হালিমের সফলতা
অহেতুক ব্যস্ততার আলগা ভান ধরার থেকে, আপন কর্মে পরিপূর্ণ ব্যস্ততায় নিজেকে যুক্ত করুন,তাতে নিজেরই মঙ্গল হবে। নিজেকে পরিপক্ক করে গড়ে না তুললে, অন্যজনের কাছে শুধুই মাত্র ব্যবহারযোগ্য টিস্যু হবেন, এর বেশি আর কিছুই না।
সফলতা আকাশ ফেটে পড়ে না রে ভাই, এটার জন্য যেমনটা ভাবতে হয়, তেমনটা গতানুগতিক নিয়মের বাইরে গিয়েও, নিজের সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা গুলোকে ধীরে ধীরে বাস্তবে রূপ দেওয়ার মানসিকতা শুরু থেকেই রাখতে হয়। তাছাড়া জীবনে কিছু পাগলামির দরকার আছে, তা না হলে তো পরিবর্তন আসে না।
হালিমের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল, ২০১৬ সালের দিকে যখন বিদেশ যাওয়ার জন্য দালালের কাছে পয়সা দিয়েছিল, বিদেশ তো যেতেই পারেনি বরং দালালের প্রতারণার খপ্পরে পড়েছিল। অনেকগুলো পয়সা একবারে হারিয়ে অনেকটা দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল উঠতি বয়সী ছেলেটা। তখন আর অহেতুক ভুলভাল সিদ্ধান্তে না জড়িয়ে বরং বিগত সময়ের হোঁচট খাওয়ার ধাক্কা আর হতাশাকে শক্তিতে পরিণত করে,পরবর্তী কর্মকান্ডের জন্য বেশ মুখিয়ে ছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ অনেক ভাবেই সময় অতিবাহিত করে, তবে নিজের ক্যারিয়ার গঠনের জন্য যারা একটু ভিন্নভাবে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে, তারা শুরু হতেই নিজের তৃষ্ণার্ত আত্মাকে সৃজনশীল কাজের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
দেখুন, আগে ভারতের দার্জিলিংয়ে মিষ্টি কমলার চাষ হতো বা এখনো হচ্ছে, চায়নাতেও তো হচ্ছে বহু আগে থেকেই। একটাবার ভেবে দেখুন তো, সেই দার্জিলিং আর চায়নার কমলা যদি নিজের জমিতে চাষ করার সুযোগ হয়, তাহলে কেমন হবে।
তেমনটাই বাস্তবে করে দেখিয়েছে, হালিম। আমাদের বাংলাদেশের এই উত্তরবঙ্গের লালমাটি এলাকায়, তার পরিত্যাক্ত জমিকে চাষ যোগ্য করে, সেখানে সে কমলার বাগান গড়ে তুলেছে। তার যাত্রাটা মোটেও এত সহজ ছিল না, অনেক চড়াই-উতরাই পাড়ি দিতে হয়েছে তাকে। শুরুর দিকে প্রতিনিয়ত প্রচুর কটু কথার স্বীকার হতে হয়েছে তাকে। সেই সমালোচনাগুলো করেছে স্বয়ং তার এলাকাবাসী, আত্মীয়-স্বজন বা নিকটস্থ বন্ধু-বান্ধব।
এতকিছুর পরেও হালিম, হাল ছাড়ার পাত্র না। নিজেকে ভেঙ্গেচুরে প্রমাণ করেছে নিজের অবস্থান থেকে। শুরুতেই সফলতা আসেনি, দীর্ঘ দুই বছর পরে যখন তার প্রথম সফলতা আসলো, তখন এলাকাবাসী বিস্ময়ের চোখে তাকে দেখছিল। তখন আর কারো মুখ দিয়ে কটু কথা বের হয়নি বরং সাধুবাদ জানাতে ব্যস্ত সবাই।
চায়না কিংবা দার্জিলিংয়ের কমলা এখন তার বাগানে প্রতিনিয়ত চাষ হয়। সে তো এখন গর্ব করেই বলে, সেই যাত্রায় যদি বিদেশ চলে যেতাম তাহলে হয়তো আজ এই বাগান করা হয়ে উঠতো না। এখন তার খুব একটা বেশি প্রতারকের উপর অভিমান নেই বললেই চলে বরং প্রতারক, তার নিজের চোখগুলোকে যে খুলে দিয়েছে, এটার জন্যই সে কৃতজ্ঞ।
বেশ ভালোই মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এখন তার বাগানে, অনেকের রুজি-রোজগারের ব্যবস্থা হয় তার বাগান থেকে। প্রতিবেশী-এলাকাবাসী কিংবা বন্ধু-বান্ধব , সবাই এখন তাকে সাধুবাদ জানায়। বলা যায়, তার সাফল্যে সবাই খুশি।
আজ পড়ন্ত বেলায় যখন, তার কমলা বাগানে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল এবং স্বচক্ষে যখন বিষয়গুলো দেখে এসেছিলাম, তখন তার প্রতি আলাদা একটা শ্রদ্ধা কাজ করছিল। কেননা এই পরিবর্তনশীল চিন্তাভাবনার যুবকরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
ভালো থেকো ভাই হালিম,
তোমার জন্য শুভকামনা রইল।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1733397656586903556?t=OJsb4bC7CSaXPRqPdqo2kA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ভাই চেষ্টা কখনো বিফলে যায় না। বিদেশ যাওয়ার জন্য অনেক টাকা ধরা খেয়েছেন তবুও হাল ছেড়ে দেননি সেজন্য আজকের এই সফলতা। আমাদের দেশে অনেক সফল উদ্যোক্তা যারা এই ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং কমলা চাষ শুরু করেছে যেটা অনেক লাভজনক । তারই দৃষ্টান্ত আপনি আজ তুলে ধরলেন। বাগানে দেখছি প্রচুর কমলা ধরেছে লাল টকটকে কমলা গুলো দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে ভাই। সেজন্য হোঁচট খাওয়া মানেই হেরে যাওয়া নয় জয়ের অনীহা থেকে পরাজয় শুরু।
এটা কিন্তু সত্য যে, হোঁচট খাওয়া মানে কিন্তু হেরে যাওয়া নয়। এগিয়ে যাক সবাই এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
সফলতা আসলেই এমনি এমনি আসে না,বরং সফলতা অর্জন করতে হলে বুদ্ধি খাটিয়ে পরিশ্রম করতে হয়। যাইহোক হালিম ভাইয়ের সফলতা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলেই মানুষ অনেক সময় হোঁচট খেয়ে ঘুরে দাঁড়ায়। হালিম ভাই বিদেশ চলে গেলে তো এভাবে সফলতা অর্জন করতে পারতো না। তাই মানুষ বলে যে, আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে। হালিম ভাই এভাবেই অনেক দূর এগিয়ে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা করছি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই, ব্যাপারটিকে সুদৃষ্টিতে গ্রহণ করার জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
আসলে আমরা অহেতুক অযুহাত দিতে পছন্দ করি বেশি! এটা মোটেও ঠিক নয়। বরং নিজের সাথে নিজেরই ক্ষতি। বর্তমান দুনিয়ায় পরিশ্রম না করলে, বুদ্ধি খাটিয়ে না চললে সফলতা আসে না। আমি বিশ্বাস করি পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই! হালিম ভাইয়ের সাফল্যের কথাটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। বিদেশ যাওয়ার টাকা মার খাওয়ার পরেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সমাজের মানুষের কথাও শুনতে হয়েছে। হালিম ভাইয়ের জন্য শুভ কামনা সবসময় 🌼
নিজেকে অজুহাত না দিয়ে, কর্মে মনোযোগী হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
আপনার পোস্ট টি পরে অনেক ভালো লাগলো ভাই। হালিম ভাই অনেক কষ্ট করার পরে তিনি আজকের একজন সফল মানুষ হিসাবে পরিচিত হয়েছে। আসলে প্রতিটা কাজের বেলায় কষ্ট আসবে কিন্তু সেইটা সবাই সয্য বা ধয্য ধারন করতে পারে না। অনেক ভালো থাকবেন ভাই ধন্যবাদ
বাহ্,খুব ভালো লাগলো হালিম ভাইয়ার এই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পটি পড়ে। এতো এতো টাকা নষ্ট,দালালের খপ্পরে পরে ও সে ভেঙে না পরে কমলার চাষ করে নিজেকে এগিয়ে নিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। অনেক কমলাই ধরেছে দেখছি।হালিম ভাইয়া এভাবেই এগিয়ে যাবেন এমনটাই আশাকরি। হালিম ভাইয়ার কমলার বাগানটি খুবই ভালো লাগলো।
হালিম ভাই এগিয়ে যাক, এমন প্রত্যাশা আমি নিজেও ব্যক্ত করি আপু।