অভিজ্ঞতার আলোকে, প্রতারকের প্রকারভেদ
প্রতারক বলতে কি বুঝায়, এই প্রশ্নের এক কথায় যদি উত্তর দেওয়া যায়, তাহলে যে উত্তর মিলবে সেটা হচ্ছে, যারা অন্যকে ঠকিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করে নেয় তাকেই প্রতারক বলে।
জায়গা ও স্থানভেদে এই প্রতারকের রূপভেদ বিভিন্ন রকম। কিছু উদাহরণ আমি নিচে দেওয়ার চেষ্টা করছি, কর্পোরেট কিংবা অফিস-আদালতে যে প্রতারক গুলো থাকে এরা দেখতে অনেকটাই নিষ্পাপ শিশুর মত। স্যুট-বুট টাই পড়ে এরা ভদ্র সাজে, এদের দেখলে বুঝতেই পারবেন না, এদের ভিতরের নোংরা মানসিকতা সম্পর্কে। যখনই এদের আসল রুপ প্রকাশ্যে আসে তখনই শুধুমাত্র এদেরকে বেশ ভালোভাবে চেনা যায়।
তাছাড়া ভ্রাম্যমান প্রতারকদের কে তো সবাই অতীত থেকেই চেনেন, যারা বহু আগে থেকেই সমাজে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ভ্রাম্যমান প্রতারক বলতে আমি যেটা বুঝিয়েছি, সেটা হচ্ছে চোখের সামনে যে প্রতারণা গুলোর সাদৃশ্য প্রতিনিয়ত বাস্তবে দেখা যায় ঠিক তাদের কে।
আসলে যদি আরো পরিষ্কার করে বলতে চাই, তাহলে যে বিষয়টা চোখে আসে, তা হচ্ছে যারা নিজের লোভ কে পরিহার করতে পারে না এবং মানুষকে অন্যায় ভাবে ঠকিয়ে থাকে, তাদের কে প্রতারক বলা যায়। এই প্রতারক ভদ্র সমাজ থেকে শুরু করে একদম প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রামীণ অঞ্চলেও বিদ্যমান। তবে স্থানভেদে শুধুমাত্র এদের প্রতারণার কৌশলটা একটু আলাদা হয়ে থাকে।
সাধারণত এই প্রতারকের তালিকায় পড়তে পারে, অফিস আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারী, কর্পোরেট অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, আমলা-কামলা কিংবা ভবঘুরে মানুষজন। তবে প্রতারণার শিকার যেকোনো অবস্থায়
যে কেউ হতে পারে।
আচ্ছা এখন বাস্তবের কথা বাদ দিয়ে, অনলাইনে আসি। বর্তমান সময়টা হচ্ছে অনলাইনের যুগ। এটার যেমন সুফল আছে, তেমনটা আবার কুফল বিদ্যমান । অর্থাৎ অনেকেই আবার এখানে নিজের কুটিলতা পূর্ণ বুদ্ধি খাঁটিয়ে, বিভিন্ন রকম অন্যায় কার্যক্রম করে যাচ্ছে।
মূলত অনলাইনের প্রতারণার কার্যক্রম গুলো একটু আলাদা। এখানকার প্রতারকরা বড্ড স্মার্ট। এদেরকে আপনি সহজে খালি চোখে চিনতে পারবেন না। কেননা এরা আপনার আবেগ ইমোশনের জায়গা কে টার্গেট করে থাকে। যারা ওদের ফাঁদে পা দেয়, তারাই মূলত প্রতারিত হয়।
তবে এখানে আমার-আপনার কারোই নিশ্চয়তা নাই, যেকোনো কেউ যে কোন অবস্থায় প্রতারিত হতে পারি। তাই যতটুকু আমি বুঝি ছোট মাথায়, সেই জ্ঞান থেকে একটা কথাই বলতে চাই, অনলাইনে থাকতে গেলে আর যাইহোক আবেগ-ইমোশন কে দূরে সরে রাখতে হবে এবং সচেতন হতে হবে।
এই যে দীর্ঘ সাত বছর ধরে ব্লকচেইনে আছি, কত রকম অভিজ্ঞতা যে হয়েছে তার হিসেব নেই। প্রতিটি অভিজ্ঞতাই যেন বিভিন্ন রকম শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে, তাই নিজের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, এই ব্লকচেইনেও কিন্তু প্রতারক আছে। তাই যারা ব্লকচেইনে কাজকর্ম করছেন, তারা নিজ দায়িত্বে নিজেদের সচেতনতা বৃদ্ধি করুন এবং প্রতারক হতে সাবধান থাকুন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বর্তমান সময় খুবই খারাপ। বিশেষ করে অনলাইন মাধ্যমে প্রতারক চক্র অনেক ধরনের সুবিধা হাতিয়ে নিয়ে মানুষকে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তি করছে। যেটা অনলাইনে ঢুকলেই কম বেশি নিউজ পড়ে দেখতে পাই। তাছাড়া বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে অনেক প্রতারক রয়েছে যারা কঠিন চালাক। মানুষকে আপন করে নিয়ে প্রতারিত করে সেজন্য সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
সচেতনতা বাড়ানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
আমাদের এই পৃথিবীতে অনেক ধরনের প্রতারক রয়েছে। একেক প্রতারকের প্রতারণার ধরন আলাদা। তারা মানুষদেরকে ফাঁদে ফেলার জন্য বর্তমানে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে থাকে। আমাদের দেশের মানুষজন বাস্তব প্রতারণার ব্যাপারে অনেকটা সচেতন হলেও,অনলাইন প্রতারণার ব্যাপারে ততোটা জানে না। তাইতো বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে অনেকেই প্রতারিত হচ্ছে। আমাদের সবার উচিত অনলাইন প্রতারণার ব্যাপারে আরও জানা এবং সতর্কতা অবলম্বন করা। যাইহোক এমন সচেতনতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য দেওয়ার জন্য।
প্রতারক নিয়ে দারুন লিখেছেন ভাইয়া।বর্তমান ভদ্র প্রতারক এর সংখ্যায় বেশি।আর এই ধরনের বেশিরভাগ প্রতারক আমরা অনলাইনেই দেখতে পাই।আমাদের সকলের উচিত আরও বেশি সতর্কতার সাথে নিজেদের জীবন পরিচালনা করা।ভালো লেগেছে লেখাটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সতর্কতাই মুখ্য বিষয় আপু।
ভাইয়া প্রতারক তো সব জায়গাতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। হোক সেটা অফিস আদালতে সুট বুট পরা কিংবা ঘরের ভেতরে। এই দেখুন না আমার অবস্থা আমার আপন বড় ভাই আমার বাবার রিটায়ার্ড ও পেনসনের সমস্ত টাকা লুফিয়ে নিয়েছিল। আমার বয়স কম হওয়ার জন্য আমার বাবা আমার উপরে নির্ভর করতে পারেনি। আর তাই সমস্ত টাকা তার হাতে দিয়ে দিয়েছিল। আর সে সব টাকা বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য করতে গিয়ে ক্ষয় ক্ষতি করে এখন আমার বাবার টাকা সম্পূর্ণ নিঃশেষ করে ফেলেছে। আপন ভাই হয়ে ভাইকে বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে বড্ড প্রতারিত করেছে। যা মনে করলে এখনো ভীষণ কষ্ট পাই। তবে আমার বাবার ভাগ্যটা ভালো তিনি আবার নতুন করে পেনশনের টাকা তুলতে পারছে। শুধু অফিস আদালত কিংবা ব্লক চেন অথবা ঘরের প্রতারক নয় ভাইয়া, বরং আমাদের এই সমস্ত কুচক্রী প্রতারকের হাত থেকে সর্বদাই সজাগ থাকা উচিত।
আপনার ব্যাপারটা জেনে বেশ ব্যথিত হলাম ভাই। সচেতন ও সতর্ক থাকুন।
একদমই ! আজকাল প্রতারকের অভাব নেই ৷ সব জায়গায় প্রতারকের বিচরণ ৷ যে যেভাবে পারছে প্রতারণা করে যাচ্ছে ৷ তবে সবাই মুখোশ পরিহিত ৷ এদের দেখে বোঝার উপায় থাকে না , এদের মন মানসিকতা কতটা খারাপ হতে পারে ৷ যাই হোক , অনলাইন জগতেও প্রতারকের আনাগোনা অনেক বেশি ৷ এজন্য সতর্ক থাকতে হবে , নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই দেখতে হবে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
আসলে বর্তমান সময়ে প্রতারকদের চেনা বড়ই মুশকিল। কারণ এই প্রতারকরা কিন্তু ভদ্রলোকের মুখোশ পড়ে আমাদের চারিদিকে ছড়িয়ে থাকে। প্রথম দেখাতে এদের ভদ্রলোক মনে হলেও পরবর্তীতে এদের ক্ষতির ফলে আমরা বুঝতে পারি যে এরা ভদ্রলোকের আড়ালে এক প্রতারক। আসলে আপনি আজকের পোস্টটির মাধ্যমে প্রতারকের প্রকারভেদটি খুব সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন দাদা, কার ভিতরে কি চলছে তা বোঝা বড্ড মুশকিল।
আমি নিজেও অনলাইনে প্রতারণার শিকার। পণ্য দিবে একটা দিলো আরেকটা! সাথে টাকাও নিল বেশি। আবার টাকা দিয়েছি কিন্তু প্রোডাক্ট দেয়নি! আমার কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা বলতে গেলে। তবে এটা ঠিক বলেছেন অনলাইনে আবেগ ইমোশন দশহাত দূরে রাখা জরুরি। কারণ প্রতিনিয়ত প্রতারকের সংখ্যা বাড়ছে।
আমারও তাই মনে হয় ভাই, যত দূরে ইমোশন কে সরে রাখা যাবে ততই ভালো।
জি ভাইয়া 🌼
হা হা হা... আপনার এই কথাটা অনেক ভালো লাগলো দাদা।
সত্যি কথা বলতে এত রকমের প্রতারক আছে যে, সেটা আমার জানা ছিল না। তবে আমি নিজেও মনে করি, সব থেকে বড় এবং স্মার্ট প্রতারক গুলো অনলাইন প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত। আমাদের সবাইকেই এই মানুষগুলোর থেকে সচেতন থাকতে হবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা, এই বিষয়ে আমাদের সবাইকে কিছুটা সচেতন করার জন্য।