জীবনযাত্রার পরিবর্তন
এখন ক্লান্তি হয়তো আমার যেমনটা লাগছে, তেমনটা হয়তো ভুক্তভোগী অনেকেই । বিশেষ করে ভোর রাতের দিকে যখন সেহরি খেতে উঠতে হয়, তখন যেন ঘুমে একদম চোখ ফেটে যায়। কোন মতই মন চায় না যে, ঘুম থেকে উঠে সেহরি খাই।
এমনিতেই সারাদিনের কর্মব্যস্ততা, তারপরে আবার ইফতারের আগে শরীর এতটাই নিস্তেজ হয়ে যায় যে, যা বলে শেষ করা যাবে না। তারপরে আবার এমন ক্ষুধার্ত অবস্থায় থেকে হুট করে ভরপুর খেয়ে, মনে হয় কোনভাবেই যেন আর শরীর চলছে না। তখন শরীরটা ভীষণ ভার ভার লাগে, মনে হয় শান্তিতে আরাম করতে পারলেই বাঁচা যায়।
তবে গত এই কয়দিনে, একটি বিষয় বেশ ভালোভাবে লক্ষ্য করেছি তা হল জীবনযাত্রার পরিবর্তন। বিশেষ করে আগে দেখা যেত, দিনের বেলাতে যেমনটা বাহিরে থাকতাম, তেমনটা অনেকটা রাত অবধি বাহিরেই সময় কাটিয়ে দিতাম, সেই অভ্যাসটা তে অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে।
আমি মনেকরি এমনটা শুধু আমার একার না। শহর কিংবা গ্রাম যেখানেই আমি থেকেছি, তখন সেখানকার পারিপার্শ্বিক অবস্থা বেশ ভালোভাবে খেয়াল করেছি। নীড়ে ফেরা পাখির মত, ইফতারের আগে সকলের ভিতরে যেন আলাদা একটা পিছুটান কাজ করে, হয়তো তা নীড়ে ফিরে আপন মানুষগুলোর সঙ্গে একত্রে ইফতার করবে এজন্য।
এই যে পিছুটান, নীড়ে ফেরার ব্যস্ততা, এ ব্যাপারটা আমাকে বেশ ভাবায়। সারাদিনের কর্মব্যস্ততা সেরে, ক্লান্ত শরীর নিয়ে রোজা থাকা অবস্থায়, যখন পরিবারের জন্য সবাই ইফতার কিনে নিয়ে নীড়ে ফেরে, তখন আমি সেই মানুষগুলোর মুখে প্রশান্তির যেন প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই।
যাইহোক অনেক দার্শনিক কথা হয়তো বলে ফেললাম, তবে দিনশেষে পরিবারই প্রতিটা মানুষের কাছে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ, তা হয়তো এইরকম উৎসবমুখর পরিবেশের সময় বারবার বোঝা যায়।
ভালো থাকুক প্রতিটি কর্মজীবী মানুষ নিজ নিজ স্থানে এবং তাদেরকে ঘিরে তাদের পরিবারের এই আত্মিক বন্ধন অটুট থাকুক প্রতিনিয়ত।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সারাটা দিন কষ্ট করে রোজা রেখে সকলেই চায় প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে একসাথে বসে ইফতারটা করতে। বিশেষ করে এসের ঘরে হয়তো বাচ্চাটা এবছর প্রথম রোজা রাখছে, কিংবা বাসায় বাবা মা অপেক্ষা করছে কখন তিনি বাসায় ফিরবেন আর একসাথে সকলে মিলে ইফতার করবেন! পরিবার কে গুরুত্ব দেয়া এবং যথেষ্ট সময় দেয়াটা সকলেরই উচিত।
হয়তো এই পিছুটানের কারণেই সবাই নীড়ে ফিরে আসে, এ যেন এক আত্মিক বন্ধন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম ঠিক বলছেন ভাইয়া আপনার মতো আমাদের সবার এখন ক্লান্তিতে সারাদিন পার হয়।এই রোজা মাসে মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসে।যেমন এখন সবাই সন্ধার আগেই নীড়ে ফেরা পাখির মত বাসায় চলে যায়।সারাদিনের একটু খেয়ে ক্লান্তি দূর করতে। যাইহোক খাওয়ার পরে মনে হয় ঘুমানো টা বেশি জরুরি।তাও ইবাদত পালন করে এরপর ঘুম।
আসলেই , রমজানের এই সময়টা আপনাদের জন্য একটু বেশিই কষ্টকর ৷ সারাদিন না খেয়ে সন্ধ্যায় ইফতার করবেন শরীর তো দুর্বল হয়ে যাবে ৷ তাছাড়া গরমের সময় চলে আসছে ৷ সব মিলিয়ে দুর্বল আর ক্লান্ত নিয়ে কাটবে এই দিন গুলো ৷ যাই হোক , আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ৷ ভালো কাটুক আপনাদের প্রত্যেকটা দিন সুস্থতার সাথে ৷ ধন্যবাদ
আসলেই ভাই প্রায় প্রতিটি মানুষের কাছে দিনশেষে পরিবারই সবকিছু। রমজান মাসে আমাদের লাইফস্টাইল একেবারেই পরিবর্তন হয়ে যায়। ইফতারের পরে ১ ঘন্টা সময় পাই,তারপর ৮-১০ টা পর্যন্ত তারাবী নামাজ আদায় করে, ঘুমাতে ঘুমাতে রাত প্রায় ১ টা বেজে যায়। তারপর ৪ টা বাজে ঘুম থেকে উঠে সেহরি খেতে খুবই কষ্ট হয়। কারণ ঘুম থেকে উঠে খাওয়াটা একেবারেই বিরক্ত লাগে। এটা ঠিক রমজান মাসে সারাদিন যে যেখানেই থাকুক না কেনো, ইফতারের সময় বাসায় ফেরার চেষ্টা করে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মন্তব্যেও কিন্তু বেশ যুক্তি আছে, ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি।
এই ব্যাপার টা সুন্দর বলেছেন ভাই। রমজান মাসে আমাদের জীবন যাএার একটা পরিবর্তন আসে। আমি নিজেও বাইরে গেলে ফেরার কোন ঠিক থাকত না। অধিকাংশ দিন রাত করে ফিরতাম। কিন্তু এখন বাড়িতে ফেরার একটা তাড়া থাকে ইফতারের আগে। মনে হয় না ইফতার টা পরিবারের সঙ্গেই করি। সুন্দর লিখেছেন ভাই।
দিনশেষে ভাই পরিবারটাই মুখ্য, এটা এখন বেশ ভালোভাবে বোঝা যায়।
আসলে এই রমজানের সময় সবার শরীরটা অনেক বেশি দুর্বল থাকে। কারণ সারাদিন তো আপনারা না খেয়ে থাকেন। আর এর জন্য শরীর অনেক ক্লান্ত হয়ে যায়। কিন্তু বিকালের দিকে যখন আপনারা কিছু খান তখন আপনাদের শরীরটা ক্লান্তিতে ভেঙ্গে পড়ে। যাই হোক এই রোজার মাসে আপনারা সবাই অনেক ভাল থাকবেন।
হ্যাঁ ভাই, প্রথমত হয়তো মানিয়ে নিতে কিছুটা কষ্ট হয়, তবে শেষের দিনগুলো বেশ ভালোভাবেই যায়। আপনিও ভালো থাকবেন ভাই, শুভেচ্ছা রইল।
দার্শনিক কথা নয় ভাইয়া, বরং আপনি একদম কঠিন সত্য কথা বলেছেন। এই যে কর্মজীবী মানুষ যারা রয়েছে তারা সকলে চেষ্টা করে ইফতারের আগে নিজ নিজ বাড়িতে গিয়ে প্রিয় মানুষের সাথে বসে ইফতার করতে। হয়তো সেই প্রিয় মানুষ গুলোর মধ্যে রয়েছে বাবা-মা ভাই বোন, কিংবা স্ত্রী সন্তান। আর এদের সবার সাথে একত্রে বসে ইফতার করার মজাটাই অন্যরকম। ভাইয়া আপনার কথাগুলো সব সময় বাস্তবমুখী এবং সুন্দর হয়। যে কথাগুলো পড়লে সত্যি ভীষণ ভালো লাগে। জীবনযাত্রার পরিবর্তন নিয়ে খুব সুন্দর লিখনী লিখেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আপনার মন্তব্যের কাছে, দারুণ বলেছেন।
রমজানের মাসের সময়টাই অন্যরকম। একদম নিয়মমাফিক জীবনটা অতিবাহিত হয়। রোজা রেখে বাহিরে যেতেও মন চায় না। দিনশেষে কর্মব্যস্ত মানুষ গুলো ইফতার নিয়ে বাসায় ফিরে সবার সাথে ইফতার করার জন্য সে মুহূর্তটা অন্যরকম। ভালো থাকুক মানুষগুলো ☘️
এমনটাই তো ভাই আমারও চাওয়া, ভালো থাকুক সকল মানুষগুলো নিজ নিজ স্থানে।
দিনশেষে পরিবার আমাদের সবার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ দাদা। কারণ আমরা নিজেদের কাজ শেষ করে শুধুমাত্র বাড়ি ফিরে আসি এই কারণে, যাতে করে আমাদের আপন মানুষগুলোকে চোখের সামনে দেখতে পারি। তবে দাদা আপনার এই পরিবর্তনটা কিন্তু অনেক ভালো। এটা সবার ক্ষেত্রে না হলেও অনেকের ক্ষেত্রে কিন্তু এই ব্যাপারটা হয়। ভালো কাটুক আপনার রোজার মাসটা সেই কামনা করি।