বিজয় দিবস | আমার ভাবনা চিন্তা
বিজয়ের ৫৩ তম বছরে এসেও মাঝে মাঝে আমি ভাবি, আমরা কতটুকু স্বাধীন। নাকি এখনো কালো অন্ধকার আমাদের কে ওতপ্রোতভাবে ছায়ার মত করে জড়িয়ে রেখেছে। এই প্রশ্নের আসলে সঠিক তেমন কোন ব্যাখ্যা ও উত্তর আমার কাছে নেই। এই প্রশ্নের উত্তর একেক জনের কাছে, স্থান ভেবে একেক রকম।
তবে আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, মানুষকে যদি পণ্য বানানো না যেত, সাম্যের স্লোগান যদি প্রতিনিয়ত সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়তো, সবাই যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে নিজেদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে সচেতন থাকতো কিংবা সুষ্ঠু-সমবন্টন, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক চিন্তাধারা যদি সকলের মাঝে বিরাজ করত এবং এই ব্যাপারগুলো নিয়ে যদি সকলে সোচ্চার হতো, তাহলে হয়তো বিজয়ের আসল আনন্দটুকু ভালোভাবে উপলব্ধি করা যেত।
এই হতাশাগুলো সেই শুরু থেকেই আছে। এই হতাশা গুলো হয়তো কবে দূর হবে কিংবা বিজয়ের আসল মানে সকলের মাঝে কবে ভালোভাবে গেঁথে যাবে তা বলা মুশকিল। তারপরেও আশায় বুক বাঁধি, সুদিনের আশায় পথ চেয়ে থাকি।
ছোটবেলায় যখন বাবার সঙ্গে বিজয় দিবস উপলক্ষে স্কুল মাঠে যেতাম কিংবা বাবার মুখ থেকে শোনা বা পাঠ্যপুস্তক থেকে বিজয় দিবসের তাৎপর্য জানার চেষ্টা করতাম, তখন শরীরের ভিতরে যেন শীতল রক্ত মুহূর্তেই টগবগে গরম হয়ে যেত। তবে দিন যত গড়িয়ে যাচ্ছে, পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে বারবার মনে হয় এসব অবস্থার জন্য কি, সেই বীরেরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল আর স্বাধীন করেছিল কি এদেশ। এই প্রশ্ন আমাকে প্রচুর ভাবায়।
চাটারদল,সিন্ডিকেট,দুর্নীতিবাজ,কালোবাজারি,ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, ঘুষখোর-সুদখোর, মাদক ব্যবসায়ী, স্বার্থান্বেষী-ধর্ম ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে যারা জড়িত, তারা নিপাত যাক। সুশাসন বিরাজ থাকুক প্রতিনিয়ত, সবকিছু হোক সাধারণ মানুষের জন্য। বিন্দুমাত্র ভেদাভেদ না থাকুক কারো মাঝে, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি এই বিজয়ের মাসে।
যদিও আমার এই ইচ্ছা কতটুকু পূর্ণ হবে, তা নিয়ে আমি বেশ সন্দিহান। কেননা নষ্টের দল যেখানে সক্রিয়, সেখানে হয়তো এমন আশা করা নিতান্তই বোকামি।
তারপরেও সবার মাঝে বিজয়ের আসল চিন্তাধারা উদয় হোক, এই কামনাই করছি।
সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1735945785383268859?t=FPGy3Xjme8GgTnNJc6Sl_Q&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি ভাইয়া হাজারো বীরের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। তবে এখন দেশকে রক্ষা করা আমাদের সবারই দ্বায়িত্ব। যাইহোক ভাইয়া সবার মাঝে যেন কোন ভেদাভেদ না থাকে সেই দোয়াই করি।
সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। বীর শহীদদের প্রতি অতল শ্রদ্ধা, যারা তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। আপনার ভাবনার সাথে একমত পোষণ করছি। আমরা বিজয়ী হয়েছে কন্তু ৫২ বছরেও মুক্তি পাইনি। আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া , চাটারদল,সিন্ডিকেট,দুর্নীতিবাজ,কালোবাজারি,ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, ঘুষখোর-সুদখোর, মাদক ব্যবসায়ী, স্বার্থান্বেষী-ধর্ম ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে যারা জড়িত, তারা নিপাত যাক।মানুষ বিজয়ের স্বাদ পাক। মূল্যবান লেখাটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
পরিবর্তন আবশ্যক এই কথাটা আসলেই বর্তমান সময়ে খুবই জরুরি।
আসলেই ভাইয়া আগে বিজয় দিবস মানেই আলাদা একটা অনুভূতি কাজ করতো, আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করতো। দিন দিন যেন সব ঘুলাটে হয়ে যাচ্ছে! বিজয়ের ৫৩ বছরে এসেও কি আমরা স্বাধীন হতে পেরেছি! প্রশ্ন থেকে যায় মনে!
এটাও আপনার মতো আমারও চাওয়া! হয়তো অন্তিম লগ্নে সূর্যিকরণ হবে, বিজয়ের বাশিঁ নিশ্চয় বাজবে একদিন 🌼
এমন আশায় আমিও বুক বেঁধে আছি ভাই।
বর্তমান সময়ে কিছু কিছু মানুষকে দেখলে মনে হয় যে শুধুমাত্র এই স্বাধীনতা তাদের জন্য এসেছে। আর বাকি মানুষদের জন্য কোন স্বাধীনতাই নেই। স্বাধীন দেশ হলেও আমরা কতটুকুই বা স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারছি। আসলে এর থেকে মুক্তির উপায় কি তা আসলে কারোরই জানা নেই। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার লেখাটি পড়ে।
কিছু সংখ্যক মানুষই তো, পুরো দেশটাকে চালাচ্ছে আপু। কিছুই বলার নেই।
শুভ ভাই অনেকদিন পর আপনার পোস্ট পরলাম। কেমন আছেন আপনি?
পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে মাঝেমধ্যে মনে হয়, আমরা এখনো স্বাধীন না,বরং পরাধীন ভাবে বেঁচে রয়েছি। কিছু খারাপ সংখ্যক মানুষ, সাধারণ মানুষদেরকে জিম্মি করে রেখেছে। আমাদের সবার উচিত অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। তাহলে হয়তোবা সমাজটা একদিন পাল্টে যাবে। যারা শহীদ হয়েছে তাদের জন্য বেশি বেশি দোয়া করা উচিত আমাদের। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
জিম্মি দশা কেটে যাক, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি নিজের জায়গা থেকে ভাই।