বনফুল হোটেলে কিছু সময়
দীর্ঘদিন পরে সেদিন বনফুল হোটেলে গিয়েছিলাম। এমনিতেই সমসাময়িক সময়ে ইন্টারনেটের অবস্থা বড্ড নাজুক, তার ভিতরে নিজের কাজ করতে গেলে অনেকটা সময় অহেতুক চলে যায়।
ভিডিও লিংক
কেননা এখনো ইন্টারনেট স্বাভাবিক গতিতে আসেনি। এজন্য দিনের বেলা বাধ্য হয়ে কাজগুলো করা ছেড়েই দিয়েছি, যতটুকুই কাজ করি তা একদম শেষ রাত থেকে শুরু করে ভোরবেলার ভিতরেই করে ফেলি।
যেহেতু গ্রামেই অবস্থান করছি এখনো, তাই মাঝে একদিন হঠাৎই শহরের বাসায় চলে গিয়েছিলাম, সবকিছু পর্যবেক্ষণ করার জন্য। কেননা অনেকটা দিন ধরে শহরের বাসায় কেউ নেই, তাই সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা তা দেখতে গিয়েছিলাম।
সেরাতেও ঠিক মতো ঘুম ভালোভাবে হয়নি, বারবার কাজ করতে যাচ্ছিলাম আর ইন্টারনেট বেশ অসুবিধা করছিল। তাই বাধ্য হয়ে সন্ধ্যা বেলার পরেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম, অবশেষে যখন ঘুম ভেঙেছিল তখন ঠিক মাঝরাত। মোটামুটি নেটের গতি আগের তুলনায় অনেকটা বেড়েছিল। হয়তো ভোররাতের দিকে নেটের চাপ কম ছিল বিধায়।
কাজ করতে গিয়ে, কখন যে ভোর হয়ে গিয়েছিল তা যেন আর খেয়াল করেই উঠতে পারিনি। বড্ড ক্ষুধা লেগেছিল , তাই অবশেষে এদিক সেদিক না ভেবে সোজা চলে গিয়েছিলাম বাসার সামনে যে খাবারের হোটেল আছে সেখানটাতে।
এই বনফুল হোটেলটা বহু পূর্ব এখানে থেকেই ছিল, তবে সাম্প্রতিক সময়ে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজের জন্য হোটেলটা ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। বলতে গেলে, হোটেলটা এখন আগের থেকে অনেকটাই আধুনিকভাবে ডেকোরেশন করে, নতুন রূপে ফিরেছে।
যেহেতু সারারাত জেগে ছিলাম আর ক্ষুধাও লেগেছিল প্রচন্ড, তাই বেশি কথা না বাড়িয়ে সোজা গিয়ে খিচুড়ি আর ডিম ভাজি অর্ডার করেছিলাম। এদের খাবারের স্বাদ বরাবরই ভালো। খাবারের দামটাও হাতের নাগালে, যেহেতু খাবার আসতে কিছুটা সময় লাগছিল, তাই সেই ফাঁকে একটু ভিডিও করে নিয়েছিলাম।
আসলে আমি এতটাই ক্ষুধার্ত ছিলাম যে, খাবার আসা মাত্রই বেশি কিছু না ভেবে চেটেপুটে খেতে শুরু করেছিলাম।
তৃপ্তি সহকারে খাওয়ার পরে মনে হচ্ছিল যেন, শরীরটা অনেকটাই ভারী ভারী লাগছিল। এমনিতেই সারারাত জাগা, তার ভিতরে ক্লান্ত শরীর। এখন যদি বাসায় গিয়ে একটানা ঘুম দেওয়া যায়, তাহলে তা মন্দ হয় না।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যদিও ভিডিওটি আমি দুপুরবেলাতেই দেখেছিলাম। বনফুল রেস্টুরেন্ট আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সব ধরনের খাবার দাবার পাওয়া যায় দেখেও ভালো লেগেছে। বিশেষ করে মিষ্টি গুলো খুবই লোভনীয় লাগছিল। আর খিচুড়ি, ডিম ভাজা খুবই লোভনীয় লাগছিল ভাইয়া।
এটা সত্য সেই হোটেলের খাবার গুলো আসলেই লোভনীয় আপু।
ভুনা খিচুড়ির সাথে ডিম ভাজি এবং সাথে মাংসের ঝোল,সবমিলিয়ে বনফুল হোটেলে গিয়ে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন ভাই। তৃপ্তি সহকারে খাওয়া দাওয়া করার পর এমনিতেই ঘুমাতে ইচ্ছে করে এবং তখন ঘুমটাও খুব ভালো হয়। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, পেট ভরা থাকলে সবকিছুই ঠিকঠাক থাকে। সময়টা বেশ ভালোই কেটেছিল সেখানে।