইডে চড়িনি ভাই, শুধু চড়কিতে উঠেছিলাম, তাতেই মাথা ঘুরছিল। ভালোই উপভোগ করেছিলাম সময়টা। হ্যাঁ ভাই, গরমের কারণেই ওর মাথার চুল ফেলে দিয়েছি।
খুব ভালো করেছেন চুল ফেলে দিয়ে ভাইয়া।
ভাইয়া আপনি গ্রামে আছেন জেনে ভালো লাগলো। শহরের তুলনায় গ্রামের আবহাওয়া কিছুটা হলেও ভালো আছে। শহরের জীবন সত্যি বিরক্তিকর। আর মাঝে মাঝে সেই বিরক্তি কাটিয়ে ওঠার জন্য এরকম সুন্দর খোলামেলা পার্কে যেতে অনেক ভালো লাগে। পার্ক মালিকের বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আশা করছি তিনি পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাবেন। নতুন একটি পার্ক হয়েছে দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
পার্কের মালিকের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে, এটা সত্যিই খুবই কার্যকরী হবে আমাদের এই শহরের মানুষের জন্য।
এই ধরনের উদ্যোগকে অবশ্যই সবার সাধুবাদ জানানো উচিত। এই বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠার কারণে অনেকেই সেখানে গিয়ে সময় কাটাতে পারবে। বিশেষ করে বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন ধরনের রাইডে চড়ালে তারা বেশ আনন্দ করতে পারবে। আশা করি ধীরে ধীরে পার্ক কর্তৃপক্ষ পার্কের বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে। শায়ান তো দেখছি ভীষণ খুশি হয়েছিল রাইডে উঠে। ঘুরাঘুরি এবং হালকা পাতলা খাওয়া দাওয়া করে আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলেন সেখানে। ভিডিওটি চমৎকার হয়েছে ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ শায়ান আসলেই খুব খুশি হয়েছিল সেই সময় ভাই, ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
আসলেই বাচ্চারা ঘরে থাকতে থাকতে বেশ বোরিং ফিল করে,এমনকি বলে বিভিন্ন ডিভাইসে আসক্ত হয়ে যায়। তাই আশে পাশে কিছু এমন শিশু পার্ক হলে ভালোই হয়,তাতে বাচ্চারা ঘুরে বেশ মজা পায়।নতুন তৈরি করছে তো তাই ভীড় একটু বেশি।যাক বাবু বেশ মজা তাই অনেক।ধন্যবাদ
এটা সত্য বাবু বেশ ভালই মজা করেছে, সেই সময়টাতে আপু।
অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনারা শিশু পার্কে যেয়ে সময় অতিবাহিত করলেন। বাচ্চাদের জন্য পার্ক অনেক ভালো একটি জায়গা। পার্কে অনেক পশুপাখি দেখতে পারে বাচ্চারা এবং বিভিন্ন ধরনের খেলনায় খেলতে পারে। আমিও চেষ্টা করি প্রায় সময় পার্কে যাওয়ার বাচ্চাদেরকে নিয়ে। আপনারা দুইজন বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করলেন। খুব সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি ব্লগ শেয়ার করলেন ধন্যবাদ।