দাদু বাড়ি ভ্রমণ
এই মুহূর্তটা প্রায় কয়েক সপ্তাহ আগের, খানিকটা দেরিই হয়ে গেল আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে। দাদু বাড়িতে খুব একটা যাওয়া হয়ে ওঠেনা, তার প্রধান ও অন্যতম কারণ হচ্ছে, সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই বললেই চলে। যেহেতু নদীর তীরবর্তী এলাকা, তাছাড়া সেখানে যাওয়ার রাস্তাও বেশ নাজুক, তাই সব মিলিয়ে সেখানে যাওয়ার ইচ্ছে মনে জাগলেও, ইচ্ছেটাকে দমিয়ে রাখি।
দাদু ভাইয়ের বয়স হয়ে গিয়েছে, প্রায়ই শুনি সে নাকি আমাকে দেখতে চায়। যেহেতু দীর্ঘদিন যাবৎ সেখানে যাওয়া হয়ে ওঠেনি, তাই এমন প্রত্যাশা করা তার পক্ষ থেকে নিতান্তই অস্বাভাবিক না। অতঃপর সেদিন বিকেলে পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম দাদু বাড়িতে। তাও মূলত খুবই স্বল্প সময়ের জন্য।
হয়তো মোবাইল নেটওয়ার্ক যদি ঠিকঠাক মতো পাওয়া যেত বা যাতায়াতের রাস্তা যদি ভালো হতো, তাহলে প্রায়ই যাতায়াত করা যেত।
দুপুরের পরে সেদিন বাসা থেকে বেরিয়ে ছিলাম, একটা ছোট অটো রিক্সা নিয়ে তাতে পরিবারের লোকজন উঠে, প্রায় চল্লিশ মিনিটের ভিতরেই পৌঁছে গিয়েছিলাম দাদু বাড়ির উঠোনে। প্রচুর গাছপালা দিয়ে ভর্তি আমার দাদু বাড়ির উঠোন। বিশেষ করে সুপারি গাছ ও অন্যান্য ফলজ গাছ তো আছেই। এ বাড়িটা অনেকটাই বড়, তবে থাকার লোকের বড্ড অভাব। যেহেতু আমার চাচারা তাদের নিজের কর্মের জন্য অন্যত্র থাকে আর আমরাও খুব একটা সেখানে গিয়ে থাকতে পারিনা, তাই বলা যায় বাড়িটা প্রায় ফাঁকাই পড়ে থাকে।
যাইহোক দাদু ভাইয়ের দেখাশোনার জন্য একজন আত্মীয় সেখানে থাকে, সেই মূলত পুরো বাড়ি থেকে শুরু করে,দাদু ভাইয়ের দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদিও, মাঝে মাঝে অন্য চাচারা বা নাতিরা এসে তার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করে যায়, তবে আমার সেভাবে হয়না।
সেদিন প্রায় অনেকটা সময় বাড়ির সামনের সুপারি বাগানের ভিতরে দাদু ভাইয়ের সঙ্গে বসে গল্প করে সময় কাটিয়েছি। দাদুভাই বারবার বলছিল, আগে তুই যখন ছোট ছিলি তখন তোর বাবা তোকে প্রায়ই সঙ্গে করে নিয়ে আসতো, আর আমরা এখানেই বিকেলে বা সন্ধ্যের পরে বসে দিব্যি তোকে নিয়ে সময় কাটাতাম। তারপর তো তুই হঠাৎই বড় হয়ে গেলি, বাহিরে হোস্টেলে রেখে তোকে পড়াশোনাতে ব্যস্ত করে দিলো তোর বাবা-মা।
মুহূর্তেই অনেকটা সময় কেটে গিয়েছিল, আসলে দাদু ভাই একা একা থাকে তো, তাই অনেকটা নিঃসঙ্গতা তাকে ঘায়েল করেছে। তাই কাউকে কাছে পেলেই তার সঙ্গে নানান গল্প জুড়িয়ে দেয়। যাইহোক যেহেতু আমার পরিবারের লোকজন সবাই গিয়েছিল, তারাও চেষ্টা করছিল দাদু ভাইয়ের সঙ্গে গল্প করার জন্য । সব মিলিয়ে সেদিন দীর্ঘদিন পরে, দাদু বাড়িতে গিয়ে মোটামুটি আমাদের বেশ ভালই সময় কেটেছিল।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া যেহেতু আপনার দাদু বাড়িতে আপনার যাওয়াটা খুবই কম হয়, যার কারণে হয়তো আপনার দাদু আপনাকে দেখতে চেয়েছিল। আসলে যোগাযোগ ব্যবস্থা কিংবা নেটওয়ার্ক ভালো থাকলে আপনি প্রায় সময় আপনার দাদু ভাইকে দেখে আসতে পারতেন। তবে তেমন সুযোগ না থাকার কারণে হয়তো দেখা সাক্ষাতের গ্যাপটা অনেক হয়ে যায়। আর আপনার দাদুভাই নিঃসঙ্গ থাকার কারণে তিনিও চান সবার সান্নিধ্য পেতে। যাই হোক ভাইয়া, দাদু বাড়িতে গিয়ে আপনি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং আমাদের মাঝে তা শেয়ার করেছেন। সেই সাথে ফটোগ্রাফিগুলো দারুন ছিল। সবমিলিয়ে সুন্দর একটি পোষ্ট উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
শুধু আপনার দাদুভাই না বয়স্ক সব লোকেরাই যদি কাউকে পেয়ে যায় তার সাথে বিভিন্ন গল্প নিয়ে আলাপ করার চেষ্টা করে। তারা বেশিরভাগ সময় একা থাকে তাই কাউকে পেলে তার সাথে একটু আলাপ করে নেওয়ার চেষ্টা করে যাই হোক আপনার দাদা বাড়ির গল্পটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনি আপনার দাদু ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন দেখছি। ভাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। আসলে একা একা জীবনটা অনেক কষ্টের। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এটা সত্য, একটা সময়ের পরে জীবনে অনেকটাই নিঃসঙ্গতা চলে আসে, তখন বেঁচে থাকাটাও অনেকটাই কষ্টের হয়ে যায়।
অনেকটা দেরী হয়ে গেলেও। এখন ভাগ করে নিতে পারছি। অনেক ভালো লাগতেছে ভাইয়া। কারেন্ট নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকে আমার নানার বাসায় গেলেও মোবাইল নেটওয়ার্ক থাকে না। একটা কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখেছিলাম যে সবার নানি বাড়িতে নেটওয়ার্কের সমস্যা।আপনি তো মনে করেন সব সময় নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত তাই আপনার জন্য সবসময় ভালো নেটওয়ার্ক থাকা জরুর। তাও আপনি হাজারো ব্যস্ততার মাঝে ঘুরতে গিয়েছেন দাদু বাড়ি। বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। মুরুব্বি মানুষরা যখন যাকে যখন কাছে পায় তার সাথে গল্প করে। আসলে তাকে শেষ বয়সে অনেক একা লাগে।কারো সাথে কথা বলার মানুষ পাইনা তাই।দাদু বাড়িতে গিয়ে বেশ সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো।
আমার কাছে নেটওয়ার্কটা অনেকটা এই সময় এসে কি পরিমান যে জরুরী, তা একদম বলার বাহিরে।
আপনি আপনার দাদু বাড়িতে গিয়ে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি ভাইয়া এই বুড়ো বয়সে এক জন সঙ্গীর অনেক দরকার হয়। আসলে বর্তমান যেখানে নেটওয়ার্ক থাকে না সেখানে যেতে ইচ্ছে করে না।আসলে পৃথিবীর যেখানেই থাকি না কেন দাদু বাড়ির সাথে তুলনা হয় না। যাইহোক আপনি আপনার দাদু ভাইয়ের সাথে সুপারি বাগানে অনেক গল্প করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুূন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1715637849423577511?t=aaM5cjUrKRSzLt8e7uzntA&s=19
অনেকদিন না দেখতে পেয়ে আপনাকে দেখার খুব ইচ্ছে ছিল আপনার দাদুর।তাই পরিবারের সবাই মিলে দাদুর বাড়ি গিয়েছিলেন।ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল।সুপারি বাগানে দাদুর সাথে বেশ ভালোই গল্প করেছেন।ভালো লেগেছে পোস্টটি।সবগুলো ফটোগ্রাফি জাস্ট চমৎকার ছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জীবিকার তাগিদে কতো মানুষকে বাড়িঘর ছেড়ে দূরে থাকতে হয়। আপনার চাচারা যদি বাসায় থেকে কিছু করতে পারতো, তাহলে আপনার দাদুকে একা থাকতে হতো না। কিন্তু অনেক সময় চাইলেও কিছু করার উপায় থাকে না। তবুও একজন আত্মীয় সেখানে থাকে বলে, আপনারা অনেকটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। যাইহোক এতোদিন পর দাদুর বাড়িতে গিয়েছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। একাকিত্ব আসলেই খুব কষ্টের। কারো সাথে মন খুলে কথা বলা যায় না। তাইতো আপনাকে পেয়ে আপনার দাদু অনেক গল্প করেছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এবং পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এমন নিঃসঙ্গতা কারো জীবনে না আসুক, এমনটাই প্রত্যাশা করি।
ভাইয়া আপনি আপনার দাদু বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন এবং দারুন একটা সময় অতিবাহিত করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। যদিও আপনার দাদুর এখন বয়স হয়েছে। আর আপনার দাদু আপনাকে দেখতে চাই। তাই দাদুর কথায় আপনি আপনার দাদুর সাথে দেখা করতে গেলেন। তবে দাদুর গ্ৰামে সল্প সময় ঘুরতে যাওয়া আপনি দারুন কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করেছেন। তবে দাদুর যেহেতু এখন বয়স হয়েছে তাই সময় পেলে দাদুর সাথে দেখা করতে ভুলবেন না। আপনার দাদু আজও বেঁচে আছে জেনে ভালো লাগলো। তবে আমি আমার দাদুকে দেখি নাই। আর আপনার দাদু এখনো বেঁচে আছেন তাই অবশ্যই দাদুকে খেয়াল রাখবেন। ধন্যবাদ।