ফুঁপিয়ে কান্না
সাদা খাতায় যখন কলম ধরেছি
বিষণ্ণতা যেন দুমড়ে-মুচড়ে গ্রাস করেছে,
অশ্রুসিক্ত নয়ন যে ভাষা বলতে চায়
তা কি আর সাদা খাতায় প্রকাশ করা যায়...!!
চাইলেই আত্মচিৎকারে হালকা হওয়া যায়,
তবে উপায় কই, কন্ঠনালী যে আড়ষ্ট...
তাই ফুঁপিয়ে কেঁদে চক্ষু রক্তবর্ণ করে
নিজেকে বুঝাই, আজ আমার মন ভালো নেই...!!
এ যান্ত্রিক শহরের আবাসিক এলাকার ভবন গুলো বড্ড চাপাচাপি করে যেন উপরের দিকে উঠে গিয়েছে, এত পরিমাণ ঘেঁষাঘেঁষি যে জানালা দিয়ে কিংবা ব্যালকুনিতে দাঁড়িয়ে উঁকি দিলেই আশেপাশের ভবন গুলোর অবস্থা কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যায়।
হাজারো ব্যথায় জর্জরিত মানুষ গুলোর এ শহরে খোঁজখবর নেওয়ার আদৌ কেউ আছে কিনা তা আমার জানা নেই। কে রাখে কার খোঁজ, যান্ত্রিকতা যেখানে মুখ্য বিষয়, সেখানে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার সময় কই !
তাই হয়তো মাঝরাতে কিংবা ভোরবেলায় ফুঁপিয়ে কান্নার প্রায়ই আওয়াজ আসে। কতশত ব্যথায় কাতর মানুষগুলোকে সান্ত্বনার স্পর্শে হাত বুলিয়ে দিতে ইচ্ছে করে। মন চায় ফিসফিসিয়ে বলি, জীবনটা নিতান্তই নিজের, বেঁচে থাকুন নিজের মতো করে।
কেউ নিজের থেকে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে নেয় নতুবা কেউ হাল ছেড়ে দেয়। বিষিয়ে ফেলে জীবনটাকে, নরকের কাছে সঁপে দেয় নিজেকে, মানিয়ে নেওয়ার ভান ধরে জ্বলন্ত শিখায় নিজেকে পুড়িয়ে ফেলে। এ ব্যথা কাউকে দেখানো যায় না, তবে সইতে হয় নিজেকে। কি অদ্ভুত, তাই না..!!
এই যান্ত্রিক শহরের মাঝরাত গুলো বড্ড মায়াবী, কেউ হয়তো ঘুমে মগ্ন নতুবা কেউ দু চোখের জলে নিজেকে সামলিয়ে নিতে বড্ড সংযত। উড়ে যাক বিষ বাষ্প, রক্তবর্ণ চোখ গুলো ভালোবাসায় পুনরায় সঞ্জীবিত হোক, দৃঢ় বিশ্বাসে সংকল্প করুক বেঁচে থাকার, এমনটা চাওয়া দিয়েই সাদা খাতা ভরিয়ে ফেলতে চাই।
ভালো থাকুক, ভালোবাসার মানুষগুলো নিজ নিজ অবস্থানে ।।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কথা গুলো যেন মনে যেয়ে বিঁধলো। সত্যি বলতে আমি আবার এমন কঠিন কথা বুঝি না। তবে আপনার পোস্টের লেখা গুলো আমায় বেশ ছুঁয়ে দিয়েছে ভাইয়া। দারুন ছিল ভাইয়া সাহিত্যের ভাষায় লেখা আজকের কথা গুলো।
এই কংক্রিটের শহরের প্রত্যেকটা ভবনেই যেন একেকটা গল্প লুকিয়ে আছে। কেউ প্রকাশ করে, কেউবা লুকিয়ে রাখে।
আসলেই ভাই যান্ত্রিক শহরে সবাই সবার মতো ব্যস্ত। কারো খোঁজ খবর নেওয়ার সময় কারো কাছেই নেই। তাইতো শত কষ্ট বুকের মধ্যে চাপা থেকে যায়। কিন্তু কষ্টের পরিমাণ যখন অতিরিক্ত বেশি হয়ে যায়, তখন গভীর রাতে নীরবে ফুঁপিয়ে কান্না করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। একমাত্র মাথার নিচে থাকা বালিশ ছাড়া আর কেউ জানে না সেই কান্নার খবর। যাইহোক দারুণ লিখেছেন ভাই। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি, আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য ধন্যবাদ।