পড়ন্ত বেলায় ভ্যান গাড়িতে ভ্রমণ
যেহেতু গ্রামে আরও কয়েকটা দিন আছি,তাই একটু চেষ্টা করছি নিজের মত করে সময় কাটানোর জন্য। বলতে গেলে, প্রকৃতির খুব কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করছি, কেননা শহরে গেলেই তো আবারও সেই বন্দী জীবন।
বৈশাখ মাস চলছে, সূর্যের প্রখরতা যেন প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে পরিমাণ তাপমাত্রা বেড়েছে, তাতে জনজীবন একদম অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে তেমন বেশি যাওয়া হয়েই উঠছে না, যেহেতু গ্রামে আছি তাই এখানে এসেও চেষ্টা করছি কিছুটা শীতলতা খোঁজার জন্য।
গ্রামের চেহারা গুলোও আগের থেকে অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে, অনেকাংশেই গাছপালা কমে গিয়েছে হয়তো তা অতিরিক্ত জনবসতির কারণে। এখন তো বোঝাই যায় না, কোনটা গ্রাম আর কোনটা শহর। সবই যেন কিছুটা একই রকম লাগে।
যেহেতু বাড়িতে প্রচুর গরম লাগছিল, তাই চেষ্টা করেছিলাম, ফারুক কাকুকে ডেকে নিয়ে তার ভ্যান গাড়িতে চড়ে ঘন্টা দুয়েক উন্মুক্ত পরিবেশে ঘুরে বেড়ানোর জন্য। অতঃপর যেমন পরিকল্পনা তেমন কাজ। হীরা কে বলা মাত্রই, সে এক নিমিষেই রাজি হয়ে গিয়েছিল।
ফারুক কাকু আমার পূর্ব পরিচিত, তার সঙ্গে বহু আগেই আমার আত্মিক সখ্যতা তৈরি হয়েছে, গ্রামে আসলেই তার সঙ্গে দেখা হয় কিংবা তার ভ্যান গাড়িতে চড়ে, এদিক সেদিক ছোটাছুটি করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি, কাকুকে বলা মাত্রই সেও রাজি হয়ে গিয়েছিল।
অতঃপর সকলে মিলে ভ্যান গাড়িতে চড়ে নব্য নির্মিত পাকা রাস্তার দুপাশের সবুজ ফসলের জমির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বহুদূর গিয়েছিলাম। যতই এগিয়ে যাচ্ছিলাম, ততই যেন অকৃত্রিম সৌন্দর্য আমাদেরকে বিমোহিত করেছিল।
পথিমধ্যে অবশ্য জমিতে দেওয়া ঠান্ডা জলে তৃষ্ণা নিবারণ করেছিলাম। আবারও ছুটে চলা এবার গন্তব্য আমার বাল্য বন্ধুর সঙ্গে দেখা করা। বহুদিন বাদে লিমনের সঙ্গে দেখা হয়ে বেশ ভালই লাগছিল, ওর গাওয়া গান সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে ইউটিউব কিংবা ফেসবুকে শোনা হয়, তবে বাস্তবে সাক্ষাৎ হয় কালেভদ্রে। এবারও হয়তো সুযোগ হয়েছিল, তাই দেখা হয়েই গেল।
বলতে গেলে অনেকটা দূরেই চলে এসেছিলাম, তবে এবার ফিরতে হবে। কেননা আর অল্প সময় পরেই চতুর্দিকে ঘন অন্ধকারে ঢেকে যাবে। এই যে পড়ন্ত বেলায় প্রচুর গরমে অতিষ্ঠ হয়েছিল জীবন, তারপর যখন মুহূর্তেই ভ্যান গাড়িতে চড়ে দীর্ঘ পথ ঘোরাঘুরি করলাম, তখন যেন হালকা প্রশান্তি খুঁজে পেয়েছিলাম নিজের মাঝে। বড্ড সতেজ বোধ করছিলাম। আমাদের স্বল্প সময়ের ভ্রমণের কিছু ছবি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম, আশা করি ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গ্রাম হলো আমাদের সবার শিকড়। আর সেই গ্রামের এমন রাস্তায় যদি পড়ন্ত বিকেলে একটু ঘুরে বেড়ানো যায় তাহলে তো মনটা যেন প্রানবন্ত হয়ে যায়। সত্যি বলতে কি ভাইয়া পড়ন্ত বিকেলে এমন করে গ্রামের পাকা রাস্তায় ভ্যানে চড়া, প্রকৃৃতিকে উপভোগ করা এবং নিজের কাছের মানুষ গুলো কে কাছে পাওয়া সবই যেন ভাগ্যের বিষয়। ভালো থাকেন আর ভালো কাটুক আপনার সুন্দর সময়।
ধন্যবাদ আপু আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য, আপনিও ভালো থাকবেন।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে ভাইয়া পড়ন্ত বিকেলে ঘোরাঘুরি করার মজা আলাদা তবে আপনি দেখছি ভ্যান গাড়িতে খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আপনার উপভোগ মুহূর্তের সময় আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া পড়ন্ত বিকেলে এইভাবে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এটা সত্য যে, সময়টা আমার বেশ ভালই কেটেছিল।
ওয়াও ভাই এভাবে ভ্যানে করে গ্রামে বেড়ানোর মজাই আলাদা। এটা সত্যি ভাই গ্রামে আছেন কয়েকদিন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে আসেন শহরে আসলে জীবনটা আবার বন্দি হয়ে যাবে চার দেওয়ালে। জমিতে শেষ দেওয়া ঠান্ডা জল খেয়ে তৃষ্ণা নিবারণ করার মুহূর্ত সত্যিই অনেক সুন্দর ছিলো। গ্রামীণ প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে আমিও ভীষণ পছন্দ করি। অনেকদিন গ্রামে থাকার পরে আজকে ঢাকাতে এসে বেশ বন্দি বন্দি মনে হচ্ছে আমার। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
কি আর করবে বলো, জীবন তো এটাই। তোমার বন্দি জীবনের অবসান ঘটুক, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
গরম যেন প্রতিনিয়ত বাড়ছেই। তাছাড়া ফ্যানের বাতাসেও কাজ হচ্ছে না। আসলে গ্রামের চেহারাও অনেক পাল্টে গিয়েছে। গাছপালাও কমেছে। তবে গ্রামের সবুজ প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে পারলে ভালোই লাগে। ফারুক কাকুর ভ্যানে করে সবাই মিলের গ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। মনে হয় এক দশক হয়ে গেল ভ্যানে চড়া হয় না। ভ্যানে চড়ে গ্রামের দৃশ্য উপভোগ করার মজাই আলাদা। 🌸
সময় সুযোগ পেলে ভ্যানে চড়ে ঘুরে বেড়িয়েন ভাই, ভালো লাগবে।
জনসংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে করে গ্রাম আর গ্রাম নেই এখন। চারিদিকে শুধু ঘনবসতি। সামনে হয়তোবা গ্রামের দিকেও গাছপালা ততোটা দেখা যাবে না। যাইহোক বিকেল বেলা ভ্যানে চড়ে এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে যে কারোরই ভালো লাগবে। তাছাড়া ফুরফুরে বাতাস শরীরটাকে একেবারে শীতল করে দিবে। লিমন ভাইকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে উনি যে গান করেন। উনার সাথে দেখা করে এবং ভ্যান গাড়ি ভ্রমণ করে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ভাই। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আগামীতে গ্রামের দিকেও গাছপালার সংকট হয়ে যাবে। এমনটাই তো বোঝা যাচ্ছে ভাই।
দাদা, আমিও যখন গ্রামে যাই তখন ভ্যানে করে ঘোরার চেষ্টা করি। তবে এটা ঠিক কথা যে, এখন শহর আর গ্রাম প্রায় একই রকম হয়ে গেছে। গ্রামের সেই গাছপালা বা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক জায়গায় নেই বললেই চলে। যাইহোক, আপনাদের এভাবে একসাথে ঘুরাঘুরি করা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগছে দাদা।