দুটো বছর কেটে গেল
মনে হচ্ছে এই তো সেদিন, ঘুম থেকে ওঠার পরে কমিউনিটির কাজগুলো করতেই মুহূর্তেই গ্রামের বাড়ি থেকে খবর এলো আমার ছোট মা রোড এক্সিডেন্ট করেছে। কথাটা শোনার পরপরই মাথার উপর যেন আকাশ ভেঙ্গে পরল। সঙ্গে সঙ্গে আমার কলিগদের কাছে ব্যাপারটা শেয়ার করলাম। যদিও এসব ব্যাপারে আমার কলিগরা ভীষণ সহযোগিতা পূর্ণ আচরণ বরাবরই করে থাকে। সেবারও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি।
আমাকে বলল আপনি আপনার গ্রামের বাড়িতে যান, আমরা কমিউনিটির কাজ গুলো দেখছি। অতঃপর দ্রুত বেরিয়ে পড়েছিলাম প্রথমত স্থানীয় সরকারি হসপিটালের উদ্দেশ্যে তারপর সেখান থেকে ছোট মার অবস্থা ভীষণ খারাপ ছিল দেখে এখানকার স্থানীয় হাসপাতালে তাকে নেয়নি রেফার করেছিল বগুড়া মেডিকেলে।
যেহেতু রোড এক্সিডেন্ট করে মাথায় আঘাত পেয়েছিল তাই বিষয়টা একটু জটিলতা সম্পন্ন ছিল। কোন মতো অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে বগুড়া মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। তখনও দেখছিলাম ছোট মায়ের নাক মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল, কোন মতো শ্বাস নিচ্ছিল। অক্সিজেন মাস্ক তখনো নাকে লাগানোই ছিল। এভাবেই বগুড়া মেডিকেল ঢোকার আগেই দেখলাম তার শ্বাস নেওয়া হঠাৎই বন্ধ হয়ে গেল। মানে ছোট মার মৃত্যু অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরেই হয়ে গেল, তাও আমার চোখের সামনেই। ঘটনাটা যে কতটা পরিমাণ হৃদয়বিদারক ছিল তা আসলে বলে বোঝানো যাবে না।
থাক সেই সব কথা। তারপর থেকে তো আর গ্রামের বাড়িতে, তেমনটা যাওয়াই হতো না। আজ অনেকটা দিন পরে আমাদের সেই পুরনো গ্রামের বাড়িতে এসেছি, মূলত ছোট মায়ের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে। গ্রামের লোকজনদেরকে দাওয়াত করা হয়েছে ও মিলাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হয়তো এই উপলক্ষে অনেক লোকজন আসবে, তাদের সঙ্গে কথোপকথন হবে। ছোট মার কথাগুলোই বারবার মনে হবে। ব্যাপারটা আসলেই বেশ আবেগপ্রবণ। একটা মানুষ চলে গেলে শুধু তার স্মৃতিই রয়েই যায়। যা বারবার ক্ষণে ক্ষণে মনে পড়ে। আমাদের প্রত্যেককে একটা সময়, পৃথিবীর চলে যেতে হবে। এটা ভীষণ স্বাভাবিক, তবে রোড এক্সিডেন্ট করে মৃত্যু হওয়াটা ভীষণ অনাকাঙ্ক্ষিত। যেটা আসলে কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। এমন দুর্ঘটনা কারো সঙ্গে না ঘটুক, এমনটাই এই দিনে প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
খুবই হৃদয় বিদারক একটা ঘটনা, পড়ে খুবই খারাপ লাগলো।আসলে মানুষের মৃত্যু কিভাবে হবে তা কেউ জানেনা।হঠাৎ মুহূর্তেই সবকিছু বদলে যেতে পারে।আর আপনার চোখের সামনেই তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার বিষয়টা খুবই কষ্টদায়ক। খুবই খারাপ লাগছে বিষয়টা পড়ে।এক্সিডেন্ট কত মানুষের প্রাণ নিয়ে গেছে তা হিসেব করেও শেষ করা যাবে না।দেখতে দেখতে ২বছর হয়ে গেল।
সেই সময় আমারও কিছুই করার ছিল না, কারণ খুবই জটিলতা সম্পন্ন বিষয় হয়ে গিয়েছিল। তবে সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ হোক এমনটাই প্রত্যাশা করি।
দেখতে দেখতে দুটো বছর কিভাবে কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না ভাইয়া। মনে হচ্ছে এই তো সেদিন আপনার ছোট মায়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনেছিলাম। রোড এক্সিডেন্টে তিনি মারা গিয়েছিলেন। আসলে সময় খুব দ্রুত হারিয়ে যায়। চোখের সামনে প্রিয়জনের মৃত্যু দেখলে সত্যি অনেক খারাপ লাগে। যাইহোক ভাইয়া আপনার ছোট মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।
এটা সত্য সময় আসলেই খুব দ্রুত চলে যায় আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গত বছর এমন একটি পোস্ট পড়ে জানতে পেরেছিলাম আপনার ছোট মায়ের কথা।সত্যি এমন রোড এক্সিডেন্ট কারোই কাম্য নয়।আপনার ছোট মায়ের জন্য দোয়া করি আল্লাহ তার আত্মার শান্তি দান করুন,আমিন।
এটা আসলেই সত্য, এমন দুর্ঘটনা কারো জন্যই কাম্য নয় এবং এটা যেন বন্ধ হয় এমনটাই প্রত্যাশা করি।
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1722885087841354231?t=VwNnD3ogKxx6gQwAuRkZLQ&s=19
যার মা নেই তার ভেতরের অবস্থা একমাত্র সে অনুধাবন করতে পারে। আপনার মায়ের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি 🤲
মনকে শান্ত রাখুন, উপর ওয়ালা উত্তম পরিকল্পনাকারী।
সৃষ্টিকর্তা সবার মাকেই শান্তিতে রাখুক, সবার মা ভালো থাকুক এমনটাই প্রত্যাশা আমিও করি।
মানুষ মরণশীল কে কখন কিভাবে মারা যাবে সেটা কেউই জানে না। আসলেই ঘটনাটি দুঃখজনক রোড এক্সিডেন্টে অনেকের মারা যেতে দেখেছি। আপনার ছোট মা তিনি রোড এক্সিডেন্ট এ মারা গিয়েছিলেন তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দারুন একটা আয়োজন করা হয়েছে । সেই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারলাম আপনার পোস্ট পড়ে । অনেকগুলো ফটো শেয়ার করেছেন ভালো লাগলো তার জন্য দোয়া করি সেজন্য জান্নাত পায়।
ধন্যবাদ ভাই আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য। তবে ব্যাপারটা বেশ ব্যথিত করেছিল সেই সময় আমাকে।
পৃথিবীতে থেকে সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে। ছোট মায়ের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খুব সুন্দর আয়োজন করেছেন। মিলাতের মাধ্যমে দোয়া দরুদ পাঠ করলে মৃত ব্যক্তির গুনাহ মাফ হয়। আপনার ছোট মার জন্য দোয়া রইল সৃষ্টিকর্তা যেনো ওনাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন আমীন।
হ্যাঁ ভাই মোটামুটি আয়োজন ভালোই ছিল, অনেক লোকজনকে দাওয়াত করা হয়েছিল এবং মিলাদের ব্যবস্থা ছিল।
আসলে ভাইয়া পৃথিবীতে আমরা কেউ চিরস্থায়ী নয়। মানুষ মরণশীল মানুষের মৃত্যু হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে কিছু কিছু মৃত আসলেও মেনে নেওয়া অনেক কঠিন ব্যাপার। আর যদি নিজের সামনে এভাবে মৃত্যুবরণ করে আপনজন সেটা তো ভুলা সম্ভব নয়। এটা অনেক দুঃখজনক বিষয়। যাইহোই ভাইয়া দেখতে দেখতে দুটি বছর পার হয়ে গেল। দোয়া করি আপনার ছোট মাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনাগুলো প্রায়ই শোনা যায় । সড়ক দুর্ঘটনা অনাকাঙ্খিতভাবে হলেও আসলে মানতেও কষ্ট হয় । দেখতে দেখতে দুটি বছর হয়ে গেল আপনার ছোটমা মারা গিয়েছে । আসলে এভাবেই তো একদিন আমাদের চলে যেতে হবে । তবে শুধু স্মৃতি গুলো রয়ে যাবে আমাদের । তবে আপনার ছোট মার জন্য দোয়া রইল ভাইয়া । আল্লাহতালা যেন উনাকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করেন ।
আসলে সড়ক দুর্ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না, কারণ চোখের সঙ্গে তরতাজা প্রাণ চলে যায় ব্যাপারটা বেশ, ভালোই ব্যথিত করে ভাই।