সমসাময়িক ঘটনা আর আমার চিন্তা ভাবনা
মানুষের জীবন আর কচু পাতার উপর জমাট বাঁধা পানির ভিতরে কোন পার্থক্য নেই। মানে ধাক্কা দিলেই কচু পাতার পানি যেমন পড়ে যায়, ঠিক তেমনি ছোটখাটো ধাক্কাতে মানুষের জীবনও চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়।
ধরুন আপনি ঘুমিয়ে গিয়েছেন, চোখ খুললেই সকাল আর না খুললেই বাকিটা বুঝে নিয়েন। তারপরেও আমাদের জীবন নিয়ে এত অহংকার, ফুটানি, ভাব, গর্ব, অন্যকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার স্বভাব, গরীব-ধনীর ব্যবধান তো আছেই। কি একটা অবস্থা তাই না, আর যদি ঘুমিয়ে যাওয়ার পরে চোখটাই আর না খোলে, শ্বাস-প্রশ্বাস যদি আর নিতে না পারেন, তাহলে কি হবে৷
কোথায় যাবে ঐ অহংকার, সবাই তখন আপনাকে মাটি চাপা দিয়ে যেতে পারলেই বাঁচে নতুবা আগুনে পুড়ে ছাই। এটাই সব থেকে চিরন্তন সত্য কথা। যেটা কিছুটা শুনতে অপ্রিয় লাগলেও, এর থেকে বাস্তব কথা আর অন্য কোন কিছু নেই। এই যে এত ভারী ভারী কথাগুলো বললাম, এর পিছনেও কিছু কারণ আছে।
এ শহরে একত্রে এত মানুষ পাশাপাশি থাকে, তারপরেও কেউ যেন কারো সঙ্গে ভুলেও দেখা করতে চায় না কিংবা সবর্দা অজুহাত দিয়ে থাকে সময়ের। কি আজব তাই না, এটা শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্য। আর আজ যখন এই সকালবেলা ভূমিকম্প হয়েছে, তখন সবাই যে যে অবস্থাতেই ছিল, সেই অবস্থাতেই বাসার বাহিরে এসে হা-হুতাশ করা শুরু করে দিয়েছে।
মানে এক কথায়, চাপে পড়লে বা বিপদগ্রস্ত হলেই একজন আরেকজনের শরণাপন্ন হয়। অথচ তার আগে ভুলেও কেউ কাউকে চিনতে চায় না বা জানতে চায় না, সে কি অবস্থাতে আছে। হয়তো মানুষের প্রকৃত স্বভাব এটাই। যাইহোক তারপরেও যখন এরকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলে আসে, তখনই মনে হয় আমরা খোলাসা থেকে বের হই আর নিজেকে পরিবর্তন করার একটু অভিনয় করে থাকি।
যে অভিনয়টা দেখলাম স্বয়ং নিজ চোখে আজ সকাল বেলা। ভূমিকম্পের সময় মুহূর্তেই সব লোকজন বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছে রাস্তায়, তারপর নিজেদের মতো করে আফসোসের কত কথা গুনগুন করে বলছে। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, যে মানুষগুলো একটু আগেই ঘরছাড়া হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিল, আবার মুহূর্তেই যখন সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেল, পরক্ষণই তারা আবার নিজের অবস্থানে ফিরে গেল।
সত্যি বলতে গেলে কি, এটাই আমাদের আসল স্বভাব, বিপদে পড়লেই ছোটাছুটি আর বিপদ কেটে গেলেই, মুহূর্তেই পূর্বের রূপে ফিরে যাই। তারপরেও বলবো, এমন মানসিকতায় পরিবর্তন আনা বড্ড জরুরী।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1730858751123669239?t=CkSGM5rypSs4tRH7cWMRxg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঘুম থেকে না উঠলেই মৃত! অথচ মানুষ যেন এটা ভুলে যাচ্ছে আস্তে আস্তে! মানুষের মাঝে সহযোগিতার মনোভাব হ্রাস পেয়েছে অনেকাংশে। এতো বড় অট্রালিকায় থেকে কি হবে, শেষ ঠিকানা ঐ মাটির ঘর! তবে কেন এতো অহংকার মানুষের। আমাদের দিকে ভূমিকম্পের অনুভূতি পেলাম না। তবে সারাদেশে নাকি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে এমনটাই শুনলাম।
আমি তো জানি সারা দেশেই ভূমিকম্প হয়েছে, তবে আপনাদের ওদিকে হয়নি জেনে একটু বিস্মিত হলাম।
আমাদের দিকেও হয়েছে কিন্তু আমি টের পায়নি ভাইয়া
বেশিরভাগ মানুষের কাছে টাকা থাকলে ভাবে যে আমিই আমি। তখন আর কাউকে পাত্তা দেয় না। মোটকথা সুখে থাকলে কাউকেই চিনে না। কিন্তু যখন বিপদে পরবে,তখন ঠিকই মানুষের শরণাপন্ন হয়। এটাই হচ্ছে বেশিরভাগ মানুষের ক্যারেক্টার। আজকে সকালে আসলেই ভয় পেয়েছে অনেক মানুষ। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। এমন সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই সুবুদ্ধির উদয় হওয়া খুবই জরুরী, ধন্যবাদ ভাই।