যাচ্ছে জীবন
একটা বিষয় খেয়াল করে দেখবেন, শরীর ভেঙ্গে গেলে তাও কিছুটা মানিয়ে নেওয়া যায়, তবে মন ভেঙে গেলে নিজেকে সামলিয়ে নেওয়া বড্ড কঠিন হয়ে যায়।
কয়েকটা দিন ধরে যে, কি পরিমাণ চাপের ভিতরে সময় যাচ্ছে, তা বলে বোঝানো মুশকিল। হোক সেটা কর্মক্ষেত্রে নতুবা বাস্তব জীবনে, সব মিলিয়ে যেন অনেক কিছুই তালগোল পাকিয়ে ফেলেছি। বাস্তব চিরন্তন সত্য কথা হচ্ছে, নিজের সমস্যাকে কোন জায়গাতেই ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা মোটেও ঠিক না। কেননা এসবের কোন মূল্য নেই।
বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানের দিন হঠাৎই দুপুরবেলা মায়ের স্কুল থেকে ফোন আসলো, মায়ের সহকর্মী স্পষ্ট জানিয়ে দিল, আপনার মা হঠাৎ করেই মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছে স্কুলে। মুহূর্তেই যে, কি পরিমাণ মানসিক চিন্তার ভিতর পড়ে গিয়েছিলাম, তা আসলে বলে বোঝাতে পারবো না। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডাকা থেকে শুরু করে মার স্কুলে যাওয়া এবং মাকে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করানো বা ডাক্তার দেখানো, সব কাজগুলো যে কত দ্রুত করা হয়েছে , তা বলে বোঝাতে পারবো না।
এমনিতেই সন্ধ্যেবেলা কমিউনিটির শো এবং তাছাড়া আবার ঘরোয়া অনুষ্ঠান তো আছেই, সব মিলিয়ে শুধু নিজেকে স্থির করার চেষ্টা করছিলাম আর মনে মনে ভাবছিলাম যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে, শুধু একটু সময় দরকার।
অতঃপর সবকিছু ঠিক হয়ে গিয়েছিল, তবে আচমকাই মনের উপর কিছুটা দাগ কেটেছিল, এমন ভাবে দাগ কেটেছিল যেন মনে হচ্ছিল ভিতরটাকে কেউ ছিঁড়ে ফেলছিল।
যাইহোক অবশেষে মাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে আসলাম, ডাক্তার জানিয়ে দিল ঠিকঠাক মত ঘুম না হওয়া এবং অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার জন্য এমনটা হয়েছে। তাছাড়া মা বিগত সময়ে দুইবার মাইনর স্ট্রোক করেছিল। প্রতিনিয়ত ওষুধের উপরেই থাকে এবং আগের থেকে শরীর অনেকটাই তার ভেঙে গিয়েছে। কিসের যে এত দুশ্চিন্তা করে সেটা আমি বুঝে উঠতে পারিনা।
এভাবেই কেটে গিয়েছিল পুরোটা দিন, বলতে গেলে অনেক মানসিক চাপের ভিতরে ছিলাম, তারপরে তো আবার সন্ধ্যার পর থেকে কমিউনিটির শো। জীবন এমনই, সবকিছু মানিয়ে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। এখানে আসলে নিজেকে অজুহাত দেওয়ার কোন সুযোগ নেই । পৃথিবীতে কেউ কারো ব্যথা বোঝে না, কখনো কেউ বুঝবে না,এটাই স্বাভাবিক। নিজের ব্যথা নিজেকে নির্মূল করে এগিয়ে যেতে হবে এটাই মূল কথা।
যদিও সারাটা দিন অনেক ধকল গিয়েছিল, তারপরেও যখন শো-তে যুক্ত হয়েছিলাম, তখন যেন কিছুটা হলেও হালকা বোধ করছিলাম। সব মিলিয়ে এভাবেই যাচ্ছে জীবন।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জীবনটা আসলে এমনই, কখন যে অনাকাঙ্খিত বিপদ চলে আসবে সেটা টেরই পাওয়া যায় না। যাইহোক আপনি তো দেখছি বেশ চাপের মধ্যে ছিলেন গতকালকে। আন্টিকে বলবেন দুশ্চিন্তা না করতে এবং খাওয়া দাওয়া ও ঘুম ঠিক রাখতে। শেষ পর্যন্ত সবকিছু সুন্দর ভাবে সামলাতে পেরেছেন, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই নিয়মকানুন মেনে চলা ছাড়া কোন উপায় নেই ভাই, মা আপাতত কিছুটা সুস্থ আছে। ধন্যবাদ ভাই।
আসলে ভাইয়া জীবনে নানা বাধা বিপত্তি আসবেই, তারপরেও আমাদের চলতে হবে। তবে শুধু সময়ের দরকার। আসলে এমন সময় আসে যেন কোনটা থেকে কোনটা কম নয়। তবে কি আর করা জীবন জীবনের মতোই চলবে। দোয়া করি আন্টি যেন তারাতাড়ি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
এখন অনেকটাই নিশ্চিন্তে আছি, মা আগের থেকে কিছুটা সুস্থ।
আমি কখনোই নিজেকে নিয়ে চিন্তা করি না। আমার যা হয় হোক আমার খুব একটা খারাপ লাগে না। কিন্তু আমার অসুস্থ থাকলে আমার সবকিছু যেন থমকে যায়। কোন কিছুতেই মনোযোগ দিতে পারি না। আপনার পোস্ট টা পড়ে আমি আপনার অনূভুতি টা পুরোপুরি বুঝতে পারছি। আমি জানি এইরকম মূহূর্তে মানুষের মনের অবস্থা কেমন হয়।
জীবন এমনিরে ভাই, কিছুই করার নেই। কর্মের দিকেই ফোকাস করতে হবে।
আসলে দাদা আমাদের জীবনটাই এমন, তাই সবকিছু মানিয়ে নিয়ে চলতে হবে। তবে আপনার মায়ের অসুস্থতার কথা আমি শুনেছিলাম এবং ওই সময় অনেক বেশি খারাপ লেগেছিল আমার। তবে তারপরও যে আপনি সবকিছু ম্যানেজ করে নিজের কাজ ঠিকভাবে করে গেছেন, এটাই হল সবথেকে বড় কথা। তবে ডাক্তার বাবু যেহেতু বলে দিয়েছে আর কোন সমস্যা নেই, তাহলে আর দুশ্চিন্তা করবেন না দাদা। সবকিছু দ্রুতই ঠিক হয়ে যাবে।