মটকা বিরিয়ানি ভোজন

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

দীর্ঘদিন ধরে সেভাবে বাহিরে গিয়ে কখনো বিরিয়ানি খাওয়া হয়ে উঠছিল না। তার অবশ্য প্রধান কারণ, আমাদের শহরে যে বিরিয়ানি গুলো পাওয়া যায়, সেগুলোর স্বাদ ইতিমধ্যেই গ্রহণ করা হয়ে গিয়েছে। এগুলোর আসলে আহামরি কোন ভিন্নতা নেই। থাকবেই বা কেন, এক-দেড়শ টাকায় তো খুব আহামরি বিরিয়ানি আশা করা নিতান্তই বোকামি।

20240101_205941.jpg

20240101_210034.jpg

20240101_210123.jpg

20240101_210550.jpg

20240101_210518.jpg

20240101_210302.jpg

20240101_210111.jpg

20240101_210104.jpg

20240101_204002.jpg

20240101_203735.jpg

20240101_203724.jpg

ভিডিও লিংক

তাছাড়া এই মফস্বল শহরে এর চাইতে আর ভালো কিছু পাওয়া যায় না বললেই চলে। কিছুদিন আগে বগুড়াতে গিয়েছিলাম, যেহেতু এটা জেলা শহর, তাছাড়া অনেক উন্নতই বলা যায়। অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে এই শহরটা, হয়তো সেটা সবদিক থেকেই।

আমি যে ভোজন রসিক মানুষ তেমনটা না, তবে সুযোগ পেলে চেষ্টা করি একটু নতুনত্ব খাবারের স্বাদ গ্রহণ করার জন্য। তারই ধারাবাহিকতায়, সেদিন যখন বগুড়াতে ছিলাম, চলে গিয়েছিলাম জলেশ্বরীতলা কালীমন্দিরের পিছনে। এই এলাকাটাকে বলা হয়, বগুড়া শহরের অভিজাত এলাকা । কেননা সব ধরনের উন্নত কাপড়-চোপড়ের ব্র্যান্ডের শোরুম থেকে শুরু করে সব ধরনের খাবারের রেস্টুরেন্টগুলো এখানেই অবস্থিত। যারা বগুড়া শহরে গিয়েছিলেন বা থাকেন, তারা হয়তো আমার কথার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করতে পারবেন না।

যেহেতু সেদিন নিজের ব্যক্তিগত কাজ শেষ করতেই অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিল, তাই বলা যায় এক প্রকার আমি ভীষণ ক্ষুধার্ত ছিলাম। অবশেষে ছোট ভাই ইমুর মারফতে, জানতে পেরেছিলাম মটকা বিরিয়ানির খবর। তাই চলে গিয়েছিলাম, এর স্বাদ উপভোগ করার জন্য।

আমরা যে সময়টাতে ঐ এলাকায় গিয়েছি, সেই সময়টা তে প্রায় রেস্টুরেন্ট গুলোই বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, তাছাড়া খাবারও একদম শেষের দিকে চলে এসেছিল। অর্থাৎ রেস্টুরেন্ট গুলো বন্ধের সময়ের দিকে যা হয় আরকি। তারপরেও অবশেষে ঢুকেই পড়লাম মটকা বিরিয়ানি হাউজে। এদের এখানকার শাখাটা যথেষ্ট ছোট। মূলত এরা ক্যাটারিং সার্ভিস দিয়ে থাকে।

যার কারণে এদের খুচরা বিক্রি নিয়ে এত মাথাব্যথা নেই। তারপরেও যারা আমাদের মত মানুষ সেখানে যায়, তাদের জন্য টুকটাক তারা মাঝে মাঝে ব্যবস্থা করে রাখে। তাও সেটা আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রাখতে হয়, না হলে এদের বিরিয়ানির স্বাদ নেওয়া খুবই কষ্টকর। আমরা যেহেতু দুজন ছিলাম, যখন আমাদের নিজেদের ব্যক্তিগত কাজ শেষ করেছিলাম, সেই মুহূর্তেই তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে গিয়ে, বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট দিয়ে দুটো মটকা বিরিয়ানি বুকিং দিয়ে রেখেছিলাম। যার কারণে হয়তো, সেখানে যেতেই আমরা দ্রুত বিরিয়ানি পেয়ে গিয়েছিলাম।

এই বিরিয়ানির একটা বিশেষত্ব হচ্ছে, এটা মূলত মাটির হাঁড়িতে করে বানানো হয় এবং কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় মাটির হাঁড়িতে করেই। তাছাড়া খাসির মাংসের বড় বড় টুকরা থাকে আর সঙ্গে থাকে আলু। তবে বিরিয়ানি তে প্রচুর মসলা ব্যবহার করা হয়, যার কারণে খেতে ভীষণ ঝাঁঝালো। এছাড়াও সঙ্গে বাড়তি টক ঝাল মিষ্টি চাটনি এবং সালাদের ব্যবস্থা রয়েছে। অনেকে চাইলে বোরহানী বা কোল্ড ড্রিংকস নিতে পারে।

যেহেতু এই প্রথম আমি মটকা বিরিয়ানি খেলাম, তাই আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। ৮০০ টাকার মত খরচ হয়েছিল, তবে যাই বলি না কেন বিরিয়ানি খেয়ে পয়সা উসুল হয়েছে। সেদিনের আমাদের কাটানো মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে, ছোট্ট একটা ভিডিও শেয়ার করার চেষ্টা করলাম, আশাকরি ভোজন রসিক মানুষদের কাছে ভিডিওটা ভালো লাগতে পারে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

Banner-16.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 6 months ago 

আপনি দেখছি মটকা বিরিয়ানির মটকা নিয়েই খেতে বসেছেন। পরে অবশ্য পোষ্ট পড়ে জানতে পেলাম ওই মটকা বিরিয়ানির রেষ্টুরেন্ট থেকেই নিয়ম মটকা সহ বিরিয়ানি দেয়া।বেশ ভালো লাগলো ব্যাপারটা।খুব জমিয়ে খেয়েছে জেনে বেশ ভালো লাগলো টাকা উসুল করতে পেরেছেন। বিরিয়ানি খাওয়ার যাবতীয় কিছু শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর খাওয়া দাওয়ার মুহুর্তের অনুভূতি ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

আমাকে রেখে একা একা বিরিয়ানি খাওয়া হয়েছিল। আগে দেখলে খবর ছিলো। যেহেতু অনেক দিন পর দেখলাম তাই আর কিছু বললাম না।তবে খাওয়ার ইচ্ছে পোষন করলাম।😢

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

ভাই আমিও আপনার মতো ভোজন রসিক মানুষ না,তবে ভোজন রসিক না হলেও মাঝেমধ্যে নতুন নতুন খাবার খেতে দারুণ লাগে। মটকা বিরিয়ানি আমার খুবই পছন্দ। বগুড়ায় গিয়ে ব্যক্তিগত কাজ শেষ করার পর বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করলেন। এমন মজাদার খাবার খেতে পারলে এমনিতেই টাকা উসুল হয়ে যায়। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

মটকা বিরিয়ানি নামটি ভাইয়া আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে জানতে পারলাম। এর আগে কখনো নাম শুনিনি। মটকা বিরিয়ানি ভোজন করেছেন এবং আমাদের মাঝে চমৎকার ভাবে রিভিউ করেছেন। কখনো বগুড়া গেলে অবশ্যই খাবো। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিলো। মাটির হাঁড়িতে অনেক সুন্দর করে দেখি রান্না করে। দুজন মিলে বেশ ইনজয় করে খেয়েছেন মনে হচ্ছে। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

অবশ্যই ভাই, আপনাকে বগুড়ায় দাওয়াত দিলাম। দেখা হলে, একসঙ্গে খাওয়া যাবে আবারও।

 6 months ago 

মাটির হাঁড়িতে করে বিরিয়ানি দেওয়া হয়েছে দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। আসলে ভালো জিনিসের প্রাইস সব সময় একটু ভালোই হয়। আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আর ভিডিওগ্রাফিটি দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।

 6 months ago 

এটা আমিও মানি আপু, জিনিস যেটা ভালো দাম তার একটু বেশি।

 6 months ago 

নরমালি বাজারে ১৫০-১৬০ টাকার মাঝে বিরিয়ানী পাওয়া যায়। তবে একই বিরিয়ানী বারবার খাওয়ার মাঝেও মজা নেই! মটকা বিরিয়ানীটা একদম অন্যরকম লাগলো। ৮০০ টাকা হলেও যেহেতু বিরিয়ানীর স্বাদ ভালো হয়েছিল সে হিসেবে আমি বলবো ঠিকই আছে। ইমু ভাইকে নিয়ে তাহলে জম্পেস করে বিরিয়ানী খেতে পারলেন

 6 months ago 

দুজন মিলে ৮০০ টাকা খরচ পড়েছে, তাও পানি ও কোক সহকারে। বলতে গেলে ৩৫০ টাকা প্লেট, তবে টেস্ট যথেষ্ট ভালো।

 6 months ago 

নামটা কিন্তু বেশ সুন্দর মটকা বিরিয়ানি। যেমন নামটা মোটকা বিরিয়ানি বিরিয়ানির পরিমাণটাও তেমন বেশি দিল হা হা হা। যাক অবশেষে খেয়ে নিলেন পেট ভরে তৃপ্তি সহকারে দেখে কিন্তু জিভে জল এসে গেল। কিছু কিছু খাবার আছে এমনিতে সামনা সামনি না হলেও ছবি দেখেই লোভ সামলানো যায় না। যা আপনার বিরিয়ানির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অবশেষে আপনি বগুড়াতে গেলেন নিজের ব্যক্তিগত কাজে। আসলে রিজিক বলে একটা কথা আছে। কখন কার রিজিক কোথায় সেটা উপরওয়ালাই জানে। শেষমেষ আপনার রিজিকে যখন ছিল তখন আপনি খেয়ে নিলেন। মুহূর্তটি আমাদের সাথে খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করলেন ভালো লাগলো।

 6 months ago 

এটা আসলেই সত্যিই খেতে বেশ সুস্বাদু ছিল, তাই হয়তো এর লোভ সামলাতে পারিনি আপু। এটা সত্য, পরিমাণে তারা বেশ ভালোই দিয়েছিল।

 6 months ago 

মটকা বিরিয়ানি ব্যাপারটা বেশ কিছু বছর ধরে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে সব জায়গায় যা দেখছি। প্রথমবার আপনি এই মটকা বিরিয়ানি খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো দাদা। ৮০০ টাকা খরচ করে খেয়ে, তাও বলছেন পয়সা উসুল হয়েছে! তার মানে তো টেস্ট ভালই ছিল বিরিয়ানির। ভোজন রসিক না হলেও মাঝে মাঝে নতুন নতুন খাবারের টেস্ট করা বেশ ভালো কাজ।

 6 months ago 

দুজন মিলে ৮০০ টাকা খরচ হয়েছে ভাই, তবে খেতে ভালো লেগেছিল, তাই পয়সার ব্যাপার নিয়ে খুব একটা চিন্তিত ছিলাম না।

 6 months ago 

দাদা খেতে ভালো হলে পয়সার ব্যাপার নিয়ে খুব একটা চিন্তা না করাই উচিত কাজ।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 58833.91
ETH 3155.94
USDT 1.00
SBD 2.44