উপলব্ধি
জীবনে চলার ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত ভারসাম্য বজায় রেখে চলা ভীষণ জরুরি। কেননা যদি এটার ব্যত্যয় ঘটে তাহলেই দেখা যায়, সাজানো গোছানো জীবনটা মুহূর্তেই বিষিয়ে উঠে।
হোক সেটা পারিবারিক অবস্থাতে নতুবা কর্মক্ষেত্রে কিংবা সামাজিক প্রেক্ষাপটে। তবে এটা সত্য, হয়তো অনেকের চিন্তা চেতনার সঙ্গে নিজের চিন্তা চেতনা অনেক সময় সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় না কিংবা অনেক রকম বিরক্তিকর অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়, তবে তারপরেও ভারসাম্য বজায় রেখে যে কোন পরিস্থিতি সামলিয়ে নেওয়াটাই হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ।
জীবন চলার ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত বহু মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন কারণে মিশতে হয়। হয়তো দেখা যায়, কখনো সেই সখ্যতা ভালো একটা সম্পর্কের ভিত্তি গড়িয়ে দেয়, তবে কখনো আবার মতের মিলের অভাবে সম্পর্কটা তিক্ততায় ভরে ওঠে। আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয়, কিছু সম্পর্ক তিক্ততায় ভরে ওঠার আগেই, যেভাবেই হোক না কেন সেখান থেকে ঝামেলাহীন ভাবে বেরিয়ে আসা উচিত।
হিংসা-বিদ্বেষ, কটু কথা, তর্ক-বিতর্ক সর্বক্ষেত্রেই বিরাজমান। তবে এসবকে পাশ কাটিয়ে কিভাবে সাবলীলভাবে নিজেকে সকলের মাঝে উপস্থাপন করা যায় সেটা ভাবাই কিন্তু শ্রেয়। তাছাড়াও যদি সঠিকভাবে কর্মে লিপ্ত থাকা যায়, তখনও কিন্তু এসব নিজের নামের সঙ্গে টুকটাক জড়িয়ে যায়। বরং সেদিকে কর্ণপাত না করে, নিজের কর্মে মনোযোগী হওয়া উচিৎ।
পারিপার্শ্বিক অবস্থাতে এমন অনেককেই চিনি বা জানি, যারা মোটামুটি সামাজিক প্রেক্ষাপটে নিজের অবস্থান বেশ শক্ত ও পরিপক্ক করে তুলেছে। যখন তাদের নিয়ে একটু ভাবার চেষ্টা করি, তখন প্রথমত যে বিষয়টা আমি খুঁজে পাই, সেটা হচ্ছে ভারসাম্য। মূলত তারা জীবনে ভারসাম্য বজায় ঠিক মতো রাখতে পেরেছে বিধায় আজকে তারা এই অবস্থানে এসেছে।
আবার অনেককেই দেখি,শুধুমাত্র জীবনে ভারসাম্য ঠিকঠাক মতো রাখতে পারেনি বিধায়, আজ বর্তমান জীবনে তারা সর্বক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে। এটা সত্য যে, আপনার চিন্তা চেতনা যেমন আলাদা, তেমনটা যে সবার একই রকম হবে এমনটা ভাবা বোকামি। তবে অন্যের কার্যক্রমে অহেতুক হিংসাত্মক প্রবণ মানসিকতা না দেখিয়ে বরং নিজের কর্মের উন্নয়ন ঘটানোর চিন্তাভাবনা খুঁজে বের করাই যৌক্তিক ব্যাপার ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক বলেছেন ভাইয়া অন্যের শুধু কাজ কেন কোন দিকে না তাকিয়ে নিজের কাজে মনযোগ দেওয়াই উচিত। আসলে ভাইয়া কিছু মানুষকে যতই বুঝানো হোক না কেন তারা তাদেরটাই বুঝবে।আর এসব মানুষের কাছ থেকে কেটে পরা বুদ্ধিমানের কাজ। সবচেয়ে বড় কথা নিজের জীবনের ভারসাম্য নিজেরি রক্ষা করা উচিত। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।
জীবনে যে যত ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে পারে, সে ততই ভালো থাকতে পারে।
আমার মনে হয় সর্বক্ষেত্রেই ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। বিয়ের পরে যেমন বউয়ের সাথে যেমন সম্পর্ক রাখা জরুরি ঠিক তেমনি মা বাবার সাথেও রাখা জরুরি। আর কর্মক্ষেত্রেও ভীষণ জরুরি। তবে অন্যরে কাজকে হিংসাত্মকভাবে না দেখে বরং পজিটিভলি দেখা উচিত। তাদেরকে উৎসাহ দেয়া উচিত এবং নিজের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করাও যেতে পারে 🌼
একদম যথার্থ বলেছেন ভাই, আপনার মন্তব্যটা বেশ ভালো লাগলো।
শুভ দা কথা গুলো যে বলেছেন তার সাথে পুরো একমত পোষন করছি ৷ আসলেই তাই আমাদের জীবনের চলার পথে নিজেকে ভারসাম্য রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ সেটা হোক যে কোনো বিষয়ে ৷
আর এসব কে মেনে নিয়েই জীবন অতিবাহিত করতে পারাটাই বুদ্ধিমানের কাজ ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা বেশ চমৎকার একটি টপিক তুলে ধরেছেন ৷
একেবারে যথার্থ বলেছেন ভাই, জীবনে ভারসাম্য বা ব্যালেন্স ঠিক রেখে চলতে হয়। আসলে আমাদের জীবনে আমরা বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে চলাফেরা করি। তাদের মধ্যে একেক জনের চিন্তা ভাবনা এবং কথাবার্তা একেক রকম। সাধারণত আমাদের মনের সাথে যাদের মন মিলে, তাদের সাথেই আমরা দীর্ঘ দিন মিশতে পারি। যাইহোক অন্যের সফলতা বা উন্নতি দেখে হিংসা করা মোটেই উচিত নয়। সবসময় নিজের জীবনের উন্নতির দিকে খেয়াল রাখা উচিত আমাদের। যাইহোক দারুণ লিখেছেন ভাই। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।