অবশেষে ফেরার পালা
দীর্ঘ দুই সপ্তাহ গ্রামে থাকার পরে, অবশেষে আজ শহরের বাসায় ফিরে যাচ্ছি । কিভাবে যে এই সময়টা কেটে গেল, তা যেন বুঝতেই পারলাম না। বলতে গেলে অনেকটা মানসিকভাবে ফুরফুরে মেজাজে ছিলাম এই কয়েকটা দিন । ছিল না তেমন হৈ চৈ কিংবা যান্ত্রিক জীবনের ব্যস্ততা।
একদম প্রকৃতির খুব কাছাকাছি ছিলাম, ঘরের জানালা খুললেই দেখা যেত বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ আর বাড়ির অন্য পাশে ছিল আমের বাগান। যান্ত্রিকতার বিন্দুমাত্র কোন ছাপ ছিল না এখানে।
সত্যি কথা বলতে গেলে কি, এই দুই সপ্তাহে সম্ভবত তিন থেকে চার দিন আমি বাহিরে গিয়েছিলাম, তাও সেটা গ্রামের বাজারে। তখনই শুধুমাত্র যানবাহনের শব্দ পেয়েছিলাম। তাছাড়া বাড়িতে যতটা সময় ছিলাম, কোনভাবেই সেসব শব্দ পাওয়া যায় নি। বলতে গেলে বড্ড নিরিবিলি ছিল পরিবেশটা।
বাসায় থেকে যে বই নিয়ে এসেছিলাম, তা প্রায় পড়ে শেষই করে ফেলেছি এই কয়দিনে। আমি মনে করি বই পড়ার জন্য, এমন পরিবেশ অনেকটাই মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও সঙ্গে ছিল আমার একাকীত্ব কাটানোর সঙ্গী উকুলেলে। সেটাও বাজিয়েছিলাম মন মতো।
তাছাড়াও তো ডিসকর্ডে ক্রমাগত টুকটাক আড্ডা লেগেই ছিল। বলতে গেলে, আনন্দের কোন ঘাটতি হয়নি। কেননা এবার ঈদের পর থেকে অনেকগুলো আয়োজন ছিল কমিউনিটি কর্তৃক, বিশেষ করে ঈদ ও বাংলা নববর্ষ কে কেন্দ্র করে ছিল স্পেশাল আয়োজন। সেটাও বাড়তি আনন্দ যুগিয়ে ছিল নিজের ভিতরে।
এতোসবের মাঝেও আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে চেষ্টা করেছিলাম দেখা-সাক্ষাৎ করার জন্য। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছিল তারাই কোনো না কোনোভাবে আমাকে দাওয়াত দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এক্ষেত্রে অবশ্য বেশ ভালই পয়সা খরচা হয়েছিল, কারণ অনেকগুলো আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যেতে হয়েছিল।
তাছাড়াও সালামি প্রদান করতে গিয়ে এবার বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছিল, ইচ্ছে আছে সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে ব্লগ লেখার। তাও চেষ্টা করেছিলাম টুকটাক সবাইকে সালামি দেওয়ার জন্য।
তার পরবর্তীতে তো আবার নববর্ষ এসে গেল, সেই উপলক্ষে এখানে ছোট্ট একটা মেলা লেগেছিল। তবে মেলায় যাওয়ার পরে আমি অনেকটাই হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম, কেননা মেলা হারিয়ে ফেলেছে তার জৌলুশ। যদিও এমনটা টুকটাক মিশ্র অভিজ্ঞতা ছিল, তবে তারপরেও সময়টা আমার বেশ আনন্দেই কেটেছিল।
অবশেষে এবার ফেরার পালা, বিদায় মুহূর্তে এসে কিছুটা আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, কেননা আমি বুঝতে পারছিলাম, বাবুর মা চাচ্ছিল আরো কয়েকটা দিন থাকার জন্য। এজন্যই বাবুর নানী ও আন্টি কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিল। যেতেই যেহেতু হবে, তাই অহেতুক এত পিছুটান বাড়িয়ে লাভ কি।
অবশেষে সবাই কে বিদায় জানিয়ে, গাড়ি তে উঠে পড়লাম।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যান্ত্রিক শহর ছেড়ে মাঝেমধ্যে নিরিবিলি পরিবেশে কয়েকটা দিন থাকতে পারলে বেশ ভালোই লাগে। নিজের মতো করে সময় কাটানো যায়। এটা ঠিক নিরিবিলি পরিবেশে বই পড়তে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। কারণ মনোযোগ সহকারে বই পড়া যায়। ভাই আপনার মতো আমারও একই অবস্থা, দাওয়াত খেতে খেতে আর সালামি দিতে দিতে পকেট ফাঁকা 😂। যাইহোক সবমিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনারা। আশা করি ঠিকঠাক মতো বাসায় পৌঁছাতে পেরেছেন। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার অনুভূতির সঙ্গে দেখি, আমার ব্যাপারটার মিল আছে। তবে আমারটা একটু মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিল, লেখার চেষ্টা করব শীঘ্রই। হ্যাঁ ভাই ভালোভাবেই বাসায় পৌঁছাতে পেরেছি।
দুইটা সপ্তাহ দেখতে দেখতে চলে গেল। যান্ত্রিক শহরের পিছুটান না থাকলে গ্রামেই থেকে যেতেন। আসলে গ্রামীণ পরিবেশই ভালো। এতো হৈ চৈ নেই। কোলাহল পূর্ণ পরিবেশ সবমিলিয়ে উপভোগ করা যায়। এবার ঈদে আসলে দাদার কাছ থেকেই সালামি পেয়েছি। আর বাড়িতে গিয়ে দিতেও হয়েছে কয়েকজনকে সালামি। সবমিলিয়ে এবারের ঈদটা আমারও ভালো কেটেছে। 🌸
এটা সত্য যে, সব মিলিয়ে যদি বলতেই হয়, তাহলে এবারের ঈদ আনন্দ একটু বেশিই ছিল।
আমার কাছে সময় কাটানোর জন্য বই পড়ার চেয়ে ভালো এবং উওম কিছু আর হতে পারে না হয় না। আপনারও দেখছি বই পড়ার বেশ অভ্যাস রয়েছে। গ্রামের ব্যাপার টা এইজন্যই অসাধারণ। একেবারে নিরিবিলি কোন অপ্রয়োজনীয় শব্দ এসে আপনাকে বিরক্ত করবে না হা হা। দারুণ লাগল আপনার অনূভুতি টা। কিন্তু আজ আবার ফিরে যাচ্ছেন ঐ ক্রংক্রিটের যান্ত্রিক শহরে।
বই পড়ার অভ্যাস আমার বহু পুরনো ভাই। এখন আর আগের মতো হয়ে ওঠেনা , তবে আগে প্রচুর বই পড়তাম। আমার কাছেও তেমনটাই মনে হয়, নিরিবিলি পরিবেশ বই পড়ার জন্য একদম সঠিক স্থান।
বেশ ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি পড়ে। সত্যি এই যান্ত্রিক জীবন মানুষকে অনেক সময় বিষন্ন করে তোলে। মাঝেমধ্যে মন চায় একটু নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটানোর। আপনি খুব সুন্দর একটি সময় কাটালেন নিরিবিলি পরিবেশে। জানালার পাশে সবুজ ধানের ক্ষেত এত সুন্দর পরিবেশে অবশ্যই ভালো লাগার কথা। আর ঈদের সময় সালামি দেওয়ার ব্যাপারটা খুবই মজার। আশা করি আপনি এ ব্যাপারে পোস্ট করবেন। আর মেলা তো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বললে চলে। মেলা নেই বললেই চলে। তাছাড়াও মেলাতে যা দেখা যায় খুবই হতাশা জনক ব্যাপার।
এটা সত্য, সালামি দেওয়ার ব্যাপারটা মজার। তবে অতিরিক্ত সালামি দিতে গিয়ে, অবস্থা খারাপ হয়েছে আমার।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া গ্রামে গেলে সময় গুলো যে কিভাবে কেটে যায় বোঝাই যায় না। আপনার মত আমরা বেশ কিছুদিন গ্রামে কোলাহলমুক্ত কাটিয়ে এসেছিলাম। সবুজের মাঝে সময় কাটাতে অসম্ভব ভালো লাগে। তাছাড়া দাওয়াত খেতে গেলে কিছুটাতো খরচাপাতি করতেই হয়। বিদায় বেলায় যখন সবাই বিদায় দিতে আসে সেই সময়টা খুব খারাপ লাগে। ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে।
ভাইরে ভাই বিগত দুই সপ্তাহ দারুণভাবে সময়গুলো উপভোগ করেছেন প্রকৃতির সান্নিধ্যে থেকে কিন্তু আসল মজা পাবেন এখন শহরের জীবনে হি হি হি। গরমের সাথে দারুণ দোস্তি হবে এবার আপনার হা হা হা, গরমে শরম যেন আবার চলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখিয়েন হি হি হি।
যান্ত্রিক জীবন না চাইলেও প্রয়োজনের তাগিদে আমাদের সেই জীবনে ফিরতেই হয়।এতো সব যান্ত্রিকতাকে বাদ দিয়ে চলা যেনো হয় ই না।চমৎকার কিছু অনুভূতি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।ফটোগ্রাফির চমৎকার সবুজ ফসলের মাঠ মুগ্ধ করেছে আমায়।এতো সুন্দর পরিবেশে গেলে সবাইকে অনেক বেশী সতেজ মনে হয়।এটা সুন্দর পরিবেশেরই বৈশিষ্ট্য। ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার কিছু অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
very beautiful scenery