বন্দর ক্যাফেতে কিছু সময়
গত সন্ধ্যায় গিয়েছিলাম বন্দর ক্যাফেতে, মূলত খুবই সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের এলাকায় গড়ে উঠেছে ক্যাফেটি।
ভিডিও লিংক
যতদূর শুনেছি, মূলত কয়েকজন বন্ধু মিলে এই ক্যাফে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সমসাময়িক সময়ে সেই পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন হয়েছে। একটা বিষয় মন থেকে বলার চেষ্টা করছি, যখন মানুষের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবে রূপ পায়, তখন কিছুটা ভালোলাগা কাজ করে।
এমনিতেই বাহিরে প্রচুর গরম, সেই কারণে দিনের বেলা কোন অবস্থাতেই কোথাও যাওয়া যায় না, তবে বিকালের পর থেকে সূর্যের তাপ কিছুটা কমে যায়, তাই সেই সময় চেষ্টা করি পরিবারকে নিয়ে একটু বাহিরে এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করার জন্য।
যেহেতু গতকাল আমরা বাসায় ফিরেছি, বলতে গেলে বাসায় তেমন কাঁচা বাজার ছিল না। অতঃপর সন্ধ্যার আগে বেরিয়ে গিয়েছিলাম বাজারে। তবে বাজার করার সময়ে এতোটাই গরম লাগছিল যে, যা বলে বোঝানো যাবে না। অতঃপর সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, রেস্টুরেন্টে যাওয়ার।
আমাদের যে পরিচিত রিকশাচালক ভাই ছিল,মূলত তারই মাধ্যমে এই ক্যাফের সন্ধান পেয়েছিলাম। অতঃপর আমরা বাজার থেকেই সেখানে যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলি। আমরা যখন ক্যাফে তে গিয়ে পৌঁছাই, তখনো বাহিরে প্রচুর গরম ছিল। তবে ক্যাফেতে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই হালকা শীতল প্রশান্তি কাজ করছিল নিজেদের মাঝে।
ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম ক্যাফের ভিতরটা, কত সুন্দর নান্দনিক ভাবে সাজানো সব কিছু। বেশ ভালই লেগেছিল তাদের ডেকোরেশন। অতঃপর মেনু কার্ড দেখে নিজেদের পছন্দমত কিছু খাবার অর্ডার করেছিলাম। যদিও এ সমস্ত রেস্টুরেন্টে খাবার টেবিলে আসতে বেশ ভালই সময় লাগে, তবে সেই ফাঁকে আমরা শীতল বাতাসে নিজেদের ভিতর গল্প করে সময় কাটাচ্ছিলাম। বাবুও বেশ খুশি ছিল।
অবশেষে যখন আমাদের অর্ডার করা খাবারগুলো টেবিলে আসলো, তখন বাবু কিছুটা আনন্দিত হয়েছিল। ও আসলে নিজের থেকেই সবকিছু টেস্ট করার চেষ্টা করছিল। আমাকে যেন কোন কিছুই ধরতে দিতে চাচ্ছিল না। খাবারের কথা যদি বলতেই হয়, তাহলে মান অনুযায়ী খাবারের দাম ঠিক আছে। তাছাড়া খাবারের স্বাদ ছিল ভালোই।
এমনিতেই বাসায় যে পরিমাণ গরম ছিল, তার থেকে এখানে বেশ ভালই ঠান্ডা পরিবেশ। ইচ্ছে করেই খাবার খেতে খেতে অনেকটা সময় কাটানোর চেষ্টা করলাম। যাইহোক, গত সন্ধ্যায় ঠিক এভাবেই পরিবার নিয়ে সবাই বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম বন্দর ক্যাফেতে। আমাদের কাটানো মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে, একটা ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশাকরি ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বর্তমানে প্রায় প্রতিটি রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফে গুলোর ইন্টেরিয়র ডিজাইন খুব সুন্দর করার চেষ্টা করে। কারণ এতে করে কাস্টমারদের আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। যাইহোক বন্দর ক্যাফের ইন্টেরিয়র ডিজাইনটা খুব ভালো লেগেছে। তাছাড়া খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে বুঝা যাচ্ছে খাবারের মান বেশ ভালো। নিঃসন্দেহে আপনারা বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন সেখানে। তাছাড়া ভিডিওটা দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। শায়ান তো দেখছি অনেক খুশি হয়েছে। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা সত্য সেই সময় বাবু আসলেই বেশ খুশি হয়েছিল কেননা সেখানকার পরিবেশ ও ভীষণ পছন্দ করেছিল।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া পরিকল্পনা থাকলে সেই পরিকল্পনা একসময় বাস্তবায়িত হয়। আর তখন খুবই ভালো লাগে। বন্ধুরা মিলে রেস্টুরেন্ট খুলেছে জেনে ভালো লাগলো। বন্দর ক্যাফেতে পরিবার নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। ভিডিওগ্রাফিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো।
পরিকল্পনাই তো জীবনের মূল বিষয়, তা বাস্তবায়িত হলে একটু আনন্দের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, এই আর কি।
এ গরমে দুপুরে তো কোথাও যাওয়ার যায় না ভাইয়া। আপনারা বিকালে গিয়ে ভালো করেছেন। ক্যাফেটি নতুন যেহেতু আস্তে আস্তে মানুষ জানবে। ভিতরে মেবি মানুষজন কমই ছিল। শায়ান বাবু খুব খুশি হয়েছিল দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে আপনার সহজ সরল জীবনযাপন। কি সুন্দর করে সিম্পলি আপনি আর আপু ছবি তুলে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আপনাকে যতই দেখি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। ভালো থাকবেন সবসময় ভাইয়া।
জীবন জীবনের মতই ভাই, আপনার জায়গায় আপনার জীবনও সুন্দর। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি।
ধন্যবাদ ভাইয়া 🌸
সত্যিই দিনের বেলা বের হওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে।আর বাচ্চাদের নিয়ে তো বের হওয়াই মুশকিল।নতুন ক্যাফে দারুণ সময় পার করেছেন দেখছি খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমে।আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে ক্যাফটি কাঠের আসবাবপত্র দিয়ে সাজিয়েছে সেটা দেখে।ধন্যবাদ ভাইয়া।