রক্তাক্ত জুলাই
দেশের চলমান সমস্যার কথা নিয়ে নতুন করে আর কিছু বলতে চাই না, যা ইতিমধ্যেই আপনারা অবগত। তবে সমসাময়িক পরিস্থিতি যে খুব একটা ভালো ঠেকছে না, তা এখন সবাই আন্দাজ করতে পারছে।
গত রাতের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে আর ইচ্ছে করেই ঢুকছি না, অনেকটা মানসিক ট্রমার ভিতরে পড়ে গিয়েছি। মানে যতবারই সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুকছি, রক্তাক্ত সব খবরগুলো যেন চোখের সামনে বারবার ভাসমান হচ্ছে।
সব মিলিয়ে মনের অবস্থা খুব একটা ভালো নেই, কদিন আগে নিজেও অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ভীষণ ঝামেলায় পড়ে গিয়েছিলাম। এখানে আসলে থাকতে গেলে অন্যায়ের প্রতিবাদ তো দূরের কথা, কোন কিছুতেই মুখ খোলা যাবে না। শুধু নীরব দর্শকের মত চেয়ে থাকতে হবে।
অনেকটা বুদ্ধিশূন্য মেধাশূন্য বাকপ্রতিবন্ধী হয়ে থাকতে পারলেই, এখানে খুব সহজেই টিকে থাকা যাবে। তাছাড়া এসবের বাইরে কোন অবস্থাতেই টিকে থাকা যাবে না। তৈলমর্দন এদের কাছে বড্ড মুখ্য বিষয়।
এ ভঙ্গুর সমাজ চায় না, আলো আসুক। অন্ধকারে নিমজ্জিত থাক সর্বদা সবকিছু এটাই তারা চায়। নষ্টরা এখানে একত্রিত ও সক্রিয়। সব মিলিয়ে একদম যা-তা অবস্থা।
বড্ড আফসোস হয়, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করলে। নষ্টরা বোঝে-জানে তারপরেও চুপ করে থাকে। এদের হৃদয়ে মানবিকতা শূন্য, বিবেক পচা-গলা, মস্তিষ্ক ঘুণে ধরা আর শিরদাঁড়া হচ্ছে ক্ষয়প্রাপ্ত।
সাধারণ শিক্ষার্থীগুলোর অবস্থার কথা ভেবে বড্ড খারাপ লাগছে। সবার সুবুদ্ধির উদয় হোক, সমাজটা আলোকিত হোক। এমনটাই চাওয়া আমার।
সত্যিই বড্ড ব্যথিত আমি।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের শহর আজ রক্ত মাখা। আসলে আমরা কোনদিকে ধাবিত হচ্ছি , ভালো ভাবে কিছুই বুঝতে পারছি। কেন আমরা আমাদের প্রিয় ভাই বোন গুলো কে এভাবে হারিয়ে ফেলছি। সৃষ্টিকর্তা আমাদের কে কোন পাপের শাস্তি দিচ্ছেন। আমরা কি আবার ন্যায় নীতি ফিরে পাবো না! আমরা কী অন্যায়ের অতল সমুদ্রে ডুবে গিয়েছি? সৃষ্টিকর্তা সহায় হোক।
দূষিত সমাজে বিশুদ্ধ পরিবর্তন আসুক, এমনটাই কামনা করি।
ভাই বর্তমান দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে আন্দাজ করা খুবই কঠিন।তবে আজকে আমি বাবুকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলাম এমন সময় রাস্তায় মারামারির মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম।কি যে অবস্থা যেটা আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।শুধু বারবার মনে হচ্ছিল আমি বাসায় ফিরে যেতে পারবো কিনা।
সাবধানে ও নিরাপদে থাকুন আপু।
রক্তে রঞ্জিত রাজপথে
পৈশাচিক আনন্দ চলে
ছাত্র -জনতার এই মিছিলে
আলোর শিখা জ্বালাও এসে।😔
নষ্ট সমাজে বিশুদ্ধ বাতাস লাগুক, এমনটাই যাওয়া।
কি বলব ভেবে পাচ্ছি না ভাই। এর কী আসলেই মানুষ?? স্যোসাল মিডিয়া ক্রল করলে যা সামনে
আসছে বিশ্বাস করেন কান্না নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। এদের কী বিবেক বলতে কিছু নেই। নাকী এদের জীবনে মৃত্যু আসবে না।
আমি নিজেই মানসিকভাবে অনেকটা ট্রমার ভিতরে আছি ভাই, কি বলবো কিছুই বুঝতে পারছি না।
ভাইয়া যেই সমাজ অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছে তা আর কখনও নতুন করে উজ্জীবিত হবে বলে মনে হয় না। এভাবে শত শত নিরীহ মানুষ তাদের জীবন ত্যাগ করবে কিন্তু দিন শেষে লাভের লাভ কিছুই হবে না। একদিন মার খেতে খেতে সবাই নিশ্চুপ হয়ে আগের জায়গায় চলে যাবে, শুধু মাঝখানে কিছু মায়ের বুক খালি হবে। সবাই কেন যে এভাবে মুখ বুঝে সব সহ্য করে নিচ্ছে বুঝিনা। আবারও যদি ১৯৫২ সালের মতো সকল ছাত্র-ছাত্রী ভালোভাবে একজোট হয়ে আন্দোলন করতে পারতো তাহলে হয়তো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য চিন্তা করা লাগতো না। তা কি আদো হবে? আমার মনে হচ্ছে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে।
প্রগতির আলো যদি ছড়িয়ে না যায়, তাহলে আগামীর ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের এমন হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। শুধু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা না,বরং রাস্তা থেকে টোকাই ধরে নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করছে। আর প্রশাসন তো নীরব ভূমিকা পালন করছে। দেশটা একেবারেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে ভাই। ভাবতেই অবাক লাগে, আমরা কি আদৌ স্বাধীন দেশের নাগরিক কিনা। তবে শিক্ষার্থীরা এই ব্যাপারে আপোষ করবে না। তাই তাদের জয় নিশ্চিত। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সবার সুবুদ্ধির উদয় হোক এমনটাই চাওয়া।