গত সন্ধ্যার মুহুর্ত

in আমার বাংলা ব্লগlast year

গতকাল সন্ধ্যায় মাছ বাজারে গিয়েছিলাম। গিয়ে মোটামুটি যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, আমি মনে করি এই অভিজ্ঞতা শুধুমাত্র আমার একার না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমন অভিজ্ঞতা বলতে গেলে সবারই।

খেতে বসে নিজের জন্য মাছ-মাংস খুব একটা তেমন বেশি না হলেও চলে। তবে যেহেতু বাসায় ছোট বাবু আছে, তাই তার দিকে একটু বাড়তি নজর রাখতে হয়। মানে নিজের একটু কষ্ট হলেও, বাবুর যেন কষ্ট না হয়, সেটা বরাবরই খেয়াল রাখার চেষ্টা করি। তাই টুকটাক ভালো সব রকম খাবার জিনিস গুলোই বাজার থেকে বাবুর জন্য কেনা হয়।

20231025_182012-01.jpeg

20231025_182020-01.jpeg

20231025_182042.jpg

20231025_182048.jpg

20231025_182148.jpg

20231025_182222.jpg

20231025_182231.jpg

20231025_182109.jpg

৫০০ টাকার একাল-সেকাল নিয়ে চিন্তা করছিলাম, কোন এক সময় ৫০০ টাকা নিয়ে বাজারে গেলে সেইসময় ব্যাগ ভর্তি বাজার করেও অনেকটা টাকা বেঁচে যেত। আর এইসময়ে, কি আর বলব রে ভাই। কিছু বলার নেই, গুনে গুনে দশটা গলদা চিংড়ি মাছ কিনতে পেরেছি। তাও আধা কেজি, এক কেজি হয়নি।

বাবু যেহেতু প্রতিদিন বিকেলবেলা করে নুডুলস খায়, তাই সেই খাবারে কিছুটা বাড়তি স্বাদের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য কখনো চিংড়ি মাছ, ডিম কিংবা সবজি দিয়ে সেটা ওকে প্রতিনিয়ত বানিয়ে দেওয়া হয়, ও প্রায় মজা করেই খায়। একজন বাবা হিসেবে, সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে সন্তানকে প্রতিনিয়ত খুশি রাখার জন্য। তবে আজকাল বাজারে গেলে অনেকটাই হতাশ হয়ে যেতে হয়। আগামী দিনগুলোতে যে আরও কি অপেক্ষা করছে, সেটা ভাবতেই যেন শিহরিত হয়ে যাই।

যদিও প্রথমে আমার চিংড়ি মাছ কেনার কথা ছিল না, তবে বাবু আজকাল খুব বোঝে। বাজারে ঢুকেই, আমাকে আর ওর মাকে বারবার আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছিল। ইচ্ছে করেই প্রথমে দাম শোনার চেষ্টা করলাম, ১০০০ টাকা কেজি। কোন প্রকার দরদাম হবে না। নিলে নেন, না নিলে অন্যত্র যান। অন্যত্রই যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম, তবে আজ অন্যান্য জায়গায় খুব একটা চিংড়ি মাছ ওঠেনি।

তাই বাধ্য হয়ে আবারও সেই দোকানে ফিরে চলে আসলাম, পুরো পকেট মিলে ৬০০ টাকার মত ছিল। কোনভাবেই দোকানদারকে দাম একটু কমাতে বলার মত সাহস খুঁজে পাচ্ছিলাম না। কারণ যেভাবে ক্রেতারা আসছিল, হয়তো আমি অল্পটুকু না নিলে, মুহূর্তেই সেটাও বিক্রি হয়ে যেত। এদিক থেকে ভাগ্য কিছুটা সুপ্রসন্ন হয়েছে, তাও তো কিছুটা কিনতে পেরেছি। তবে চিংড়ি মাছ কেনার পরে, বাকি পয়সা দিয়ে যে আর অন্য বাজার করব সেই অবস্থা ছিল না। তাই কোন রকমে, বাসায় ফিরে চলে আসলাম। এইতো জীবন চলছে, অনেকটা এভাবেই।

Banner-16.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

ছেলেবেলায় দেখতাম বাবা ব্যাগ ভরে বাজার নিয়ে বাসায় ঢুকতো। তখন যে কি খুশি লাগতো। আর এখন তো দেখি যে নিজে যখন মাঝে মাঝে বাজারে যাই তখন কেন জানি হিমশিম খেয়ে যাই। সেই দিন আর এই দিন বেশ তফাৎ। এখন ১০০০ টাকা নিয়ে মাছের বাজারে গেলে এক পদের বেশী মাছ আর ব্যাগে তোলা সম্ভব হয়ে উঠে না। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last year 

সময়টা আপু সত্যিই বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

 last year 

জীবনের বাস্তবতা গুলো সত্যিই অদ্ভুত। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের জীবনের চিন্তা গুলো যেমন বেড়ে যাচ্ছে তেমনি বেড়ে যাচ্ছে খরচ গুলো। হয়তো প্রয়োজন বেড়ে যাচ্ছে কিংবা দ্রব্যমূল্যের দাম। তবুও জীবন চলছে জীবনের মত। ভাইয়া আপনি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 last year 

এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি যেন সাধারণ মানুষের জীবনকে একদম প্রতিনিয়ত পিষে মারছে।

 last year 

এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি যেন সাধারণ মানুষের জীবনকে একদম প্রতিনিয়ত পিষে মারছে।

 last year 

আমিও সেটা ভাবছি ভাইয়া, ৫০০ টাকার সেকাল-একাল। ৫০০ টাকার বাজার করলে সিউর ব্যাগভর্তি হয়ে যেত। কিন্তু এখন আদা কেজি গলদা চিংড়ি কিনাতেই শেষ। এই যে বাজারে এই অবস্থা এটা চলমানই থাকবে মনে হচ্ছে। একজন বাবা হিসেবে সন্তানের ভালো রাখাটা জরুরি। আর বাবারা নিজে না খেয়ে সেই কাজ করে ☘️

 last year 

এটা সত্য, বাবারা তাদের সন্তানের চাহিদা পূরণ করতে কখনোই পিছপা হয় না।

 last year 

দ্রব্য মূল্যের দাম বর্তমানে আকাশছোঁয়া। ভাই মাছ বাজারে গেলে ৩/৪ ধরনের মাছ কিনলে ৩/৪ হাজার টাকা শেষ হয়ে যায়। তারপর সবজি, মুদি আইটেম এবং আরও টুকটাক জিনিসপত্র কিনতে কিনতে ৬/৭ হাজার টাকা শেষ। কোনো সবজির দাম ৮০ টাকার নিচে না। যাইহোক প্রতিটি পিতামাতা চায় সন্তানকে ভালো ভালো খাওয়াতে। আপনি শায়ানের জন্য চিংড়ি মাছ কিনেছেন, দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। সামনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পরতে হবে আমাদেরকে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

সামনের পরিস্থিতি তো, এখন থেকেই কিছুটা হলেও অনুমান করতে পারছি। কি যে হবে, কে জানে তা।

 last year 

ঢাকায় আসার পর প্রায়ই বাজারে যায়। সেজন্য এই পরিস্থিতি টা আমি জানি ভাই। ৫০০ টাকা আসলে বাজারে কিছুই না এখন। কিছুই হয় না। আর মাছের দোকানদার যেভাবে বলল দামদর হবে না তখন ঐটা আর বলায় যায় না। তবে নিজের জন্য না হোক ছেলের জন্য ঐটা করতেই হবে যতটা স্বার্থ আছে। এইভাবেই চলছে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের জীবন। কিছু করার নেই ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.18
JST 0.035
BTC 90648.89
ETH 3205.71
USDT 1.00
SBD 2.81