শহুরে বাতাস
দীর্ঘ অনেকটা দিন ধরে গ্রামে আছি, খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া শহরের দিকে যাওয়াই হয় না। তাছাড়া সমসাময়িক সময়ে চারপাশের যে অবস্থা, সেইসব বিবেচনা করে শহরে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা কোন ভাবেই যেন মাথায় আসতো না।
যদিও কয়েকটা দিন হলো পারিপার্শ্বিক অবস্থা কিছুটা অনুকূলে এসেছে, তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে গতকাল গিয়েছিলাম শহরে। ওই যে টুকটাক কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটা ছিল বিধায় শহরে যাওয়া আরকি।
ভিডিও লিংক
শহরের পা দেওয়ার পরেই, মনে হচ্ছিল যেন চিরচেনা শহরটাকে আবারো নতুন করে দেখছি। অনেকটাই চিত্র বদলে গিয়েছে, আগের মতো আর খুব একটা ব্যস্ততা লক্ষ্য করলাম না শহরটাতে। মুহূর্তেই যেন বড্ড গুছিয়ে উঠেছে শহরটা।
যেহেতু কেনাকাটার জন্য এসেছি, তাই সেই দিকটাতেই মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করলাম। প্রথমেই গিয়েছিলাম কসমেটিকের দোকানে, মূলত বাবুর ডায়াপার আর খেলনা কেনার জন্য। তাছাড়া গিন্নির জন্য টুকটাক প্রসাধনী কেনার ছিল, তাই সেই দিকটাতেও তীক্ষ্ণ নজর দিতে হয়েছিল।
অতঃপর সেখান থেকে আবারো ওষুধের দোকানে। মূলত আমার পুরো মাসের প্রেশারের ওষুধ কেনার জন্য। ওষুধ কেনা শেষ হলে, সেখান থেকে বেরিয়ে আবারও গিয়েছিলাম জুতোর শোরুমে। গিন্নি, বাবু ও বাবুর আন্টির জুতা কেনার জন্য।
জুতার শোরুমে যাওয়ার পিছনে অবশ্য কারণ ছিল, কেননা বেশ ভালই ডিসকাউন্ট দিয়েছিল সকল পণ্যের উপর। তাই একপ্রকার উঁকিঝুঁকি দিয়েছিলাম শোরুমটাতে। সবার জন্যই টুকটাক জুতো কেনা হলো। তবে পকেটের অবস্থা ইতিমধ্যেই কিছুটা নাজুক হওয়ার কারণে নিজের জন্য আর কেনা হলো না।
আমি অবশ্য ওদের সবার কেনাকাটা দেখছিলাম আর শোরুমটা ঘুরে ঘুরে ভিডিও করছিলাম, বেশ ভালোই আন্তরিক ছিল ভেতরের লোকজন। অবশেষে পয়সা মিটিয়ে, বেরিয়ে আসলাম সেখান থেকে।
এখন আমার বাড়ি ফেরার পালা, এই শহুরে জীবনটা বড্ড ব্যয়বহুল, আমাদের মতন সাধারণ মানুষদের বড্ড হিমশিম খেতে হয় এমন পরিবেশে। তারপরেও কিন্তু কোন না কোনভাবে জীবন চলেই যাচ্ছে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যে কথা সত্যই শহরে জীবন প্রচন্ড ব্যয়বহুল হয়। মধ্যবিত্ত মানুষদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় বৈকি। আপনার ব্লকটা পড়ে অনেক কিছু জানলাম তার থেকেই জানতে ইচ্ছে হচ্ছে আপনি কি হাই প্রেসারের রুগী?
বৌদি আর বাবুর জন্য অনেক শুভেচ্ছা জানালাম।
বিগত আট বছর থেকে উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগছি , দিদি।
এই বয়সেই! যাহ!
জীবন বড্ড অদ্ভুত, কখন কি হয় বলা মুশকিল।
দাদা আপনি কিন্তু অসাধারণ লিখেছেন।
গ্রামে থাকার সুযোগ থাকলে গ্রামে সময় কাটাতে বেশ ভালোই লাগে। তাছাড়া ডিসকাউন্টের কথা শুনলে তো সেখানে না গেলে চলেই না। ডিসকাউন্ট পেয়ে বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছেন দেখছি। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন এখনকার পরিস্থিত অন্যান্য সময় থেকে কিছুটা আলাদা। যাই হোক আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত দেখে ভালো লাগলো।
সবার জন্যই কেনাকাটা হয়েছে, তবে আমার জন্য কিছু কেনা হয়নি আপু।
আমরা যে যেখানেই যাইনা কেনো নিজের শহর নিজের বাসস্থান এর মতো কোনো শান্তির জায়গা আছে বলে আমার মনে হয় না।যাক অনেক দিন পর নিজের জায়গায় ফিরেছেন দেখে ভালো লাগলো।সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো আপনার টি-শার্ট টি অনেক সুন্দর মানিয়েছে আপনাকে সাদা রঙে খুব স্নিগ্ধ লাগছে আপনাকে।যেখানেই থাকেন সবসময়ই ভালো থাকেন এই প্রার্থনা করি সবসময়ই।🙏❤️
টি-শার্টের জন্য অবশ্য ধন্যবাদ দিতে হয় ঐশীকে। আপনিও ভালো থাকুন।
শহরের জীবনটা আসলেই অনেক বেশি ব্যয়বহুল দাদা। আর এই জন্যই তো আমি গ্রাম অনেক বেশি পছন্দ করি, ঠিক আপনার মত। তবে একটা জিনিস জেনে খারাপ লাগলো যে, পরিবারের জন্য আপনি এত কিছু কেনাকাটা করলেন কিন্তু নিজের জন্য কিছু কিনলেন না। তবে অন্য একটা জিনিস জেনে আবার একটু ভালোও লাগলো যে, শহরের অবস্থা আগের থেকে বেশ সুন্দর এবং গোছানো হয়েছে। অনেক বেশি ভালো লাগলো দাদা আপনার পোস্ট পড়ে এবং ভিডিওটা দেখে।
দায়িত্ব বেড়ে গেলে, আসলে নিজের জন্য অনেক কিছুই করা হয় না রে ভাই, এটাই জীবন।