অবশেষে ধরণী হলো শীতল

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

1000026011.jpg
source

অন্যান্য দিনের থেকে গতকাল সময়টা আমার কাছে বেশ ব্যস্ততাপূর্ণ ছিল। তার অবশ্য মূল কারণ একই দিনে দুটো দাওয়াত ছিল। সেই বিষয়ে অবশ্য পরে আমি লেখার চেষ্টা করব অন্য ব্লগে।

যেহেতু একই দিনে দুটো জায়গায় উপস্থিত হতে হবে, তাই সকাল থেকেই বেশ ভালই চাপ গিয়েছিল আমার। তাছাড়া গরমের কথা আর কি বলবো, এই সম্পর্কে কমবেশি সবাই অবগত।

গত কয়েকদিন থেকেই শুনছিলাম দেশের বিভিন্ন জায়গায় কমবেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছিল, তবে আমাদের এলাকায় সেভাবে বৃষ্টিপাত হয়নি বরং তাপমাত্রা বেড়েই যাচ্ছিল। কি অসহ্য গরম, মানে জীবন একদম অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল।

অবশেষে যখন সন্ধ্যাবেলার দিকে সারাদিনের কর্ম শেষ করে ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম, তখন মুহূর্তেই পুরো আবহাওয়ার যেন পরিবর্তন হয়ে গেল। ঝড়ো বাতাস শুরু হয়ে গেল তৎক্ষণাৎ। রাস্তার দুপাশের বড় বড় গাছ গুলোর ডালপালা যেন দুলছিল। যেভাবে দুলছিল যেন ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা।

অতঃপর হালকা টিপ টিপ বৃষ্টি পড়তে লাগলো , আবহাওয়ার এমন অবস্থা দেখে, আমরা ড্রাইভারকে বলছিলাম দ্রুত গাড়ি চালান, কেননা বাড়ি ফিরতে হবে তাড়াতাড়ি। আবহাওয়া খুব একটা ভালো ঠেকছে না। মিনিট দশেক যেতে না যেতেই বাড়ি পৌঁছানো মাত্রই, সেকি বৃষ্টি বলতে গেলে মুষলধারে।

পুরো উত্তপ্ত ধরণীটা যেন মুহূর্তেই ঠান্ডা হয়ে গেল, জনজীবনে যেন শীতলতা কাজ করছিল। আমি তো অনেকটা সময় জানালার পাশে বসে ছিলাম আর বৃষ্টি উপভোগ করছিলাম। ঝাপটা ঠান্ডা বাতাস বারবার শরীরে এমন ভাবে এসে লাগছিল যেন ভিতর থেকে শিহরণ জেগে যাচ্ছিল।

এভাবে জানালার পাশে বসে থাকতে থাকতে কখন যে ক্লান্ত শরীরটা এলিয়ে দিয়েছিলাম নরম বিছানায় তা যেন বুঝে উঠতেই পারিনি। বহুদিন বাদে কিছুটা সময়ের জন্য যেন প্রশান্তির ঘুম দিয়েছিলাম। ঘুম থেকে যখন উঠেছিলাম, তখন মন-মেজাজটা অনেকটাই ফুরফুরে হয়ে গিয়েছিল।

এই হিমশীতল ধরণীতে মাঝরাতে ল্যাপটপের স্ক্রিনে তাকিয়ে অতঃপর নিজের কাজ করতে বসে গেলাম। আজ আর কোন ক্লান্তি নেই, উপভোগ করছিলাম মুহূর্তটাকে আর ফাঁকে ফাঁকে কমিউনিটির অনেকের লেখা পড়ছিলাম।

সত্যি কথা বলতে গেলে কি, আমার জায়গা থেকে আমি যেমনটা খুশি হয়েছি এই বৃষ্টির জন্য , তেমনটা আমি মনে করি সবাই খুশি হয়েছে তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে এই বৃষ্টির কারণে। কেননা উত্তপ্ত ধরণীকে শীতল করার জন্য সবাই চাতক পাখির মত করে অপেক্ষায় ছিল এই বৃষ্টির।

1000020537.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

দীর্ঘ দুই সপ্তাহ প্রচন্ড গরমের পরে এখন একটু ঠান্ডা অনুভূব করতে পারছে মানুষেরা। এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার মধ্যে কাল বৈশাখীর কিছু আলামত পাওয়া যাচ্ছে। তবে, আমাদের এলাকায় এখন পর্যন্ত কোন ধরনের বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায়নি। তবুও অনেক ঠান্ডা বাতাস বয়ছে। যাইহোক,এখন আমরা সকলেই এই শীতল পরিবেশের মধ্যে খুবই সুন্দর সময় কাটাতে পারবো।

 2 months ago 

আপনাদের এলাকাতেও শীঘ্রই বৃষ্টি হয়ে যাবে, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

 2 months ago 

আপনাদের এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো, ঠিকই বলেছেন এমন বৃষ্টি হলে ক্লান্তি যেন আর থাকে না। আমাদের এদিকে গতকাল একটু মেঘলা আবহাওয়া থাকলেও বৃষ্টি হয়নি। তবে আশায় আছি যদি বৃষ্টি হয় তাহলে অবশ্যই ভিজবো কারণ এই বছরের মত আর কোন বছরই বৃষ্টির জন্য এত আকুল হইনি। যাইহোক অবশেষে ধন্যবাদ জানাই আপনার সুন্দর জীবনের একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য। ❤️

 2 months ago 

এবার আসলেই গরমে জীবন একদম অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল, এটা একদম সত্যি।

 2 months ago 

সেকি বৃষ্টি বলতে গেলে মুষলধারে।

আপনার কথাটা শুনে আমার আফসোসই হচ্ছে ভাই বলতে হয়। আমাদের দিকে বৃষ্টি তো দূরের একা একখণ্ড মেঘও দেখলাম না এখন পযর্ন্ত। তবে বৃষ্টি আসার পরে আপনার অনূভুতি টা শুনে ভালো লাগল। যদি বৃষ্টি আসে আমিও আপনার মতো জানালার পাশে বসে সেটা উপভোগ করব।

 2 months ago 

সমস্যা নেই ভাই, আপনার এলাকাতেও হয়ে যাবে বৃষ্টি।

 2 months ago 

বর্ষা মৌসুমের সময় সবচেয়ে উপভোগ্য বিষয় হলো বৃষ্টির ঝিরিঝিরি হাওয়া যা সবসময় মনকে শীতল করে। অবশ্য শহর ও গ্রামের বর্ষাযাপনের মধ্যে অনেক তফাত আছে।
দিনে দিনে যত আধুনিকতার দিকে যাচ্ছি, ততই বৃষ্টির উপভোগের মাত্রা কমছে।
বৃষ্টি সম্বন্ধীয় একটি চমৎকার বর্ণনা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
তবে, অতিবৃষ্টি যাতে না হয় তার জন্য দোয়া করি।

 2 months ago 

গরমের কারণেই গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছি ভাই, তবে এটা সত্য, শহরে থাকলে হয়তো এভাবে উপভোগ করা হতো না বৃষ্টিটা।

 2 months ago 

হা হা। তা অবশ্য ঠিক বলেছেন ভাই।
এখন কিন্তু বৃষ্টি লাগাতার হতে থাকলে বর্ষা মৌসুম শুরু হতে পারে। ২০০৭ সালের বন্যা বা তারো আগের অতিবৃষ্টি হলে আমরা মুশকিলে পড়ে যাবো।
এমনিতেই নদীবিধৌত দেশে জলাধার বেশি, পুকুর খাল বিলে দেখা যাবে হয়তো পানিতে একাকার হয়ে যাচ্ছে। তেমন অবস্থা না হওয়াই ভালো।
আপনার গ্রামের বাড়িতে অবকাশ যাপন স্বাচ্ছন্দে কাটুক, এ দোয়া করি।

 2 months ago 

বর্তমানে শীতল বাতাস আর আবহাওয়ার শীতলতা সত্যি অনেক ভালো লাগছে। এই মুহূর্তে বৃষ্টি সত্যি অনেক দরকার ছিল। আর বৃষ্টির ছোঁয়ায় প্রকৃতি যেন শীতল হয়ে গেছে। ভাইয়া আপনার অনুভূতি জেনে অনেক ভালো লাগলো। আশা করি আবহাওয়া ধীরে ধীরে আরো বেশি শীতল হবে।

 2 months ago 

ধন্যবাদ আপু আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য।

 2 months ago 

হ্যাঁ ভাই এই তীব্র গরম থেকে মুক্তির জন্য সবাই বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছে। আমাদের এখানে এতক্ষণ শিলাবৃষ্টি হলো। বেশ ভালো বৃষ্টি হয়েছে আজকে। এই মাত্র বৃষ্টি থামলো। ওয়েদারটা একেবারে শীতল হয়ে গিয়েছে। আজকে ঘুমটাও মনে হচ্ছে খুব ভালো হবে। বারান্দায় বসে বৃষ্টি উপভোগ করতে ভীষণ ভালো লাগে। আশা করি এভাবেই সারাদেশে বৃষ্টি হবে এবং আবহাওয়া শীতল করবে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

এভাবেই ধরণী শীতল হোক, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। কেননা সব জায়গাতেই এই বৃষ্টির খুবই দরকার ছিল।

 2 months ago 

গতকালই শুনছিলাম ভাই বাংলাদেশে নাকি বৃষ্টি হয়েছে। তবে আমাদের এদিকে এখনো বৃষ্টির কোন নাম গন্ধ নেই। তবে পরিবেশটা যদি একটু ঠান্ডা হতো তাহলে কাজকর্ম করে একটু আনন্দ পাওয়া যেত আর কি। যাইহোক বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাংলাদেশের মানুষ অনেক খুশি, আপনিও অনেক খুশি এটা জেনে আমরাও কিছুটা খুশি হলাম।

 2 months ago 

একদিনে দুটো দাওয়াত ম্যানেজ করা কিন্তু খুব কষ্টের দাদা। যাইহোক, আপনাদের বাংলাদেশে যেহেতু সুন্দর বৃষ্টি হয়েছে তার মানে তো এখন ওখানকার ওয়েদার খুব সুন্দর। আমাদের এখানেও গত দুই দিন বৃষ্টি হলো, বেশ ঠাণ্ডা পরিবেশ তাই আমাদের এখানে। আসলে বৃষ্টি হলে কিংবা পরিবেশ ঠান্ডা থাকলে সকলেরই মন মেজাজ অনেক ভালো থাকে এবং কাজ করতে অনেক বেশি ভালো লাগে।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 61536.69
ETH 3445.53
USDT 1.00
SBD 2.50