পকেট অসুস্থ হওয়ার গল্প
তখনো ঘুমিয়েই ছিলাম, হঠাৎই গিন্নি এসে লম্বা একটা বাজারের লিস্ট হাতে ধরিয়ে দিল আর বলল এগুলো কিনতে হবে, নইলে রাতে আর যাইহোক ভাত হবে না।
এমন ঘটনা প্রতিমাসের শুরুতেই হয়, স্বাস্থ্যসম্মত পকেটটা আমার নিমিষেই অসুস্থ হয়ে যায়। এ যে কি এক করুন অবস্থা, তা বলে বোঝানো বড্ড মুশকিল। আমি মনেকরি আমার মত ভুক্তভোগী অনেকেই, কেউ স্বেচ্ছায় মুখ ফুটে বলে আর কেউ চুপচাপ থেকে যায়।
ভিডিও লিংকঃ
কিছুই করার নেই, বেঁচে থাকতে গেলে এসব কিছু অপরিহার্য। অতঃপর ঘুম থেকে উঠে চলে গেলাম সেই চিরচেনা জায়গায়। যাওয়ার আগে বারবার বলছিলাম গিন্নি কে, যেটা শুধুমাত্র প্রয়োজন বেছে বেছে শুধু সেটাই নিবা। পারলে চেষ্টা করিও প্রয়োজনটা কে আরেকটু কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য।
তবে সত্য কথা হচ্ছে, প্রয়োজন কখনো কমে না। বরং এটা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। অবশেষে যখন বাজার করতে ঢুকলাম, আমার মত অনেককেই দেখলাম, তারাও বেশ চুপচাপ। বুঝলাম হয়তো অনেক কিছুই ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে নেই।
এমনিতেই সামনে রমজান মাস আসছে, বুঝতেই তো পারছেন, এখন প্রয়োজন কমাতে চাইলেও প্রয়োজন কোনভাবেই কমে না বরং এটা সেটার জন্য দেখা যায়, প্রয়োজন বেড়েই যাচ্ছে।
ঘুরে ঘুরে বাজার করছিলাম, এসির ফিরফিরে ঠান্ডা বাতাসে নিজের মস্তিষ্ককে শীতল করার চেষ্টা করছিলাম। তবে একটা বিষয় বেশ ভালোভাবে অনুভব করলাম, পকেট যখন অসুস্থ হয়ে যায় তখন আরকি এসির শীতল বাতাসেও মস্তিষ্ক ঠান্ডা হয় না।
সব কেনাকাটা শেষ, এখন বাসায় ফেরার পালা। সমবেদনা জানাচ্ছি আমার মত সকল ভুক্তভোগী কে, যাদের এভাবে রোজ পকেট অসুস্থ হয়ে যায় । সবার পকেট আবারও সুস্থ হোক, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যেহেতু রমজান মাস আসছে, এখন আমাদের প্রয়োজন আরও বেড়ে যাবে এবং এটাই স্বাভাবিক। আর রমজান মাসে তো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে যায়। এই অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক মানুষকে ভালোভাবে না খেয়েই রোজা রাখতে হয়। যাইহোক আপনার অসুস্থ পকেট তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাক,এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুধু আমার না ভাই, সবার পকেট দ্রুত সুস্থ হোক এমনটা প্রত্যাশা আমিও ব্যক্ত করি।
হাহা টাইটেল টা কিন্তু ভাইয়া ভালো দিয়েছেন।পকেট কিভাবে অসুস্থ হয় এটা ভাবছিলাম পুরো পোস্ট পড়ে দেখলাম আসলেই অসুস্থ হয়ে গেছে পোস্টটি।এটা ঠিক বললেন যে মস্তিষ্ক ঠান্ডা হয়না ঠান্ডা বাতাসে যদি পকেট অসুস্থ থাকে।এখন দ্রব্য মূল্যের দাম হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে দিনদিন সামনে রমজান মাস আরো অবস্থা খারাপ হবে।পোস্টটি সুন্দর ছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই পকেট অসুস্থ হলে, তখন ঠাণ্ডা বাতাসেও মেজাজ ঠিক থাকে না।
ভাই পকেট অসুস্থ হয়ে যায় যাক কিন্তু আপনি যেন অসুস্থ না হয়ে যান।🤩 বর্তমান যে পরিস্থিতি পকেট অসুস্থ হওয়ারই কথা। যাইহোক, রমজান মাস উপলক্ষে বাজার করলেন ভালো লাগলো দেখে। অনেকেরই এখন কেনার সামর্থ্য না থাকলেও ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষার কম থাকে না। পরিবেশ পরিস্থিতি যেটা প্রতিকূলতার দিকে নিয়ে যায়। আপনার পরিবারকে একসঙ্গে দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। অনেক বাজার করেছেন দেখছি ভাই।
ভাইয়া মাসের শুরুতে অসুস্থ না করলে গিন্নীদের তো আবার পুরো মাস চালানো সম্ভব হয় না। এখন জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে যে পরিমাণে তাতে পকেট সুস্থ রাখা কোনভাবেই সম্ভব নয়। তারপর তো সামনে রোজা শুরু সে উপলক্ষে জিনিসপত্রের দাম যে কোথায় যাবে তার কোন শেষ নেই। যাইহোক এরকম সুপার শপগুলো থেকে কেনাকাটা করে অবশ্য আরাম আছে। এসির ঠান্ডা বাতাসে কিছুটা হলেও মাথা ঠান্ডা থাকে। ভালো লাগলো ভিডিওটি দেখে।
ভাইয়া আপনার লেখাটি পড়ে সত্যিই বেশ ভালো লাগলো। প্রয়োজনীয় জিনিস তো কিনতেই হবে। সে ক্ষেত্রে পকেট অসুস্থ হলেও কিন্তু ভাবির কিছুই করার নেই। স্বপ্ন তে গিয়ে বেশ ভালই কেনাকাটা করেছেন। ভালো লাগলো দেখে। ধন্যবাদ।