বাগান থেকে পেয়ারা কেনার অভিজ্ঞতা
মূলত কয়েকদিন আগে বিকেলবেলা আমরা গিয়েছিলাম হালিম ভাইয়ের বাগানে পেয়ারা কিনতে। শেষ যেবার হালিম ভাইয়ের বাগানে গিয়েছিলাম তখন সম্ভবত প্রচুর ঠান্ডা ছিল, তখন সে কমলার চাষ করতো, সেবার কমলা কিনে নিয়ে এসেছিলাম, তবে এখন সময় গড়িয়ে গিয়েছে, যার কারণে বর্তমানে কমলা খুবই ছোট খাওয়ার মতো অবস্থা হয়নি, তাই আমরা পেয়ারা কিনে নিয়ে এসেছিলাম।
ভিডিও লিংক
আসলে আমি যে বিষয়টা তুলে ধরার চেষ্টা করছি, তা মূলত কিভাবে একজন উদ্যোক্তা একাধিক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে যায় সেই বিষয়টা। ভদ্রলোকের শুরু হয়েছিল কমলা চাষের মাধ্যমে, যেহেতু কমলা একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর পাওয়া যায়, তাই বাকি সময় সে বসে না থেকে এখন আরো একাধিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। যেমন সারা বছর ধরে, যে পেয়ারা গুলো পাওয়া যায়, সেগুলোর চাষাবাদ করছে,এখন সে।
এই রমজান মাসে সে বেশ ভালই পেয়ারা বিক্রি করেছে , তাছাড়া ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। আমরা তো সেদিন বাগানে গিয়ে মোটামুটি কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম, কেননা তার ব্যবসা আরো অনেকটাই বৃহৎ হয়ে গিয়েছে। যেটা বেশ প্রশংসনীয়। সে এখন আর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অপেক্ষায় থাকে না, সে মূলত প্রতিনিয়তই এখন কোন না কোন ফল বিক্রি করছে এবং ভবিষ্যতের জন্য মাছ চাষের পরিকল্পনা করেছে।
আমরা দীর্ঘ সময় ধরে তার পুরো বাগান এবং প্রজেক্ট দেখার চেষ্টা করেছিলাম। আসলে একজন তরুণ চেষ্টা করলে, নিজের ভাগ্য নিজেই পরিবর্তন করতে পারে,যদি তার সদিচ্ছা থাকে। হালিম ভাইকে দেখলে ভালই লাগে, কেননা সেই সময় যদি সে বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রতারিত না হতো, তাহলে আজ হয়তো তার সফল উদ্যোক্ত হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব হতো না।
কিছু কিছু সময় মানুষ ধাক্কা খেয়ে শেখে, যার প্রমাণ এই হালিম ভাই। আমরা প্রায় তার পুরো বাগানটা ঘুরে, দেখে দেখে বেছে বেছে পেয়ারা কিনেছি এবং এই কাজে ভদ্রলোক নিজেই বেশ সহযোগিতা করেছে, তাছাড়া তার বাগান সম্পর্কে বেশ ভালই তথ্য দিয়েছে সকলের জন্য।
আমাদের কাটানো মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে একটা ভিডিও বানানোর চেষ্টা করেছি, বিশেষ করে যাদের কৃষি বিষয়ে আগ্রহ আছে, তারা চাইলে এই ভিডিওটা দেখতে পারেন, আশা করি আপনাদের জন্য বেশ ভালো কিছু তথ্য থাকবে। তাছাড়া এই পেয়ারা গুলো খেতেও বেশ ভালো ছিল এবং আমাদের পরিবারের সকলে বেশ ভালই তৃপ্তি সহকারে খেয়েছিল পেয়ারাগুলো।
যাইহোক কৃষির মাধ্যমে কিন্তু ব্যাপক সম্ভাবনা আছে বেকারত্ব দূর করার। সমসাময়িক সময়ে প্রযুক্তির কল্যাণে কৃষিতে ব্যাপক আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। যার কারণে এখন অনেকেই কৃষির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একেবারে সরাসরি উদ্যোক্তার হাত হতে এমন করে ফল কিনে খাওয়া কিন্তু ভাগ্যের বিষয় বলতে হয়। আপনি খুব সুন্দর করে হাবিব ভাইয়ের উদ্যোক্তা হওয়ার বিবরন আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে প্রতারিত হওয়ায় আজ তার এমন উদ্যোক্তা হয়ে উঠা। আমার কাছে পুরো বিষয়টিই বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জীবনে যারাই ধাক্কা খেয়েছে, তারাই সফল হয়েছে আপু। হালিম ভাই তার চাক্ষুষ প্রমাণ।
কই আমি তো কত ধাক্কা খেলাম।তবুও তো সফলতা দেখলাম না। হি হি হি
সরাসরি বাগানে গিয়ে উদ্যোক্তার কাছ থেকে পেয়ারা কেনার অনুভূতি টা অন্যরকম। ঠিকই বলেছেন মানুষ জীবনে ধাক্কা খেয়ে তারপর শিখে। হালিম ভাইয়ের ব্যবসা এখন অনেকটাই বড় হয়েছে এটা সত্যিই একটা প্রশংসার ব্যাপার। ভিডিওতে তার কথাগুলো শুনে বেশ ভালো লাগলো। অন্যান্য ফলগুলোর তুলনায় কমলা এবং পেয়ারা চাষ করলে সেগুলো অনেক দিন ধরে গাছে থাকে তাই ব্যবসা করতে সুবিধা হয়। লসের আশঙ্কা থাকে না। আর সে কারণেই হালিম ভাই এই দুটি ফলের চাষ করে, ব্যাপারটা জেনে ভালো লাগলো।
জীবনে আসলে আপু ধাক্কা খাওয়াটা খুবই জরুরি, না হলে সফল হওয়া তো কষ্টসাধ্য।।
শীতের সময়ে হালিম ভাইয়ের কাছে কমলা কেনার অভিজ্ঞতা মনে হয় পড়েছিলাম আপনার পোস্টে! হালিম ভাই এখন পেয়ারা চাষ করছে! আমি মনে করি এটা খুবই ভালো এটি উদ্যোগ। একজন তরুণ চাইলেই আসলে ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে পরিশ্রম ও সৎ ইচ্ছার মাধ্যমে। হালিম ভাই যেন তার বাস্তব প্রমাণ। চাষকৃত জমির পাশে ফিশারি দিলে একই সাথে দুই কাজ হয়ে যাবে। ভালোই লাভবান হতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
আমার কাছেও ঠিক তেমনটাই মনে হয় ভাই, মানুষ চাইলেই তার নিজের অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে, যদি তার সদিচ্ছা থাকে।
খুব ভালো একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তিনি। আসলে কমলা যেহেতু সিজনাল ফল তাই একবার চাষ করে বসে না থেকে তিনি পেয়ারা চাষ করলেন। যেটা আসলেই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।তাছাড়া কৃষি নিয়ে তার যে আগ্রহ সেটা নিয়েই তিনি অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবেন। ফল চাষের পাশাপাশি মাছ চাষও কিন্তু লাভজনক হবে তার জন্য।খুব ভালো লাগলো ভাইয়া,ভিডিও ব্লগ দেখে।শায়ান বাবু তো পুকুরের দিকে চলে যাচ্ছিলো,ভাগ্যিস দেখে ফেলেছে।
এটা ঠিক বলেছেন আপু, কেননা যারা উদ্যোক্তা হয়, তারা আসলে সর্ব রকম চিন্তা করে।
একজন উদ্যোক্তা যখন সফল হয় তখন সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর এই ভিডিওগ্রাফিটি আমি গতকাল রাতেই খুব সম্ভবত দেখেছিলাম। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আর ওই ভাইয়ের চিন্তাধারা সত্যিই দারুণ ছিল। ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আমি বুঝতে পেরেছি, আপনি হয়তো আমার ফেসবুকে যুক্ত আছেন, এজন্য হয়তো দেখতে পেয়েছেন, আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
গ্ৰামীন পরিবেশের মধ্যে গিয়ে পেয়ারা কিনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পেয়ারা বাগান টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ বড় একটি বাগান। তবে, পেয়ারা বাগানের মালিকের কথা গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আসলে যে চেষ্টা করে সে সফলতা পায়। আসলে বর্তমান সময়ে কৃষি কাজের মধ্যে ও অনেক বেশি লাভবান হচ্ছে কৃষকেরা। আমরা হালিম ভাই কে দেখেই একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করতে পারি। অনেক ভালো লাগলো।
এটা একদম ঠিক বলেছেন, যে চেষ্টা করে সেই সফল হয়।
কিছু কিছু মানুষ ধোঁকা খাওয়ার পর শিখে,আবার কিছু কিছু মানুষ একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়। তবে ব্যর্থ হওয়ার পর কেউ যদি বারবার চেষ্টা করে, তাহলে সফলতা অবশ্যই অর্জন করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস থাকাটা জরুরী। তাছাড়া ভুল থেকে অবশ্যই শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। হালিম ভাই আসলেই বেশ পরিশ্রমী একজন মানুষ। উনাকে দেখে যুবসমাজ অবশ্যই উৎসাহিত হবে বলে আমি মনে করি। যাইহোক বাগান থেকে ফল কিনে খাওয়ার মজাই আলাদা। বেশ ভালো লাগলো এতো চমৎকার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জেনে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, ভুল থেকেই শিক্ষা নিতে হবে। আপনার মন্তব্যটি বেশ ভালো লাগলো।
কমলার সিজন হলে এরকম বাগানের যেতে হবে ভাইয়া। দাওয়াত নিলাম আপনার সঙ্গে যাওয়ার। তাছাড়া হালিম ভাই বেশ ভালো করেছেন শুধু কমলার উপরে বসে না থেকে পাশাপাশি পেয়ারাও চাষ করেছেন। বাগানে গিয়ে বেছে বেছে পেয়ারা নিতে পারলে তো বেশ মজার। তাছাড়া লোকটি বেশ উৎসাহ নিয়ে আপনাদের সঙ্গে ঘুরেছে বোঝা যাচ্ছে। ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর মুহূর্তটি দেখে।
অবশ্যই আপু , আপনার জন্য আমার দরজা সর্বদা উন্মুক্ত।