হঠাৎ বিয়ের দাওয়াত
গতরাতে যখন নিজের কাজ করছিলাম, তখনই মুঠোফোন মারফতে বিয়ের দাওয়াত পেলাম বড় শ্যালিকার কাছ থেকে। এতটাই তড়িঘড়ি করছিল সে, আমাকে যেন দ্রুত যেতে হবে এমনভাবে প্রস্তাব করে বসেছিল।
বড় শ্যালিকা বলতে বুঝিয়েছে আমার গিন্নির চাচাতো বোন কে। যেহেতু তার মেয়ে সমসাময়িক সময়ে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত ছিল, তাই প্রায়ই বিভিন্ন জায়গা থেকে বিয়ের সম্বন্ধ আসছিল। তাছাড়া গ্রাম অঞ্চলে এমনটা হওয়া ভীষণ স্বাভাবিক।
সেঁধিয়ে দেওয়া প্রথা কিংবা কুসংস্কার গুলো এখনও গ্রামাঞ্চল থেকে সেভাবে উঠে যায়নি, কবে নাগাদ উঠবে তাও বলা মুশকিল। তবে এক্ষেত্রে মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি।
আজও হয়তো তেমনটা হয়েছিল, হয়তো এবার পাত্রপক্ষ কিংবা আমার বড় শ্যালিকার পরিবারের উভয়ের পছন্দ হয়েছিল বিধায় ঝটপট, এই বিয়ের আয়োজন। এক প্রকার বাধ্য হয়েই সেই রাত্রিবেলা পুরো পরিবার নিয়ে রওনা দিলাম গ্রামের উদ্দেশ্যে। পৌঁছতে পৌঁছতে তখন রাত্রি সাড়ে বারোটার মত বাজে।
অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ ভালোই আয়োজন করে ফেলেছে তারা। ছেলেও সবেমাত্র পড়াশোনা শেষ করেছে,বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করে। অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো বিধায়, মেয়ের বাড়ির লোকজনের একটু গুরুত্ব বেশি সেদিকে। মেয়ের মতামত কি ছিল তা আমার জানা নেই, হয়তো বাবা-মার পছন্দই তার নিজের পছন্দ।
আমার এত বিস্তারিত জেনে বুঝে লাভ নেই। অনেকটা এসেছি কথা রক্ষার্থে । তারা যেহেতু এই সময়ে তাদের মেয়ের বিয়ে কে ভাল মনে করেছে, সেখানে প্রশ্ন রাখা নিতান্তই বোকামি। অতঃপর সেই মাঝরাতে ভরপুর খেয়ে, ঘুমোতে যেতে পারলেই বাঁচি। কেননা সকাল হতে আর স্বল্প মাত্র সময় বাকি।
ঝটপট কোন কাজে, আমি খুব একটা আগ্রহ প্রকাশ করি না। আর যাইহোক বিবাহ বন্ধনের মত গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কে একটু গভীর চিন্তা-ভাবনা করে তারপরে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
তারপরেও নবদম্পতির জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা রইল। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখকর হোক, এই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করলাম।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গ্রামের অধিকাংশ মেয়ে রা তার বাবা মায়ের পছন্দের ছেলে কে বিয়ে করে। ভাবির চাচাতো বোনের মেয়ের বিয়ে বলে কথা। তাহলে বেশ ঝামেলা নিয়ে সবাইকে নিয়ে রাতের বেলায় গিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। ছেলে পড়ালেখা শেষ করে বাবার ব্যবসা দেখা শোনা করছে খুব ভালো। দুজনের জন্য দোয়া রইল। আশাকরি খুব শিগগিরই আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে পাবো ইনশাআল্লাহ। সবার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।
আমি আসলে খুব বেশি ছবি তুলতে পারিনি ভাই, তার জন্য দুঃখিত। তবে বেশ ভালোই ঝামেলা পোহাতে হয়েছে।
ঝটপট যেকোনো কাজ করার পক্ষে আমি নিজেও না ভাই। দ্রুত কাজ সবসময় খারাপই হয়। আর বিয়ের মতো কাজে অনেক ধীরে দেখেশুনে সময় নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। মাঝ রাতে তড়িঘড়ি বিয়ের দাওয়াত ব্যাপার টা একটু বাড়াবাড়ি ছিল। যাইহোক নবদম্পতির জন্য শুভকামনা। আশাকরি তাদের ভবিষ্যৎ জীবন সুখের হবে।
জীবন যেখানে যেমন, এখন যে যেভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, এই আরকি ভাই।
নব দম্পতির জন্যে শুভকামনা রইল। আল্লাহ তাদের এই জোড়কে কবুল করে নিন।
আপনারা কি তাহলে বিয়ের খাওয়াটাই সেহরী হিসেবে খেয়েছেন?
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, ভোর বেলাতে সেহেরি খেয়েই ঘুম।
সারাজীবনের বন্ধনের, জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজে আমিও মনে করি ভেবেচিন্তে সবকিছু করা দরকার। তবে গ্রামের দিকে নিয়মটা পুরো উল্টো। ছেলে পছন্দ হয়েছে, ব্যাস! বিয়ে দিতে পারলেই বাচেঁ। তবে সারাদিন রোজা রেখে রাতে দাওয়াত তেমন একটা খাওয়াও যায়না। তবে নবদম্পতির নতুন জীবনের জন্য শুভেচ্ছা। 🌼
আমাদের এখানে বিয়ে শাদির ব্যাপারে একটি কথা প্রচলিত আছে যে,তাড়াহুড়ার বিয়ে কখনোই ভালো নয়। তবে কিছু কিছু মেয়ে পক্ষ, ছেলেদের আর্থিক অবস্থা ভালো দেখলেই, তাড়াহুড়া করে বিয়ে দিয়ে দেয় মেয়েদের। এমনকি তারা মেয়েদের মতামত নেওয়ারও প্রয়োজন মনে করে না। যাইহোক হঠাৎ বিয়ের দাওয়াত পেয়ে,মাঝ রাতে খাবার খেয়েছেন তাহলে। এই স্মৃতিটা কিন্তু অনেক দিন মনে থাকবে আপনাদের। যাইহোক নবদম্পতির জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।
আমারও সেটাই মনে হয় দাদা, যে বিয়ের মত এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাড়াহুড়ো করে করা উচিত নয়। অনেকটা সময় নিয়ে বুঝে তারপর করা উচিত। যাইহোক, তবে আপনি হঠাৎ করেই বিয়ের দাওয়াত পেয়ে যেভাবে এত রাতে ছুটে গিয়েছেন নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে, এরকম দায়িত্ববোধ অনেকের ভিতরেই থাকে না দাদা । যেহেতু ছেলের বাড়ির অবস্থা ভালো, সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয় বুঝে শুনেই করেছে বিয়ের ব্যবস্থাটা।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া বিয়ের মত এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত হুট করে নেয়া মোটেই ঠিক না। যাই হোক মেয়ের বাবা-মা নিশ্চয়ই ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন গ্রামে এখনো কুসংস্কার গুলো রয়ে গিয়েছে। মেয়ের পছন্দের কোন দাম নেই সেখানে। বাবা-মার পছন্দকে মেয়ের পছন্দ হিসেবে মেনে নিতে হয়। যাক আপনার মত নব দম্পতি সুখী হোক সেই দোয়া করি।