আশঙ্কা
যেহেতু উত্তর অঞ্চলের দিকে থাকি, তাই আমাদের এ দিকের প্রধান নদ-নদী হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনা। তবে শাখা-উপশাখা নদী প্রচুর আছে। আমরা যেখানটায় থাকি সেখান থেকে দশ কিলোমিটার দূরেই করতোয়া নদী অবস্থিত।
সমসাময়িক সময়ে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির খবর সবাই ইতিমধ্যেই কমবেশি জানেন। তবে গতরাত থেকেই আবার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম আমাদের উত্তরবঙ্গে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে।
কেননা এদিকটা তাতেও যেকোনো সময় বন্যা হতে পারে। তাছাড়া তিস্তা নদীর পানি ইতিমধ্যেই বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে মনের অবস্থা খুব একটা ভালো নেই। গত কয়েকদিন থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা ঢুকছি না, কেননা ঢুকলেই ভেতরটা হাহাকার করে ওঠে।
ছোটবেলা থেকে বন্যা দেখে দেখে বড় হয়ে উঠেছি তো, তাই বন্যার কষ্টটা খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারি। যেহেতু কোন কিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণের ভিতরে নেই, তাই পরিস্থিতি ঠিকঠাক হতে এবং আমার ভেতরের আশঙ্কা দূর হতে যে একটু সময় লাগবে, তা আমি বুঝতে পেরেছি।
যে পরিমাণে বৃষ্টিপাত প্রতিনিয়ত হচ্ছে, তাতে তো এমনিতেই পানি চতুর্দিকে থৈ থৈ করে বাড়ছে। তাছাড়া উজানের পাহাড়ি ঢলের পানি, সব মিলিয়ে একদম যা-তা অবস্থা। কখন যে নিজের এলাকায় পানি ঢুকে পড়বে, সেটা নিয়েই ভীষণ চিন্তিত হয়ে আছি।
এমন পরিস্থিতিতে করণীয় কি, এর উত্তর সকলেরই জানা। তাও যদি এক কথাতেই বলতে হয়, তাহলে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা মুখ্য বিষয় আর চেষ্টা করা নিজ নিজ জায়গা থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া একে অন্যের প্রতি। সত্যি বলতে গেলে কি, এর বাইরে আর কিছুই করার নেই।
পৃথিবীটাই আসলে বড্ড চ্যালেঞ্জিং একটা জায়গা, এখানে প্রতিনিয়ত সব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে, সংগ্রাম করে এগিয়ে যেতে হবে, আশার মুখ দেখতে হবে, কখনো বা হতাশায় নিমজ্জিত হতে হবে, আবার কখনো বা আশঙ্কায় প্রহর গুনতে হবে, আবার এত কিছুর পরেও মাঝে মাঝে সফলতা এসে হাতছানি দিয়ে ডাকবে, এভাবেই হয়তো বেঁচে থাকতে হবে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দোয়া করি ফেনী, কুমিল্লা অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি খুব দ্রুততম সময়ে নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় চলে আসে। আর আপমার আশংকা যেন আশংকাই থাকে, সত্যিই উত্তরবঙ্গেও যেন বন্যা না হয় এই সময়ে। দক্ষিণবঙ্গ এর এমন বন্যা পরিস্থিতিতেই সকলে হিমশিম খাচ্ছে। যেহেতু সব কিছুই ভেসে গিয়েছে, এই অবস্থা থেকে উত্তরণ আদৌ কত সময়ে সম্ভব, তা বলা মুশকিল। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গেও বন্যা হলে দেশে দুর্ভিক্ষ আসতে সময় লাগবে না!
আসলেই আপু, যদি উত্তরবঙ্গে এই সময় বন্যা হয়, তাহলে বড্ড বিপদে পড়তে হবে।
প্রতিবছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগ গুলো আমাদেরকে হানা দিকে থাকে। ছোটকাল থেকে আপনার মত আমরা ও দুর্যোগের সম্মুখীন। প্রায় সময় দেখে থাকি একটা না একটা দুর্যোগ সে আমাদেরকে হানা দিয়ে দেয়। আর তছনছ করে দেয় পরিবেশের সব কিছু মানুষের জীবন যাপন। আপনারা তো দেখছি বিপদের মধ্যে আছেন যেহেতু প্রধান নদী গুলো আপনাদের ওখানে অবস্থিত। শুনলাম তিস্তা নদীর বাঁধ নাকি খুলে দিচ্ছে। তবে কতটুকু সত্যি তা জানিনা। সাবধানে থাকবেন ভাইয়া জালমাল সবকিছুর উপর একটু নজর দাড়ি রাখবেন। যেহেতু আপনাদের একটা সুন্দর সংগঠন হয়েছে এলাকার সব মানুষকে সচেতন করতে পারবেন।
আমিও তিস্তার বাঁধ খুলে দেওয়ার কথা শুনেছি, তবে কতটুকু সত্য তা এখনো জানি না আপু।
পৃথিবীটা আসলেই বড্ড চ্যালেঞ্জিং একটা জায়গা। বিভিন্ন ধরনের বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করেই আমাদেরকে প্রতিনিয়ত বাঁচতে হয়। একটা সমস্যার সমাধান হতে না হতেই, আরেকটা সমস্যা আমাদের সামনে হাজির হয়ে যায়। যাইহোক বন্যা কবলিত মানুষদের অবস্থা খুবই খারাপ। আপনাদের দিকে যাতে এমন বাজে পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়,সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই ভাই, আমি নিজেও খুব শংকিত আছি, যদি আমাদের এদিকে বন্যা হয়, তাহলে বড্ড বিপদে পড়ে যাব।
পৃথিবীটা আসলেই দাদা অনেক বড় চ্যালেঞ্জিং এর একটা জায়গা। এখানে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে গেলে সব সময়ই সতর্ক থাকতে হয়। বাংলাদেশের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে মোটামুটি আমার যে ধারণা, সেটা সত্যিই অনেক কষ্টের। আসলে আমাদের এখানেও বেশ কিছুদিন ধরে ভারী বর্ষণের কারণে সব জায়গায় জল উঠে গেছে। তবে আশা করা যায় বাংলাদেশের এই বন্যা পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে।