উদ্দেশ্য যখন বাড়ি ফেরা
বিগত দুইদিন হলো কোনভাবেই বাসার ভেতর থেকে বাহিরে যেতে পারছি না, মূলত নিজের এত পরিমাণ কাজ জমে আছে যে, একদম যেন স্থির হওয়ার সুযোগ নেই। ক্রমাগত কাজ করে অনেকটাই যেন হাঁপিয়ে উঠেছিলাম, তার ভিতরে আবার অতিরিক্ত গরম, সব মিলিয়ে যা-তা অবস্থা।
এতসবের মাঝেও চেষ্টা করেছিলাম একটু সময় নিজেকে দেওয়ার জন্য, মূলত গতকাল পড়ন্ত বেলায় হঠাৎই দমকা বাতাস বইছিল যদিও তা স্বল্প সময়ের জন্য। ভেবেছিলাম ঝড় হবে, গরম কিছুটা কমবে। তবে বাস্তবে এর চিত্র উল্টো।
দমকা বাতাসের মাঝেই শহুরে পরিবেশে কিছুটা যেন শীতলতা কাজ করছিল। ল্যাপটপটা খানিকটা সময়ের জন্য বন্ধ রেখে বেরিয়ে পড়েছিলাম, সামনের চায়ের দোকানের উদ্দেশ্যে। এমন পরিবেশে যদি এক কাপ চা খাওয়া যেত, তাহলে মন্দ হতো না।
প্রচন্ড ভিড় লেগেই আছে শহরের রাস্তাতে, চতুর্দিকে শুধু গাড়ি আর গাড়ি। চৌরাস্তার মোড়ের ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা লোকটা যেন একা কুলিয়ে উঠতে পারছে না। শুধু ক্রমাগত বাঁশি বাজিয়েই যাচ্ছে। চায়ে চুমুক দিচ্ছিলাম আর রাস্তার এদিক-সেদিক দেখছিলাম। মানুষের যেন ব্যস্ততার শেষ নেই, সবাই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে পারলেই যেন স্বস্তি পায়।
সবার মাঝে এমনটা ব্যস্ততা থাকা নিতান্তই অস্বাভাবিক কিছু না। দীর্ঘদিন বাদে সবাই ছুটি পেয়েছে, তাও হয়তো স্বল্প কয়েক দিনের জন্য। তাই এই ঈদ উৎসবে সবাই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে চায়,আপনজনের কাছে । যে যেভাবে পারছে, সেভাবেই যেন ছুটছে নিজ গন্তব্যে।
এই যে রাস্তায় প্রচন্ড ট্রাফিক জ্যাম, দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে রাস্তাতেই, এসব নিয়ে আসলে ঘরমুখো মানুষের কোনই আফসোস নেই, তারা শুধু গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলেই যেন প্রশান্তি খুঁজে পাবে। এই ছুটির সময়ে, এমন উৎসবমুখর পরিবেশে, বাড়ি ফেরাই সবার মূল লক্ষ্য।
বাড়ি ফেরা মানুষের এমন ব্যস্ততা দেখে, কখন যে নিজের চা শেষ হয়ে গিয়েছে, তা যেন বুঝে উঠতেই পারিনি। এবার আমাকেও ফিরতে হবে, নিজের কর্মে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যেহেতু ঈদ ঘনিয়ে এসেছে তাই বাড়ি ফেরার জন্য সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। শহরের রাস্তাঘাট সবকিছুই কানায় কানায় পরিপূর্ণ। ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা এবং ভালোবাসা রইলো ভাইয়া।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, প্রচুর যানজট রাস্তায়।
কয়েকদিন থেকে সম্মানিত এডমিন এবং মডারেটররা অনেক ব্যস্ত সময় পার করছে বুঝতে পারছি ভাইয়া। এই কাজের ফাঁকেও আপনি নিয়মিত পোস্ট করে যাচ্ছেন দেখে ভালো লাগলো। সত্যি ভাইয়া সময় যত ঘনিয়ে আসে ততই সবার ব্যস্ততা বেড়ে যায়। আর ঈদ উপলক্ষে সবাই যে যার গন্তব্যে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
খালি ব্যস্ততা বললে ভুল হবে, অনেক ব্যস্ত সময় পার করেছে সবাই আপু।
গতকাল ঢাকা থেকে আমি বাড়ি ফিরলাম। সত্যি ভাই রাস্তায় এতো যানজট এতো গাড়ির ভীড় এতো মানুষ তার উপর গরম। সবমিলিয়ে অস্বস্তিকর একটা অবস্থা ছিল। কিন্তু তবুও মনের মধ্যে একটা আনন্দ কাজ করছিল যে বাড়ি যাচ্ছি অনেকদিন পর। এই অনূভুতি টা সত্যি একেবারে অন্যরকম। চমৎকার লিখেছেন ভাই।
হ্যাঁ ভাই, আমিও দেখেছিলাম গতকাল, সবাই ফিরে যাচ্ছিল আপন নীড়ে, সব বাধা অতিক্রম করে।
সবমিলিয়ে কয়েকদিন ধরে ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন ভাই। শত ব্যস্ততার মাঝেও যদি অল্প কিছুক্ষণের জন্য বাহিরে বের হয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করা যায়, তাহলে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। তারপর আবারো নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করা যায়। যাইহোক জীবন জীবিকার তাগিদে যারা দূর দূরান্তে থাকে, ঈদের সময় তাদের একটাই লক্ষ্য থাকে পরিবারের সাথে ঈদ পালন করা। তাই যতই কষ্ট হোক না কেনো,তারা বাড়িতে ফিরতে চায়। এমন সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এমনটা চিত্রই গতকাল দেখেছিলাম রাস্তায়, সবাই ফিরে যাচ্ছে আপন ঠিকানায়।