কেনাকাটা
কয়েকদিন ধরেই দেখছিলাম স্থানীয় মার্কেটের শোরুম গুলোতে রমজান মাসে বেশ ভালই ছাড় দিয়েছে। সত্য কথা বলতে গেলে কি, যখনই শোরুমগুলোতে ছাড় দেয় তখনই আমি শোরুমের ক্রেতা হয়ে যাই। ছাড় ব্যতীত শোরুমে যাওয়ার সাহস কোনোভাবেই করে উঠি না।
যদিও আমার পরিবার ছোট, তবে উৎসবকে কেন্দ্র করে যখন একটু কেনাকাটা করার সিদ্ধান্ত নেই, তখন সেই তালিকায় মোটামুটি পরিবারের অন্য সকল সদস্যদের যুক্ত করার চেষ্টা করি। বাবা-মা শ্বশুর-শাশুড়ি, ছোট ভাই-বোন, ভাতিজি, শ্যালিকা থেকে শুরু করে নিকটস্থ আত্মীয়-স্বজনের কথাও চিন্তা করতে হয়।
যদিও আমি স্বল্প আয়ের মানুষ, তবে উৎসবকে কেন্দ্র করেই, হয়তো এই কেনাকাটা আমার জায়গা থেকে করতে হয়।
সেদিন সন্ধ্যার দিকে গিয়েছিলাম আমাদের স্থানীয় শোরুম গুলোতে, বেশ ভালোই ছাড় চলছে প্রতিটা পণ্যে। তালিকা অনুযায়ী সকলের জন্য মার্কেটে ঘুরে ঘুরে কমবেশি কেনাকাটা করে ফেললাম। অনেকটা সময় চলে গিয়েছিল, মার্কেটে তেমন একটা ভিড় ছিল না বললেই চলে। দিন যত গড়িয়ে যাবে লোকসমাগম ততই বৃদ্ধি হতে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
প্রথমত গিয়েছিলাম কসমেটিকের দোকানে সেখানে গিয়ে বাবু ও বাবুর মায়ের জন্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে, তারপরে চলে গেলাম বিভিন্ন কাপড়ের ব্র্যান্ডের শোরুমগুলোতে। তবে একটা সত্য কথা বলি, একা কেনাকাটা করা যতটা সহজ, তবে পরিবারের লোকজন নিয়ে গেলে, সেই কেনাকাটা করাটা একটু কঠিন হয়ে যায়। কেননা সবার রুচির একটু পরিবর্তন থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
তারপরেও চেষ্টা করছিলাম ধীরে ধীরে সবার প্রয়োজন অনুযায়ী কেনাকাটা করার জন্য। পুরুষ মানুষদের কেনাকাটা করার জন্য খুব একটা বেশি সময় লাগেনি, সেটা আমি নিজ দায়িত্বেই করে ফেলেছিলাম। তবে যত ঝামেলা হয়েছিল মেয়ে মানুষের কেনাকাটা করার জন্য। একটা পর্যায়ে গিয়ে তো আমি, বাবুর মাকে বলেই ফেলেছিলাম, তুমি তোমার মন মতো কেনাকাটা করো আমি বাহির থেকে ঘুরে আসি।
ও আসলে অনেকটা সিদ্ধান্তহীনতায় পড়ে গিয়েছিল, কোনটা রেখে কোনটা নেবে এমনটা অবস্থায়। যাইহোক অবশেষে ও নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নিজের পছন্দের কেনাকাটা করেছিল এবং তারপরে গিয়েছিলাম জুতার শোরুমে। জুতা সবার জন্য কেনা হয়েছিল দেখে শুনে। তবে জুতার শোরুমে তুলনামূলক দাম কম থাকলেও, সেই দামটাও ছিল আকাশচুম্বী। অতঃপর তার মাঝেও দেখেশুনে কেনাকাটা করে অবশেষে বাড়ি ফিরে এসেছিলাম।
কেনাকাটার অভিজ্ঞতার কথা যদি বলতেই হয়, তাহলে বলব অনেকগুলো পয়সা খরচা হয়েছে। যদিও ছাড় ছিল, তবে তাও অনেকগুলো পয়সা। এতগুলো পয়সার কথা চিন্তা করতেই, এখনো কিছুটা যেন মনে মনে অশান্তি তে ভুগছি।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই ভাই মেয়েদের কেনাকাটা করতে অনেক সময় লাগে। কারণ তারা শপিং এর ব্যাপারে বেশ সেনসিটিভ। যাইহোক ঈদের সময় নিজের পরিবার থেকে শুরু করে, নিকটস্থ আত্মীয়-স্বজনদেরকে যদি কিছু গিফট করা যায়, তাহলে নিজের কাছেই ভীষণ ভালো লাগে। তবে সবার জন্য কেনাকাটা করতে অনেক সময় লেগে যায়। আমিও ইতিমধ্যেই কেনাকাটা করে ফেলেছি সবার জন্য। কিন্তু সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত সময় লেগেছে শপিং করতে। যাইহোক অফার পেয়েছেন বলে বেশ সুবিধা হয়েছে। শায়ান তো দেখছি অনেক দুষ্টুমি করেছে। আপনারা বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছেন ভাই। পোস্টটি পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনিও সবার জন্য কেনাকাটা করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাই। শুভেচ্ছা রইল।
যখন কোন শোরুমে বিশেষ অফার চলে তখন সেখানে ভিড়ের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। আর সবাই সেখান থেকে কেনাকাটা করার চেষ্টা করে। সবাইকে নিয়ে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। সত্যি ভাইয়া মেয়ে মানুষদের কেনাকাটা করতে একটু সময় লাগে। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
মেয়ে মানুষদের কেনাকাটা করতে একটু সময় না বরং অনেক সময় লাগে আপু।
আসলে ভাইয়া প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ হয়ে গেলে এমনিতেই মন-মানসিকতা খারাপ হয়ে যায়। আর তাতে যদি থাকে স্বল্প ইনকাম। আর বিভিন্ন উৎস কে কেন্দ্র করে যখন শোরুম গুলোতে বিভিন্ন অফার চালু তখন আমারও জিনিসপত্র কেনার জন্য আগ্রহ বেড়ে যায়। আপনার পরিবার ছোট হলেও বাবা মা শ্বশুর-শাশুড়ি সহ সবাইরে জন্য কেনাকাটা করেছেন শুনে ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া সবাইরে জন্য কেনাকাটা করতে বলে মনের মধ্যে একটা শান্তি লাগে। যাইহোক কেনাকাটা করতে আপনি বেজায় অস্থির হয়ে উঠেছিলেন পোস্ট পড়ে বোঝা যাচ্ছে। পরিবারকে নিয়ে কেনাকাটা করার সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি।
ধন্যবাদ ভাই আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য, এটা সত্য কিছুটা অস্থির হয়েছিলাম, তবে এখন হালকা বোধ করছি।
কি বলেন ভাই টাকা খরচ হবেই সেটা বলা যাবে না ৷আসলে আয় করা কতটা কষ্ট কিন্তু ব্যায় করতে মনে হয় না ৷ যা হোক পুরো পরিবার নিয়ে দেখি অনেক কেনাকাটা সাথে পরিবারের সবার জন্য ৷
শুভ দা একটা কথা ঠিক মেয়ের কেনাকাটা সত্যিই বিরক্ত লাগে ৷ দেখাদেখি ভালো মন্দ সবমিলে একটা পেসার চলে আসে ৷ যা হোক দিনশেষে কেনাকাটা অনেক করেছেন ৷ ঈদ ভালো কাটুক এমনটাই প্রতার্শা ব্যাক্ত করছি ৷
তোমারও উৎসব ভালো কাটুক, এমনটা প্রত্যাশা আমিও করি।
পুরুষ মানুষের জীবনটাই এমন। নিজের স্বপ্ন, ইচ্ছা জলাঞ্জলি দিয়ে প্রিয় মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটানোর চিন্তা করতে হয়। যদিও টাকা পয়সা খরচা হয়েছে আপনার তবে তাদের মনে শান্তি পেলেই যেন মার্কেট করা স্বার্থক।
একদম তুমি ঠিক বলেছ ভাই, তাদের মনে শান্তি আসলে হয়তো প্রশান্তি মিলবে।
পরিবারের সবার রুচি পছন্দ এক নয়।তাইতো কেনাকাটা করতে গেলে একটু ঝানেলাই পরতে হয়।ছাড় দিলেও অনেকগুলো টাকা খরচ হয়ে গেলো।কিন্তু সবার হাতে উপহার গুলো চলে যাওয়ার পর আনন্দ মাখা মুখটি দেখলে তখন ঠিক তৃপ্তি পাবেন ভাইয়া।আপনার কেনাকাটার সুন্দর অনুভূতি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
তা অবশ্য ঠিক বলেছেন, হয়তো সবার হাসিমুখ দেখলে প্রশান্তি মিলতে পারে।
আমিও আপনার দলের লোক দাদা, কোন জায়গায় অফার না দিলে কেনাকাটা করতে যাই না। হা হা হা...🤭🤭 তবে এটা সত্যি কথা যে, পরিবারের সব লোক একসাথে নিয়ে গেলে কেনাকাটা করতে অনেক বেশি অসুবিধা হয়, যেহেতু এক একজনের চয়েস এক এক রকম হয়। যাইহোক, আপনি এই উৎসবের দিনগুলোতে সবার জন্য কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন, সেটা শুনে সত্যিই খুব খুশি হলাম। ভালো লাগলো দাদা আপনার এই পোস্ট টি পড়ে।