বৈশাখী রেস্টুরেন্টে কিছু সময়
ঘটনাটি কয়েকদিন আগের, সেদিন মূলত আমরা গ্রাম থেকে বাসায় ফিরে এসেছিলাম। তাছাড়া বাসায় এসে দেখি বাসার অবস্থা একদম করুণ। যেহেতু দীর্ঘ দুই সপ্তাহ বাসায় ছিলাম না, তাই ধুলোবালি দিয়ে সবকিছু একদম মেখে নোংরা হয়ে গিয়েছে আবার এদিকে বাবু অসুস্থ ছিল।
ভিডিও লিংক
তাই হীরাকে বাসায় রেখে আমি চলে গিয়েছিলাম, শিশু ডাক্তারের কাছে। কেননা হীরা নিজ হাতে বাসা ঠিকঠাক করছিল আর অন্যদিকে আমি বাবুকে ডাক্তার দেখানোর চেষ্টা করছিলাম। অবশেষে বাবুকে ডাক্তার দেখিয়ে, যখন বাসার দিকে চলে এসেছিলাম, ততক্ষণে হীরা নিজ উদ্যোগে বাসা ঠিকঠাক করে ফেলেছিল। তবে, ওকে দেখে বোঝাই যাচ্ছিল, ও বেশ ভালোই পরিশ্রম করেছিল।
যেহেতু বাবু কে, ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় ফিরতে ফিরতে ইতিমধ্যেই রাত হয়ে গিয়েছিল, তাছাড়া বাসায় বাজার ছিল না, অতঃপর সিদ্ধান্ত নিলাম বাইরে ডিনার করার। বাসার খুব সন্নিকটেই নতুন একটা রেস্টুরেন্ট হয়েছে, তাই সেখানেই অতপর চলে গিয়েছিলাম সপরিবারে।
যেহেতু রাত্রিবেলা গিয়েছিলাম, তাই মোটামুটি রেস্টুরেন্টটা বেশ ফাঁকা ছিল। লোকজনের সমাগম তেমন একটা ছিল না, তাছাড়া তাদের ভিতরের জায়গাটা অনেক বড় এবং বেশ খোলামেলা। বাবু, নিরিবিলি স্বাচ্ছন্দ্যে ঘোরাঘুরি করছিল রেস্টুরেন্টের ভিতরে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের এলাকার প্রবীণ শিক্ষক, সেখানকার ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বে আছেন। দীর্ঘদিন পরে মাস্টারমশাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়ে বেশ ভালই কথোপকথন হয়েছিল। যেহেতু আমরা রাত্রিবেলায় গিয়েছিলাম, তাই মোটামুটি বেশ ভালই উপভোগ করছিলাম সময়টা।
সেখানে বেশ হরেক রকমের খাবার আয়োজন ছিল, আমরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী রুই মাছ ও ঝাল মুরগির মাংস অর্ডার করেছিলাম, সঙ্গে ছিল সাদা ভাত ও সবজি। খাবারের স্বাদ ছিল বেশ দারুণ।
এমনিতেই সেদিন সারাদিন প্রচুর কর্মব্যস্ত সময় গিয়েছিল, তার ভিতরে এরকম মনোরম পরিবেশে বসে যখন রাতের ডিনার করেছিলাম, তখন যেন কিছুটা ভালোলাগা কাজ করছিল নিজেদের মাঝে। ভরপেট খেয়ে, অবশেষে বিল মিটিয়ে চলে এসেছিলাম বাসার উদ্দেশ্যে।
যেহেতু রেস্টুরেন্টটি নতুন হয়েছে, তাই ডেকোরেশনের কাজ এখনো অনেকটাই বাকি আছে, তারপরেও বলতে গেলে সেখানকার পরিবেশটা কিন্তু দারুণ। খাবারের মান মোটামুটি ভালই। তবে রেস্টুরেন্টের লোকজন আমাকে বলেছিল,সম্ভব হলে দুপুর বেলার দিকে আসতে। কেননা দুপুরবেলায় তাদের বেশ ভালো খাসির বিরিয়ানি পাওয়া যায় । যেটা অনেকটাই মুখরোচক ও সুস্বাদু।
ইচ্ছা আছে, পরবর্তীতে গেলে দুপুরবেলার দিকে যাওয়ার। কেননা সেই সুস্বাদু খাসির বিরিয়ানি খাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম। যাইহোক বন্ধুরা, আমাদের কাটানো মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে একটা ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করেছি, আশাকরি ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বেশ কয়েকদিন আগেও আপনার একটি পোস্টে জানতে পারি আপনার বাবু অসুস্থ, ঠিক সেটাই আজকেও জানতে পারলাম দোয়া করছি আপনার বাবু যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন বাসায় না থাকলে এমনিতেই বাসা অনেক ময়লা হয়ে যায়, আর সেজন্যই তো ভাবির এরকম পরিশ্রম করতে হয়েছে ঘর পরিষ্কার করার জন্য। রাতের ডিনার করা নিয়ে সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।পড়ে বেশ ভালই লাগলো।
ধন্যবাদ ভাই, আমার অনুভূতি বুঝতে পেরে, সাবলীল মন্তব্য করার জন্য। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ভাইয়া খাসির বিরিয়ানী খেতে কবে যাবেন? আমাকে একটু আগে ভাগে জানিয়ে দিয়েন। আমিও খেয়ে টেষ্ট করে দেখবো। তবে রেস্টৃরেন্টটির ডেকোরেশনটি কিন্তু সত্যি বেশ দারুন। পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন তা বুঝাই যাচেছ। ধন্যবাদ ভাইয়া মূহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করায়।
আপনি যেদিন আমাদের এখানে বেড়াতে আসবেন, সেদিনই যাব ওখানে, এটা সত্য সময়টা আমার বেশ ভালই কেটেছিল ঐ রেস্টুরেন্টে।
আপনার প্রাক্তন শিক্ষক তাহলে এই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার। ব্যাপার টা দেখে ভালো লাগল। ঐসময়ে আপনাদের বাড়িতে রান্না করে খাওয়ার কোন পরিস্থিতি ছিল না। রেস্টুরেন্ট টি বেশ বড় এবং খোলামেলা। খাবারের মান আপনি বললেন বেশ ভালো। পরবর্তী দিন এখানের খাসির বিরিয়ানির রিভিউ এর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ভাই।
মাস্টারমশাই অবসরে যাওয়ার পর থেকে, অনেকটা একাকী সময় কাটছিল তার, হয়তো সেজন্যই নতুন করে যুক্ত হয়েছে এই হোটেলে। অবশ্যই ভাই বিরিয়ানি খেতে গেলে রিভিউ দেব।
রেস্টুরেন্ট এর ভিতরের স্পেসটা অনেক বড় দেখছি! রেস্টুরেন্ট টা যেহেতু গ্রামের দিকে পরেছে এজন্য ভীড় একটু কম মেবি! তবে এমন রেস্টুরেন্ট এ দুপুরের দিকে ভালো ভীড় থাকে। দুপুরের দিকে গেলে ভালোই খাবার খেতে পারবেন। শায়ান বাবু অসুস্থ জেনে খারাপ লাগলো। শায়ান বাবুর সুস্থ্যতা কামনা করছি।
আসলে রেস্টুরেন্টটা সমসাময়িক সময়ে নির্মিত হয়েছে, যার কারণে এখনো খুব একটা পরিচিতি পায়নি, তবে আশা করা যায়, ভবিষ্যতে আরো জমজমাট হবে। বাবু এখন বেশ ভালো আছে ভাই।
মাঝেমধ্যে রান্না করতে ঝামেলা মনে হলে বা বাসায় বাজার না থাকলে, রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করাটাই ভালো। আমরাও মাঝেমধ্যে এমনটা করি। যাইহোক বৈশাখী রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন ভাই। রেস্টুরেন্টের স্পেসটা বেশ ভালোই বড়। সবমিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনারা। ভিডিওগ্রাফিটাও দারুণ হয়েছে ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে অনেকদিন পরে গ্রাম থেকে ফিরেছিলাম তো, তাই অনেকটাই অপ্রস্তুত ছিলাম, বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে যেতে হয়েছিল ডিনার করতে, এটা সত্য যে সময়টা আমাদের বেশ ভালই কেটেছিল।
সারাদিন পরিশ্রম করার পর রুই মাছ আর ঝাল মুরগির মাংস দিয়ে বাইরে ডিনার করলে সেটা তো দারুন ব্যাপার হয় দাদা। তাছাড়া আপনার ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে লোভনীয় খাবার গুলো দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। তবে যদি কখনো সময় পান তাহলে দুপুরবেলা গিয়ে একদিন খাসির মাংসের বিরিয়ানি খেয়ে আসবেন দাদা । যদিও আপনার বাবুর অসুস্থতার কথা শুনে একটু খারাপ লাগছে। তবে যেহেতু ডাক্তার দেখিয়েছেন আশা করি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
রেস্টুরেন্টটা নতুন হলেও খাবার দাবার গুলো দেখে কিন্তু বেশ ভালই লাগছে ভাই। তাছাড়া রেস্টুরেন্টের ভেতরটা আসলেই দেখছি অনেক বড়। তবে নতুন রেস্টুরেন্ট এবং অনেকটা রাত হয়ে গেছে জন্য হয়তো ভিড় একটু কম ছিল। তবে ভাই মাঝেমধ্যে ঝামেলা মনে হলে বাইরে গিয়ে খাওয়াই ভালো। আর আপনার ভিডিওগ্রাফি টাও খুব সুন্দর হয়েছে।
কিছুদিন বাসায় না থাকলে বাসার অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যায়। আর বাবু অসুস্থ ছিল আমরা সবাই জানি। একদিকে বাসার কাজ অন্যদিকে সবকিছু গোছানো সব মিলে রান্না করার ঝামেলা করলে অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যেত। যাই হোক বাহিরে গিয়ে খেয়ে এসে ভালোই করেছেন ভাইয়া। আশা করছি পরবর্তী কোন একদিন দুপুর বেলায় তাদের ফেমাস খাসির বিরিয়ানি খেয়ে আসবেন। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে।