আবারও শহুরে জীবনের ব্যস্ততা শুরু

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago

যেহেতু দীর্ঘদিন গ্রামে ছিলাম, তাই বলতে গেলে শহরের বাসা একদম ভীষণ অগোছালো হয়েছিল। গতকালই ফিরেছি, ফেরার পর থেকে মূলত কাজ লেগেই আছে । এমনিতেই আমাদের ছোট্ট সংসার, তাই সবকিছু গুছিয়ে নিতে খুব একটা সময় লাগেনি।

1000030299.jpg

1000030291.jpg

1000030292.jpg

1000030293.jpg

1000030294.jpg

1000030295.jpg

1000030296.jpg

1000030297.jpg

1000030298.jpg

1000030300.jpg

1000030304.jpg

1000030305.jpg

1000030269.jpg

1000030306.jpg

1000030303.jpg

1000030301.jpg

ভিডিও লিংক

তবে বৃষ্টির কারণে সেদিনটায় আর বাহিরে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। ক্লান্ত শরীর নিয়ে সন্ধ্যাতেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। পরের দিন আকাশের অবস্থা আবারও পূর্বের মতই অর্থাৎ শুধু বৃষ্টি আর বৃষ্টি। কদিন আগেই অসুস্থতায় ভুগেছিলাম, তাই সেই কথা ভেবে ইচ্ছে করেই বাহিরে যাইনি দিনের বেলায়। অপেক্ষা করছিলাম, আকাশ পরিস্কার হলেই বাজারে যাবো।

এখনকার বৃষ্টি আসার সঠিক কোন পূর্ব নির্ধারিত সময় নেই, যখন ঝরছে তখন শুধু ঝরেই যাচ্ছে। দেখুন না, সারাদিন বৃষ্টির কারণে বাহিরে যাইনি। যেই বৃষ্টি কমেছিল, আকাশ পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল, তখনই কিন্তু বাজারে গিয়েছিলাম। তবে বাজারে গিয়ে আবার বৃষ্টির কারণে অনেকটা সময়ের জন্য আটকে গিয়েছিলাম।

সারা মাসের জন্য বাজার করতে হবে আজ আমাকে, মোটামুটি পকেটের উপর দিয়ে ভালই চাপ যাবে। এমনটা অবশ্য প্রতি মাসের শুরুতেই হয়, কিছুই করার থাকে না। প্রথমেই মাছ বাজারে ঢুকেছিলাম, দেখে শুনে গিন্নীর পছন্দ অনুযায়ী মাছ কিনে ফেললাম। তারপর চলে গেলাম সবজির বাজারে, সেখানেও একই অবস্থা। প্রাধান্য কিন্তু বরাবরই গিন্নীর। আমি আর বাবু শুধু রিকশায় বসে থাকি, ও ওর পছন্দমত যা কেনার তাই কেনে।

হাজারো হোক রান্নাঘরটা কে ওকেই সামলাতে হয়, তাই চুপচাপ থাকা এক্ষেত্রে আমার জন্য মুখ্য বিষয়। তাছাড়া ও নিজের মতো করে কেনাকাটা করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, এজন্য আমি খুব একটা ওর কাজের ভিতরে ব্যাঘাত ঘটাই না। সবজির বাজার থেকে বের হয়ে, অবশেষে চলে গিয়েছিলাম মসলার বাজারে। মসলা কেনা শেষে, তারপর সেখান থেকে আবারো কসমেটিকের দোকানে, কেননা বাবুর ডায়াপার কিনতে হবে।

আমি দেখছিলাম গরম পকেট আমার, মুহূর্তেই নিস্তেজ হতে শুরু করল। বলতে গেলে একদম, প্রাণহীন অবস্থা। অবশেষে শুধুমাত্র বাবুর খাবার কেনার পয়সাটা টিকেছিল। যাইহোক বাবুর জন্য খাবার কিনে নিয়ে, অতঃপর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিলাম।

বাজার করার অভিজ্ঞতা বরাবরই আমার কাছে তিক্ত লাগে। কেননা এ বাজারে মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্তের বেঁচে থাকা বড্ড কঠিন। সবকিছুর দাম প্রতিনিয়তই বাড়ছে, সামনের দিনগুলোতে যে আরো কি হবে, তা নিয়েই চিন্তা করছি। আপাতত আর কিছুদিন বাহিরে বের হচ্ছি না, এটাই মূল কথা।

আমাদের কাটানো মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে একটা ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করেছি, আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের।

ধন্যবাদ সবাইকে।

1000020537.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 6 days ago 

বর্তমান বাজারে মধ্যবিত্ত মানুষ কিংবা নিম্ন আয়ের মানুষরা টিকে থাকার লড়াই করছে ভাইয়া। সবকিছুর দাম অনেক বেড়ে গেছে। মাছ থেকে শুরু করে সবজি সবকিছুই লাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ভাইয়া আপনি নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনেছেন দেখে ভালো লাগলো। ভিডিওগ্রাফি দেখেও অনেক ভালো লাগলো। হৃদয় ভাইয়ার বার্থডে ছিল জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।

 6 days ago 

হ্যাঁ, হৃদয়কে নিয়ে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছিলাম সন্ধ্যাবেলাতে। দীর্ঘদিন পরে দেখা হয়েছিল তো, তাছাড়া ওর জন্মদিন ছিল।

 6 days ago 

ভাইয়া বেচে গিছেন ছোট সংসার গোছ গাছ করতে তেমন একটা সময় লাগে না।আমি তো ছোট সংসার ও অগছালো রাখি হাহাহা।

বাজার যে হারে গরম ভাইয়া পকেট এর উপর আগের থেকে চাপ একটু বেশিই পরছে বোঝা যাচ্ছে।

 6 days ago 

শুধুই চাপ নয়, অনেক চাপে আছে পকেট। একদম করুণ দশা।

 6 days ago 

আসলেই ভাই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে, মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্ত মানুষদেরকে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজারে গেলে টাকা কিভাবে খরচ হয়,সেটা টেরই পাওয়া যায় না। মাঝেমধ্যে মনে হয় টাকা চিবিয়ে খেলেও পেট ভরে যাবে। যাইহোক শহরে এসেই তো ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন দেখছি। অনেক কিছুই কেনাকাটা করেছেন। মাছের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 days ago 

মাঝেমধ্যে মনে হয় টাকা চিবিয়ে খেলেও পেট ভরে যাবে।

সহমত পোষণ করছি ভাই।

 6 days ago 

অনেকদিন বাসার বাইরে থাকলে যেদিন ফিরে আসা হয় সেদিন তো একেবারে নিজেদের উপর দিয়ে ঝড় যায় । ছোট সংসার হোক আর যাই হোক কাজকাম তো সামলাতে হয় । আর ইদানিং যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে গিয়েছে । এই বৃষ্টির দিনে মাছ বাজারে যাওয়া তো আরো মুশকিল । এটা ঠিক বলেছেন গিন্নি যেহেতু রান্না করবে সেহেতু তার পছন্দমতই বাজার করাই ভালো । আপনি শুধু বডিগার্ড হিসেবে পাশে থাকলেন আরকি । মাসের শুরুতে গরম পকেট নিয়ে বাজারে গিয়ে লাভ নেই এমনিতেই নিস্তেজ হয়ে যায় ।ভালই লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে ।

 6 days ago 

এটা একদম ঠিক বলেছেন আপু, এক্ষেত্রে আমার ভূমিকা সত্যিই বডিগার্ডের মতো ছিল।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57839.82
ETH 3132.70
USDT 1.00
SBD 2.43