পিকনিক

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

যখন ছোট ছিলাম তখন ডিম আলু দিয়ে প্রায়ই মাঝে মাঝে সবাই মিলে পিকনিক খেতাম। সেই সময় সেই ডিম আলুর তরকারি দিয়ে পিকনিক খাওয়ার মাঝেই আলাদা উত্তেজনা কাজ করতো। তখন দেখা গিয়েছে সবাই অল্প কিছু টাকা চাঁদা তুলে বা কখনো কেউ কেউ বাড়ি থেকে ডিম বা আলু নিয়ে আসতো নতুবা চাল।

20231111_190327.jpg

20231111_192454.jpg

20231111_201905.jpg

20231111_201113.jpg

20231111_192441.jpg

20231111_190002.jpg

20231111_185850.jpg

20231111_185820.jpg

20231111_210644.jpg

20231111_210444.jpg

20231111_192441.jpg

20231111_192407.jpg

20231111_190242.jpg

20231111_190158.jpg

20231111_190058.jpg

20231111_190036.jpg

20231111_190009.jpg

20231111_185903.jpg

20231111_210910.jpg

20231111_210821.jpg

20231111_210644.jpg

আর এভাবেই সবকিছু একত্রে সংগ্রহ করে অবশেষে হয়ে যেত আমাদের পিকনিক। সেসময় আমরা নিজেরাই রান্না করতাম। যদিও জীবন থেকে যা চলে যায় তা আর সেভাবে সবকিছু ফিরে পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য, তারপরেও যখন হুট করেই শৈশবের ছোঁয়া ফিরে পাওয়া যায় , তখন সময়টা যেন অনেকটাই প্রাণবন্ত হয়ে যায়।

এইতো যেমনটা হয়েছিল গত সন্ধ্যায়। কিছুদিন আগে আমি ব্যাডমিন্টন মাঠে গিয়েছিলাম, সেই সময়ই পাড়ার ছোট ভাইয়েরা বলেছিল আবারো পুরনো দিনের মতো করে পিকনিক খাবে। এখন আর তেমন কারো কাছ থেকে টাকা পয়সার জন্য জোর করতে হয় না। বলা যায়, মোটামুটি শুধু ইচ্ছা শক্তি থাকলেই দ্রুত সবকিছু ম্যানেজ করা সম্ভব হয়ে যায়।

সেদিন যখন ওরা বলছিল এই শীতের দিনে ডিম আলু দিয়ে পিকনিক খাবে, অবশেষে বলা মাত্রই সবাই বেশ ভালই সাড়া দিয়েছিল। সবাই দ্রুত টাকা দিয়ে দিল এবং চাঁদার পরিমাণ স্বল্প ছিল। তবে দায়িত্ব ছিল ছোটদের কাঁধে। তারাও বেশ উৎসাহ নিয়েই রাজি হয়ে গিয়েছিল।

অবশেষে গত সন্ধ্যায় আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত পিকনিক হয়েই গেল। গরম সাদা ভাতের সঙ্গে ডিম আলুর তরকারি এক কথায় বেশ ভালোই জমে উঠেছিল সময়টা। সবাই যেন মুহূর্তেই শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম। এমন সময় শৈশবে ফিরে যাওয়ার মজাই আলাদা। সবার ভিতরে আমি দেখতে পাচ্ছিলাম সেই শৈশবের উত্তেজনা। অনেকটা দিন পরে সবাই একত্রিত হয়ে, এমন সময় কাটাতে পেরে যেন নিজের কাছে আলাদা আনন্দ লাগছিল।

হয়তো কিছুদিন পরে আবারও সবাই যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে যাবে, তখন আর কাউকে এভাবে পাশে পাওয়া যাবে না বা চাইলেও এমন সময় কাটানো যাবে না, যেহেতু সুযোগটা পেয়ে গিয়েছিলাম, তাই সময়টার সু ব্যবহার করেছি। আমি সত্যিই কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করছি, আমার পাড়ার ছোট ভাইদের কাছে। কারণ তারা আমাকে আমার হারানো শৈশবের মুহূর্ত হঠাৎই পুনরুজ্জীবিত করে দিয়েছিল।

Banner-16.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 10 months ago 

ব্যাডমিন্টন খেলার পাশাপাশি পুরনো দিনে যেভাবে পিকনিক করা হতো তার ই পুনরাবৃত্তি করেছেন। আসলেই ছোট্টবেলা দেখতাম বড় ভাই ব্রাদার আমাদেরকে নিয়ে এইভাবে ডিম রান্না করে পিকনিক করত। আবার সিনিয়ররা আসে সেই ডিম কে খেয়ে ফেলতো কি যে হইহুল্লা শুরু হয়ে যেত সেই সোনালী মুহূর্তগুলো হারিয়ে ফেলেছি ভাই। এখন অনেক পিকনিক করি কিন্তু সেই মজাটা পাই না। আমাদের যে সার্কেল রয়েছে একসঙ্গে হলেই পিকনিক করা হয় কিন্তু আগের যে মজাটা সেটা হয়তো উপভোগ করতে পারি না মিস ইউ সেই দিনগুলো।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

জীবন থেকে যা হারিয়ে যায়, তা আর সত্যিই ফেরত আসে না। তবে এখন চাইলেও আর আগের মতো করে সময় কাটানো যায় না ভাই।

 10 months ago 

ছোটবেলায় আমরাও এরকম পিকনিক করতাম সবাই মিলে। হয়তো টাকা তুলতাম না হয় নিজের ঘর থেকে চাল, ডাল, ডিম বা অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে খিচুড়ি রান্না করতাম বেশিরভাগ সময়। আর তখন নিজেরা মিলেই আগে থেকে ছোট চুলা তৈরি করে রাখতাম। সে মুহূর্তগুলো এখন মনে পড়ে গেল আপনার পোস্টটি পড়ে। আসলেই সময় গুলো কত আনন্দময় ছিল। শৈশব জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু মাঝেমধ্যে তার সংস্পর্শে আসতে পারলে জীবনটা আরো বেশি ধন্য হয়ে ওঠে। সবাই মিলে বেশ আয়োজন করে এই সময়টা পার করেছেন দেখছি। খুব ভালো লাগলো আপনাদের এই অনুভূতি পড়তে পেরে।

 10 months ago 

এটা সত্য যে, আমাদের শৈশবের সময় গুলো অনেক আনন্দঘন ছিল।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 10 months ago 

হারানো শৈশবটাকে কিছু মুহূর্তের জন্য আবারও উপভোগ করতে পেরেছেন। ছোটবেলায় কমবেশি সবাই আমরা এই ধরনের পিকনিক গুলো করতাম। বেশ আনন্দ করেই করতাম। তবে পিকনিক জিনিসটা আমার কাছে সব সময়ের জন্য একই রকম। কারণ পিকনিক মানেই চাঁদা তুলে সবাই মিলে একসাথে রান্না করে খাওয়ার আনন্দ। আপনাদের পিকনিকের মুহূর্ত গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।

 10 months ago 

এ ধরনের পিকনিকের ভিতরে আলাদা একটা মজা কাজ করে, যেটা আমি গতকাল একটু হলেও বুঝেছি।

 10 months ago 

শৈশবকালে আমরা ডিম দিয়েও পিকনিক করেছি। সেই সময় পিকনিক করার মধ্যে একটা আনন্দ ছিল। সেই সময় বর্ণনা গুলো দিলে দিনরাত শেষ হয়ে যাবে তবুও বলে শেষ করা যাবে না সেই সময়টা ছিল অনেক মধুর। বর্তমানে যেসব ছেলেরা ছেলেরা বোঝে না এসবের মর্ম। ভাই আপনাদের পিকনিক দেখে সত্যি সেই শৈশবের কথা বেশ মনে পড়ল। সেই দিনগুলো এখনো মনের কাছে বাজে। আর মনে হয় যদি আবার ফিরে পেতাম যদিও সেটা কখনোই সম্ভব নয়।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

ছোট বেলায় এভাবে আমরাও অনেক পিকনিক করতাম। বাসা থেকে লুকিয়ে চাল,ডাল সহ অন্যান্য জিনিস নিয়ে এসে। যেহেতু কলোনীতে বেড়ে উঠা তাই সম বয়োসির সংখ্যাও ছিল বেশি।আপনার পিকনিক খাওয়া দেখে সেই কথা মনে পরে গেল। সবাই মিলে আরও একবার শৈশবে ফিরে ফিরে গেলেন কিছুক্ষনের জন্য। আনন্দময় মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 10 months ago 

ছোটবেলায় আমরাও অল্প টাকা করে চাঁদা তুলে আলুর দম,নুডুলস এবং চিকেন ফ্রাই খেতাম মাঝেমধ্যে। সেই দিনগুলো এখনো মিস করি। কারণ তখন ভীষণ আনন্দ করতাম আমরা। যাইহোক গরম গরম ভাতের সাথে ডিম আলুর তরকারি খেতে দারুণ লাগে। এটা ঠিক এখন টাকা চাইলে সবাই এমনিতেই দিয়ে দেয় পিকনিক করতে। গতকাল সন্ধ্যায় তাহলে বেশ মজা করলেন এবং পুরনো স্মৃতিচারণ করলেন। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

হ্যাঁ ভাই মোটামুটি গত সন্ধ্যায় বেশ ভালই সময় কেটেছে।

 10 months ago 

ঐ ছোটবেলার পিকনিক গুলো সাধারণত শীতের মধ্যেই বেশি হতো। মনে করিয়ে দিলেন সময় টা। ব‍্যাডমিন্টন খেলার জায়গাই পিকনিক। কথাটা ঠিক সবার ইচ্ছাশক্তি থাকলে এগুলো খুব দ্রুতই হয়ে যায়। বেশ চমৎকার ছিল ভাই আপনার পোস্ট টা। দারুণ সময় কাটিয়েছেন। আর পরবর্তীতে কে কোথায় থাকবে সত্যি সেটা বলা যায় না।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

আহা! ছোটবেলায় এই পিকনিক খেলাকে বলতাম তোলাপাতি খেলা! কত যে খেলেছি এটা। অল্প চাল, একটা ডিম দিয়ে তোলাপাতি খেলা হয়ে যেত। পেট ভরতো না। কিন্তু সবাই মিলে বেশ মজা করতাম। আজ অনেকটা দিন পর আপনার পোস্ট পড়ে সেই ফিলটা পেলাম। মাঝে মাঝে এভাবে শৈশবের সময়টা অনুভব করতে ভালোই লাগে।

 10 months ago 

একদম ঠিক বলেছেন ভাই, বেশ ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটা।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 54787.37
ETH 2302.94
USDT 1.00
SBD 2.35