দৃষ্টিভঙ্গি
প্রতিটা মানুষের স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে, যার ভিতরে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যটা হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গি। এটা আসলে কোনো না কোনোভাবে হঠাৎই প্রকাশ হয়ে যায় প্রতিটা মানুষের কাছ থেকে।
মানুষকে খুব দ্রুত কিছুটা হলেও চিনতে পারা যায় তার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন সেটার উপর নির্ভর করে।যার দৃষ্টিভঙ্গি যেমন, সে তেমন ভাবেই বাকি সবাইকে দেখার চেষ্টা করে।
যেহেতু এটা স্বভাব বা অভ্যাসগত সমস্যা তাই এটা খুবই দ্রুত কেউ পরিহার করতে পারেনা। আমি অবশ্য এটা কে খারাপও বলছি না,তবে দৃষ্টিভঙ্গিটা পজিটিভ হলেই সবকিছুই ঠিকঠাক। সবার যে দৃষ্টিভঙ্গি আবার একই রকম সেটা কিন্তু বলছি না, তবে অন্যের দৃষ্টিভঙ্গিকে হুটহাট গ্রহণ না করার মানসিকতা অনেকের মাঝে বিরাজমান।
ব্যাপারটা এমন, সে যা করছে, করবে কিংবা যে চিন্তাভাবনা তে মশগুল সেটাতেই সবাই প্রাধান্য দিক কিংবা সেটাকেই সবাই সাধুবাদ জানাক, সেটাই সে প্রতিনিয়ত মনে মনে চায়। তবে ব্যাপারটা তখনই হিতে বিপরীত হয়,যখন কেউ একটু আলাদাভাবে আরো গঠনমূলক ভাবার চেষ্টা করে ঠিক তখনই।
আমরা যতই সবাই পজেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে থাকি না কেন, নিজের চিন্তাভাবনার বাহিরে কোন কিছু হলেই, সেটাকে দ্রুত গ্রহণ করতে আমাদের কিছুটা অসুবিধা হয়ে যায়। যেগুলো নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি সেগুলো তো আর কোন ভাবেই গ্রহণ যোগ্য না, তবে আবার বেশি পজেটিভ হয়ে গেলে সবাই তখন সেখানে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করে।
আমাদের আসলে মানতে কিছুটা অস্বস্তিবোধ হয় যে, কেউ আমাদের চিন্তা ভাবনার বাহিরে গিয়েও আরও ভিন্ন কিছু ভাবতে পারে। ধরুন আপনার সন্ধ্যে নামার পূর্বের আকাশটা ভীষণ ভালো লাগে, আমারও যে সেটাই ভালো লাগতে হবে, তার তো কোন মানে নেই। তাই বলে আমি আপনার ভালোলাগা কে অসম্মান করছি না। তবে আমার বেশি ভালো লাগে, নীল আকাশের বুকে সাদা মেঘের যে ভেলা ভেসে যায় সেই দৃশ্য দেখতে।
ঐ যে বললাম কিছু বিষয় নিতান্তই স্বতন্ত্র, এমন হাজারো স্বতন্ত্র বিষয় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে আমাদের সকলের মাঝে। প্রত্যেকের নিজস্ব একটা ভালোলাগার ব্যাপার থাকে, সেটা হয়তো আপনার সঙ্গে নাও মিলতে পারে, তার মানে এই না যে, আপনি শুধুমাত্র একাই সঠিক বাকি সবাই ভুল।
তর্ক করার কিছু নেই বরং অন্যের ভালোলাগা কে গুরুত্ব দেওয়াও তো পজিটিভ ব্যক্তিত্বের ভিতরে পড়ে।
দেখুন, যেগুলো নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি সেগুলো শুরু থেকেই পরিত্যাজ্য। তবে পজিটিভির ভিতরেও যখন চুলচেরা বিশ্লেষণ চলে, তখন আসলে অন্যকে অহেতুক মন্তব্য না করে বরং সবার পজিটিভ চিন্তাভাবনাকে সাধুবাদ জানানোই উত্তম। এতে আর যাইহোক, কারো অভিমানের পাল্লা ভারী হবে না বরং সবাই আরো পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নিজের ভিতরে লালিত করার চেষ্টা করবে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1752639087071445215?t=jagjNTxW-ROtmMblBYBG1A&s=19
সত্যি ভাইয়া অনেক সময় আমাদের মতামত নাও মিলতে পারে। তাই বলে যে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভুল এটা ঠিক নয়। আমাদের এক একজনের দৃষ্টিভঙ্গি এক এক রকমের। তবে সব সময় পজেটিভ দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমেই এগিয়ে যাওয়া উচিত। আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
কিছু কিছু মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আসলেই অদ্ভুত টাইপের। কারণ তারা অন্যের পছন্দকে সম্মান জানাতে একেবারেই নারাজ। উদাহরণস্বরূপ একজন মানুষ একটি পোশাক পছন্দ করে কিনলো এবং সেটা পরিধান করে বের হলো। তখন কিছু কিছু মানুষ অযথাই সেই মানুষটিকে বলবে এটা কেমন পোশাক, দেখতে একটুও সুন্দর না,তোর পছন্দ একেবারেই বাজে ইত্যাদি। তখন কিন্তু সেই মানুষটি অনেক সময় ভীষণ কষ্ট পেতে পারে। কিন্তু সহজ একটা বিষয় তারা বুঝে না,সবার পছন্দ একরকম না। যে কিনেছে তার পছন্দ হলেই তো হয়। কারণ সে তো অন্যের টাকা দিয়ে কিনেনি পোশাকটি। আবার একজন বিক্রেতা কোনো জিনিস যদি একেবারে সস্তা দামে বিক্রি করতে চায়,তখন আমরা সেটা নিয়ে গভীর চিন্তা ভাবনা করে থাকি। কারণ আমাদের কাছে মনে হয়, এর পিছনে নিশ্চয়ই বড় কোনো কারণ রয়েছে। মোটকথা বেশি পজিটিভ কিছু হজম হয় না আমাদের। আসলেই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা উচিত। যাইহোক এতো চমৎকার টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
দিনশেষে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা বড্ড জরুরি, নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভাই।
একদম ঠিক বলছেন যার দৃষ্টিভঙ্গই যেমন সেই অন্যকে সেভাবে দেখবে। তবে অতিরিক্ত পজিটিভ কিংবা অতিরিক্ত নেগেটিভ কোনটা ও কারো জন্য সুখকর নয়। তবে কিছু মানুষ আছেন যাদের সব সময় দৃষ্টিভঙ্গি নেগেটিভ থাকে। যে বিষয়টি ওই ব্যক্তির ক্ষেত্রে খুব বেশি একটা খারাপ প্রভাব পড়ে। এমন স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মানুষের অভাব হয় না। আমাদের সমাজে কিংবা আমাদের দৈনন্দিন চলাফেরার ক্ষেত্রে আশেপাশের মানুষের মধ্যে খুব বেশি লক্ষ্য করা যায়।
পজিটিভিটি ছড়িয়ে যাক সর্বত্র, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি নিজের জায়গা থেকে আপু।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, অন্য কারো ভালো লাগার মতো আমারও যে ভালো লাগা এক হতে হবে ব্যাপারটা এমন নয়। তবে অন্যের ভালোলাগাকেও সম্মান জানানোই শ্রেয়। তবে আমাদের সবকিছু পজিটিভলি চিন্তা করাই উচিত! পজিটিভলি চিন্তা করতে পারলে বাকি সব সুন্দর
পজিটিভ ভাবে চিন্তা করা যেমন উচিত, পজিটিভ ভাবে সবকিছু গ্রহণ করাও তেমন উত্তম।