দীর্ঘদিন পরে ইমুর বাসায়

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

সম্ভবত কয়েক মাস আগে ইমুর বাসায় গিয়েছিলাম। যেহেতু ও আমার মামাতো ভাই, তাই ওর সঙ্গে আমার সখ্যতা বেশ ভালই। তাছাড়া শুধু ও নয়, বলতে গেলে ওর পুরো পরিবারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেকটাই আত্মিক। হয়তো তা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র ইমুর মায়ের উদার মানসিকতার জন্য।

20231202_164439.jpg

20231202_170512.jpg

20231202_153347.jpg

20231202_152958.jpg

20231202_152946.jpg

20231202_152906.jpg

20231202_152836.jpg

20231202_152742.jpg

20231202_152737.jpg

20231202_152729.jpg

20231202_152720.jpg

20231202_170606.jpg

20231202_170600.jpg

20231202_170554.jpg

20231202_164439.jpg

বলতে গেলে আমার যতগুলো মামা-মামী আছে, তার মধ্যে ইমুর বাবা ও মায়ের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠতা খুবই ভালো। ইমু নিজেও এখানে কাজ করে, তবে ওর এখন ভীষণ পড়াশোনার ব্যস্ততা যাচ্ছে যার কারনে আপাতত ছুটিতে আছে।

যেহেতু ও এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে এবং ফলাফল করেছে বেশ ভালো মানে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। তাছাড়া ওর টার্গেট মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার, এজন্যই প্রচুর পড়াশোনা করছে এই সময়ে ও। মেডিকেলে পড়তে গেলে তো পড়াশোনার কোন বিকল্প নেই, এখন থেকেই ভর্তি কোচিং করছে আর দিনরাত পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত।

এত কিছুর মাঝেও দুটো দিনের জন্য ও বাসায় বেড়াতে এসেছে, মূলত শীতের কাপড়-চোপড় নেওয়ার জন্য। যেহেতু আমার গিন্নির সঙ্গে ওর সম্পর্ক খুবই ভালো, তাই গত সন্ধ্যায় ও আমাদের বাসায় এসেছিল এবং এসে ওর পরীক্ষার রেজাল্টের কথা শুনিয়েছে এবং আমাদের কে দাওয়াত দিয়েছে ওদের বাসায় পরদিন দুপুরবেলা। মূলত রেজাল্ট উপলক্ষে খাওয়া-দাওয়া করাবে।

খাওয়া-দাওয়ার কথা শুনলে, বরাবরই আমি উৎফুল্ল হয়ে যাই। তাছাড়াও যেহেতু মামীর বাসায় দাওয়াত, তাই ব্যাপারটা ভাবতেই যেন একটু আনন্দের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। আমার মেজো মামীর রান্না এক কথায় অসাধারণ। আমি শুধুমাত্র তার ভাগ্নে হিসেবে একথা বলছি না, মোটামুটি সব আত্মীয়-স্বজনরাই একই কথা বলে।

বিশেষ করে মাংসের আইটেমগুলো অস্থির রান্না করে। গতকাল ঘুম থেকে উঠতেই অনেকটা দেরী হয়ে গিয়েছিল, কোন রকমে ফ্রেশ হয়ে অতঃপর গন্তব্য ছিল ইমুর বাসায়। গিয়ে খাবারের আইটেম দেখে চক্ষু স্থির। সব আমার পছন্দের খাবারের আইটেম গুলো চোখের সামনে সাজানো। মুরগির রোস্ট, খাসির রেজালা, সালাদ, সবজি, মাছ ভাজি, বেগুন ভাজি, পোলাও, দই-মিষ্টি।

বলতে গেলে দীর্ঘদিন পরে মামীর বাসায় এসে এই দুপুর বেলা ভরপুর খাওয়া দাওয়া হল। তবে গল্পও বেশ ভালো হয়েছিল, অনেকটা সময় কাটিয়ে দিয়েছিলাম সেখানে। অতঃপর সন্ধ্যা বেলার দিকে, সবাইকে বিদায় জানিয়ে আবারো বাসায় ফিরে এসেছিলাম।

Banner-16.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

 9 months ago 

ভাই দীর্ঘদিন পরে মামা মামির বাসায় গিয়ে দেখছি বেশ জমিয়ে খেয়েছেন। আর সবার সাথে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি ইমু মেডিকেলে চান্স পায় যেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

ধন্যবাদ ভাই, আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য।

 9 months ago 

বর্তমানে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা বেশ কঠিন হয়ে যায়। কারণ প্রতিনিয়ত মানুষকে প্রচন্ড ব্যস্ত থাকতে হয় জীবন জীবিকার তাগিদে। একসময় আত্মীয় স্বজনের বাসায় মানুষ বেড়াতে যেতো কয়েকদিনের জন্য। কিন্তু এসব এখন তেমন একটা দেখা যায় না। যাইহোক আপনার মামাতো ভাই ইমু উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। দোয়া করি সে যেন মেডিকেলে চান্স পায়। শীতের দিন জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করা যায়। আপনারা বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করলেন। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনার মামার বাসায়। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 9 months ago 

এটা সত্য যে, স্বল্প সময়ের জন্য হলেও, আমাদের সময়টা বেশ ভালই কেটেছে মামার বাসায়।

 9 months ago 

হুটহাট এমন দাওয়াত পেলে ভালোই লাগে। যেহেতু ভালো রেজাল্ট করার উপলক্ষে দাওয়াত তাই ভালো হয়েছে। আর মামী যেহেতু মজাদার খাবারই রান্না করেছে আপনি উপভোগ করতে পেরেছেন। ইমু ভাইয়ের জন্য দোয়া রইল যেন মেডিকেলে চান্স পেতে পারে।

 9 months ago 

ইমুর মায়ের সম্পর্কে আগেই জেনেছি আপনার পোষ্ট পড়ে।কিন্তু ইমুর ভালো রেজাল্ট বের হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।অনেক অভিনন্দন ইমুকে,সেই উপলক্ষে আপনারা দাওয়াত খেয়ে দারুণ উপভোগ করেছেন সেটা বোঝাই যাচ্ছে।ভাইয়া, মাছ ভাজির ছবি তুলতে মনে হয় ভুলেই গিয়েছিলেন।যাইহোক ইমুর জন্য শুভকামনা রইলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.17
JST 0.032
BTC 63701.73
ETH 2723.12
USDT 1.00
SBD 2.56