জন্মদিনের মুহূর্ত
যদিও কিছুদিন আগে আমার এবারের জন্মদিনটা আমি কিভাবে পালন করবো,সেই সম্পর্কে একটা লেখা লিখেছিলাম। ঠিক এবারের জন্মদিনটা কিছুটা সেই ভাবেই আমি পালন করার চেষ্টা করেছি। তবে তারপরেও কিছুটা ভিন্নতা ছিল। কেননা আমি চেয়েছিলাম আমার প্রধান অতিথিদের নিয়ে তাদের এলাকায় গিয়ে কিছুটা পিকনিক আমেজে নিজেরা রান্না করে, সময় কাটাবো।
ভিডিও লিংক
কিন্তু অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে আমি বাধ্য হয়েছি। যদি ওয়েদার ঠিক থাক তো, তাহলে হয়তো সত্যিই পিকনিক করতাম। যেহেতু পিকনিক করতে পারিনি আর আমার হাতে সময়ও বেশ কম ছিল, তাই ঝটপট এলাকার ভিতরে যে রেস্টুরেন্ট আছে সেটা বুকিং দিয়েছিলাম।
যেহেতু গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল আর সন্ধ্যা বেলা তে হ্যাংআউট আছে, তাই চাচ্ছিলাম দুপুরের ভিতরে জন্মদিনের অনুষ্ঠান সেরে ফেলার জন্য। অতঃপর পরিবারের লোকজন মিলে দুপুরবেলা সেই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম এবং আমাদের অতিথিদের মুঠোফোনের মাধ্যমে সেখানে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলাম।
এছাড়াও কিছু বাড়তি অতিথি আমার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল, যেমন যে দোকানটাতে আমি প্রতিনিয়ত চা খাই সেই মোখলেস ভাই, রঞ্জু ভাই এবং রঞ্জু ভাইয়ের ভাতিজা। তাছাড়া আমার প্রধান অতিথির তালিকায় ছিল, এ শহরের বুকে প্রতিনিয়ত আমি আর বাবু যাদের রিক্সায় চড়ে ঘুরি ঠিক তারা।
তাছাড়া বৃষ্টি চাকি বৌদি, তার মেয়েরা, শ্যামসুন্দর এবং আমার কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী উপস্থিত ছিল। সব মিলিয়ে বলা যায় আমি যেভাবে চেয়েছিলাম ঠিক যেভাবেই উৎসবমুখর পরিবেশে ঘন্টা দুয়েক সময় কাটিয়ে দিয়েছি।
যদিও প্রথমত আমার প্রধান অতিথিরা রেস্টুরেন্টে আসতে কিছুটা অস্বস্তি বোধ করেছিল, তবে তারপরেও আমি আমার জায়গা থেকে ভীষণ আন্তরিক ছিলাম। সবাইকে চেষ্টা করেছিলাম তাদের সংকোচ কাটানোর জন্য। অবশেষে কেক কর্তন হয়ে গেল, তারপরে সবার জন্য সেট মেনু খাবারের ব্যবস্থা ছিল। সেট মেনুতে ছিল চিলি চিকেন, ফ্রাইড রাইস, চাইনিজ ভেজিটেবল, সালাদ এবং ড্রিংকস। আমি মনে করি খাবারটা সকলে আত্মতৃপ্তি সহকারেই খেয়েছে।
খাওয়া দাওয়ার পরে আমার অতিথিদের বিদায় দিয়ে, আমরা নিজেরা পারিবারিকভাবে কিছুটা সময় কাটিয়ে, অবশেষে বাসায় চলে এসেছিলাম। আর এভাবেই আমার ৩২ তম জন্মদিনের সময়টা অতিবাহিত হয়ে গেল। কিছু ছবি ও ভিডিও করেছি সেগুলো স্মৃতি হিসেবে রেখে দিলাম আর আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
প্রথমেই আপনাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আগামী দিনগুলো পরিবারকে নিয়ে সুখে শান্তিতে কাটুক এই দোয়া করি। অনেক কথাই ছিল রেস্টুরেন্টে। কিছু সুন্দর সুন্দর ছবি ও ভিডিওগ্রাফি দেখলাম। বৃষ্টি চাকি, বৃত্ত ভাইয়া অনেকেই উপস্থিত ছিল খাবারগুলোও দারুন ছিল।আর বেশি ভালো লেগেছে সমাজের অবহেলিত মানুষদেরকে নিয়ে আপনি নিজের জন্মদিন উদযাপন করেছেন । আমিও অতিথি হতে পারলে ভালো লাগতো। 🥹
প্রথমে আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। আপনারা আগামী দিনের পথ চলা যেন আরো সুন্দর হয় সে কামনা করি সৃষ্টিকর্তার কাছে। যদিও আপনি পিকনিক করতে পারেন নি। কিন্তু আপনি যেমনটা চেয়েছিলেন তেমনভাবে হল আপনার জন্মদিনের মুহূর্তটি। আপনার প্রিয় মানুষ গুলো উপস্থিত ছিলেন। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বেশ ভালোভাবে উপভোগ করতে পেরেছি। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনার জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আসলে ভাইয়া আপনি রিক্সাওয়া ভাইদের নিয়ে বেশ ভালো একটা আয়োজন করেছেন। সত্যি বলতে অনেকে তো এদের মনে রাখে না। আপনার ভিডিও গ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো।দোয়া করি এমন জন্মদিন বার বার ফিরে আসুক আপনার জীবনে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আপনাকে জানাই জন্মদিনের অফুরন্ত শুভেচ্ছা। আপনার আগামী দিনগুলো কাটুক অনেক সুন্দর এবং স্বাচ্ছন্দ্যময়। সবাইকে নিয়েই তো দেখি জন্মদিন পালন করলেন। সেই চায়ের দোকানদার হতে শুরু করে রিক্সাওয়াল কাউকে বাদ দেননি। আপনার এই থিমটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। আমার মনে হয় আমাদের জন্য একটি সুযোগ আছে , আর সেটা হলো ওয়েদার ভালো হলে আমাদেরকে নিয়েই আশা করি পিকনিক টা করবেন। ভালো থাকুন সবসময় ভাইয়া।
আপনাদের জন্য সব সময় সুযোগ আছে, আপনারা চাইলেই চলে আসতে পারেন।
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1735593629153214690?t=BXIKOhqzMdJ9Fq--EpvFdg&s=19
শুভ জন্মদিনে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাই। আপনি যে সবারই অনেক প্রিয় মানুষ সেটা আমার বাংলা ব্লগে যেদিন থেকে কাজ করছি সেদিন থেকেই বুঝতে পেরেছি। আসলে আমরা যাদের সাথে সব সময় থাকি তাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়াটা আমাদের কর্তব্য। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
তোমার জন্য স্নেহ ও ভালোবাসা রইলো ভাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ♥️♥️
প্রথমেই আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ভাই। আপনার আগামী দিনগুলো খুবই ভালো কাটুক সেই প্রত্যাশা করি। কিছুদিন আগে আপনার শেয়ার করা সেই পোস্টটি আমি পড়েছিলাম। আপনি চেয়েছিলেন জন্মদিনে সমাজের নিম্নশ্রেণীর কিছু লোকদের নিয়ে পিকনিক করতে। কিন্তু আবহাওয়া যেহেতু খারাপ ছিলো, রেস্টুরেন্ট বুকিং দেওয়ার আইডিয়াটা দারুণ হয়েছে। তাদের হাসি মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে, তারা কতোটা তৃপ্তি সহকারে খাবার খেয়েছে এবং পুরো সময়টা বেশ উপভোগ করেছে। তাছাড়া বৃষ্টি চাকী আপু,বৃত্ত ভাইকে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। আসলেই ভাই আপনি অনেক বড় মনের একজন মানুষ। সত্যিকার অর্থে আপনার কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা সত্য যে গতকালকের সময়টা আমার কাছে সত্যিই বেশ ভালো ছিল এবং আমি নিজে অনেকটা ভালো বোধ করেছি।
ভাই আপনার শুভ জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। বেশ সুন্দর পরিবেশের মধ্য দিয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠান উদযাপন করেছে। আপনার শুভ জন্মদিনে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারে কয়েকজন সদস্যের উপস্থিতি দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার। শুভ জন্মদিনের মুহূর্তটি আপনার জীবনে বারবার ফিরে আসুক এমনটাই আমি প্রত্যাশা করি।
আপনি আগেই বলেছিলেন এবারের জন্মদিনটা শ্রমজীবী মানুষদের নিয়ে পালন করবেন এবং ছোট্র পরিসরে সেটা করেছেন। আপনার জন্মদিনের শুভেচ্ছা সবসময় 🌼। আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি ভাইয়া 🌼। জন্মদিনের মতে সবসময় দিনগুলো কাটে এই আশায় ব্যক্ত করছি
ধন্যবাদ ভাই আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, কেননা আপনি আমার অনুভূতি বুঝতে পেরেছেন এজন্য।