স্বস্তির খোঁজে
গত কয়েকদিনের থেকে আজকের গরম ছিল প্রচন্ড বেশি। এমনিতেই যে জায়গাটাতে থাকি, সেটা অনেকটা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। তার মধ্যে আমাদের বাসাটা আধাপাকা। মানে সূর্যের তাপ একদম সরাসরি টিনের চালে। বুঝতেই তো পারছেন, এমন পরিস্থিতিতে ঘরের ভিতরে কেমন তাপমাত্রা হওয়ার কথা।
মনে হচ্ছিল যেন, মাথার উপরের ঐ বৈদ্যুতিক পাখা থেকে আগুনের ফুলকি ঝরছিল। তার মধ্যে তো লোডশেডিং ক্রমাগত লেগেই আছে, মেঝের উপরে যেন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বালিশ নিয়ে গড়াগড়ি করছিলাম।
বেলা যত গড়িয়ে যাচ্ছিল সূর্যের তাপ যেন ততটাই বৃদ্ধি পাচ্ছিল। শহুরে জীবনটা অনেকটা জেলখানার মত বন্দী। অতীব কষ্টে দিনের বেলার সময়টা কোনরকমে কাটিয়ে দিয়েছিলাম ঘরের ভিতরে, তবে একটা সময়ের পরে ভীষণ অস্থির বোধ করছিলাম সকলে ।
অতঃপর বিকেল বেলার কিছুটা পূর্বে পরিবার নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়ার জন্য। বলতে পারেন কিছুটা স্বস্তির জন্য। ঘন্টা চুক্তি রিকশা ভাড়া করেছিলাম, যেহেতু ব্যাটারি চালিত রিকশা, তাই চালকের খুব একটা অসুবিধা হয়নি, আমাদের নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে।
এখন সূর্যের তেজ কিছুটা কমেছে, তবে ভ্যাপসা গরম যেন কোনভাবেই কমছে না। শহুরে এলাকা পেরিয়ে যখন গ্রামীণ এলাকার দিকে গিয়েছিলাম, তখন চলন্ত রিকশাতেই ফুরফুরে শীতল বাতাস যেন ক্রমাগত ধাক্কা দিচ্ছিল। মুহূর্তেই সজীবতা কাজ করছিল নিজেদের ভিতরে। হালকা শীতল বাতাসে, সারাদিনের যে ক্লান্তি ছিল তা যেন ভুলে গিয়েছিলাম।
বাবু তো চলন্ত রিকশাতেই ঘুমিয়ে গিয়েছিল, ফুরফুরে শীতল বাতাসে ওর ছোট্ট শরীরটা যেন এলিয়ে গিয়েছিল প্রশান্তির জন্য। এখন আর ক্লান্তির ছাপ চোখে মুখে নেই, অনেকটা সময় ধরে রিকশায় বসে থেকে রাস্তার দুপাশের সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্য অবলোকন করার চেষ্টা করছিলাম।
যে স্বস্তির খোঁজে এসেছিলাম, তা আমরা পেয়ে গিয়েছিলাম। তবে কোনভাবেই এখান থেকে যেতে ইচ্ছে করছিল না, মনে হচ্ছিল আরো কিছুটা সময় যদি থেকে যেতে পারতাম, তাহলে ভালোই হতো। তবে যেহেতু সন্ধ্যে ঘনিয়ে আসছিল, অতঃপর এক প্রকার বাধ্য হয়েই সিদ্ধান্ত নিলাম বাসায় ফেরার।
আবারো সেই যান্ত্রিক জীবন, বন্দী পরিবেশ, ঘনবসতি আর বৈদ্যুতিক বিভ্রাট এসব তো লেগেই আছেই। অনেকটা মানিয়ে নিয়েই থাকতে হচ্ছে আর এভাবেই যাচ্ছে গরমের সময় গুলো।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ভাই এই গরমের মাঝে আপনি স্বস্তি কোথাও খুঁজে পাবেন না। একমাত্র আপনি যদি হিমালয়ের মাথার উপরে যেতে পারেন তাহলে একটু স্বস্তি পাবেন। সব জায়গায়ই একই অবস্থা। আমাদেরও এখানে এতটাই গরম পড়েছে যে দিনের বেলা বাইরে বেরোতে একদম ভয় হচ্ছে। যাইহোক এই গরমে পরিবারের সবাই মিলে সাবধানে থাকবেন।
হিমালয় তো আর দাদা বাড়ির পাশে না, যদি হতো তাহলে না হয় চলেই যেতাম। আপনারাও ভালো থাকবেন, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
আজকে প্রচন্ড রোদ ছিল। রোদের তাপমাত্রা এতটাই ছিল যে রুমের ভিতর থাকায় যাচ্ছিল না। টিনের চালে যদি সূর্যের তাপ পড়ে তাহলে ফ্যানের বাতাস মনে হচ্ছে আগুন পড়তেছে উপর থেকে। এইরকম পরিস্থিতিতে যাদের দোতলা ঘর তারা নিচ তলায় বেশ শান্তিতে থাকতে পারতেছে কিন্তু যাদের দুই তলা ঘর তার ওপর তলায় ওই কষ্ট ভোগ করতেছে। খুব ভালো কাজ করেছেন। নিজের পরিবারকে স্বস্তি দেয়ার জন্য বিকেলবেলায় বের হয়েছিলেন প্রকৃতির কাছাকাছি। বাড়ির পাশে যদি একটু বাগান থাকে তাহলে স্বস্তি নিঃশ্বাস ফেলা যায়। গ্রামের দিকে একটু শান্তিতে থাকা যায়, একটু যদি বাতাস পাওয়া যায়।বাধ্য হয়েই আপনারা বাসায় ফিরে গেলেন এরকম স্বস্তির জায়গা থেকে কিছু করার নাই, যান্ত্রিক জীবন এভাবেই জীবন কেটে যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই যেন ভালো দিন আসে দোয়া করি।
আসলেই ভাই শহুরে জীবনে, গরমে একদম অস্থির অবস্থা যাচ্ছে। সবারই ভালো দিন আসুক, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
যাক কিছুটা সময়ের জন্য হলেও তো স্বস্তিতে ছিলেন। আসলেই ভাই গরমের তীব্রতা যেভাবে বাড়ছে দুপুর বেলা ঘরে একেবারে থাকা যায় না। ফ্যানের বাতাস মনে হয় আগুন। তখন বাধ্য হয়েই এইরকম বাইরে চলে যেতে হয়। বিকেলে রিক্সায় ঘোরার ব্যাপার টা খারাপ ছিল না ভাই। আপনাদের সময়টাও কেটে গেল একটা রিফ্রেশমেন্টও হয়ে গেল।
এটা ঠিক বলেছেন, আসলে রিফ্রেশমেন্টের এর জন্যই এই ঘোরাঘুরি ছিল।
এই গরমে জনজীবন অতিষ্ট প্রায় । বিশেষ করে শহরে তো খুবই খারাপ অবস্থা । রাতে কারেন্ট চলে গেলে ঘুমানো যায় না । কিন্তু গ্রামে থাকলে তো কারেন্ট চলে গেলেও প্রাকৃতিক হাওয়া পাওয়া যায় । সেটা ফ্যানের বাতাস থেকেও শতগুনে ভালো । যাই হোক, আপনি ফ্যামিলিকে নিয়ে কিছুটা সময় বাহিরে কাটিয়েছেন খুবই ভালো হয়েছে । আসলে এরকম মাঝে মাঝে সময় কাটাতে পারলেও মনটা ফ্রেশ হয়ে যায় ।
আসলে নিজের থেকে স্বস্তি পাওয়ার জন্যই, এই কার্যক্রম ছিল ভাই।
গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে সারাদেশে লোডশেডিং বেড়েছে। এতে করে অবস্থা খুবই শোচনীয়। তবে যারা গ্রামীণ খোলামেলা পরিবেশে থাকে,তারা অনেকটা স্বস্তিতে থাকতে পারে। শহুরে মানুষদের এখন একটাই চাওয়া, সেটা হচ্ছে বৃষ্টি। যাইহোক পরিবার নিয়ে গ্রামীণ পরিবেশে ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ভাই। শায়ান তো আরামে একেবারে ঘুমিয়ে পরেছে দেখছি। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যাদের ঘরের উপরে টিনের চালা,দুপুরের দিকে তাদের ঘরে প্রচুর গরম লাগে। তবে রাতের বেলা অনেক ঠান্ডা লাগে। যেহেতো শহরে থাকেন,তাই গাছ পালাও নেই। তাই গরমটা বেশি বুঝা যায়। যায়হোক বিকাল বেলা রিকশা দিয়ে ঘুরে ভালোই স্বস্থি পেয়েছেন। ধন্যবাদ।