উপহার
যেহেতু ডিসেম্বর মাস একদম শেষের দিকে তাই মোটামুটি বলা যায় সকল সরকারি কিংবা বেসরকারি স্কুলে এই সময় বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল দিচ্ছে। এটা বেশ ভালো বিষয়, কেননা বছর শেষে সব ছাত্র-ছাত্রী তারা তাদের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল পেয়ে নতুন ক্লাসের জন্য উত্তীর্ণ হবে, এটা অবশ্যই আনন্দের খবর।
আমার আম্মু দেখছিলাম গত কয়েকদিন থেকেই ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছে। কেননা এই সময় তার প্রচুর চাপ, যেহেতু আম্মু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাই তার এমন ব্যস্ততা এই সময় যাওয়া অস্বাভাবিক কিছুই না।
তার অধীনস্থ অন্যান্য শিক্ষকরাও ভীষণ ব্যস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ফলাফল মূল্যায়নের জন্য। যেহেতু গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল আর একদম এই বছরের শেষের দিকের সময় ছিল, তাই গতকালই ছিল সেই সময় মানে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ফলাফল দেওয়ার দিন।
যেহেতু ফলাফল দেওয়াকে কেন্দ্র করে আম্মুর স্কুলে কিছুটা উৎসব মুখর পরিবেশ কাজ করছিল এবং ছাত্রছাত্রীরা যেমন স্কুলে এসেছে, তেমন আবার ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকরাও এসেছে। বলা যায় অনেকটা মিলন মেলার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছিল সেখানে। তাছাড়াও, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল।
স্কুল কর্তৃপক্ষের একটা বিষয় দেখে বেশ ভালো লেগেছে, তা হচ্ছে তারা ছাত্র-ছাত্রীদের ফলাফল দেওয়ার সঙ্গে তাদের কৃতকর্মের উপর নির্ভর করে সঙ্গে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মানে যারা বেশি ভালো ফলাফল করেছে তাদের ফলজ বা ঔষধি গাছ দিয়েছে আর মোটামুটি ফলাফল যারা করেছে তাদের সকলের জন্য ছিল লেবু গাছ।
দেখা গিয়েছে, সকল ছাত্রছাত্রীর হতে কোন না কোন গাছের চারা ছিলই। এই ব্যাপারটা সত্যিই একটু ব্যতিক্রম ছিল কারণ গতানুগতিক নিয়মের বাহিরে এসে স্কুল কর্তৃপক্ষ এই কাজটা করেছে। হয়তো শুরুতেই ছাত্র-ছাত্রীরা কিংবা তাদের অভিভাবকরা গাছ দেখে কিছুটা অন্যরকম চিন্তাভাবনা করেছিল। তবে যখন এই গাছগুলোর উপকারিতা সম্পর্কে সবাইকে বুঝিয়ে দেওয়া হল, তখন তারা সকলেই বেশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপহার হিসেবে গাছের ব্যাপারটাকে বেশ ভালোভাবে গ্রহণ করেছে।
বর্তমান সময়ে বৃক্ষরোপণ করাটা কতটা জরুরি, তা নিয়ে আমি আর নতুন কিছু বলতে চাই না। যেটা ইতিমধ্যে আপনারা সকলেই অবগত। তাই আমার আম্মুর স্কুলে এবার বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া কে কেন্দ্র করে, তারা ছাত্রছাত্রীদের মাঝে উপহার হিসেবে গাছ দেওয়ার যে ব্যবস্থা করেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক প্রতিনিয়ত ও সর্বত্র। সকলের মানসিকতায় পরিবর্তন আসা বড্ড জরুরি।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1740652777247059997?t=a4NhO0dVAqlknHgmMrjPXA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বর্তমান সময়ে আমাদের উচিত আরো বেশি বেশি পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হওয়া। এবছর যে মারাত্মক গরম গিয়েছে, সাকনে না জানি আর কেমন সময় অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। স্কুলের বাচ্চাদের ফলাফল প্রকাশের দিনে তাদের বাড়তি উপহার হিসেবে গাছ দেয়া হয়েছে- এটি নি:সন্দেহেই বেশ ভালো এবং প্রশংসনীয় উদ্যোগ!
আমার কাছেও ব্যাপারটা বেশ ভালোই লেগেছে আপু।
বাহ্! নিঃসন্দেহে বলা যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ চমৎকার একটি উদ্যোগ নিয়েছে। এতে করে দুই দিক থেকে উপকৃত হবে জাতি। প্রথমত শিক্ষার্থীরা ভালো রেজাল্ট করার জন্য আরও বেশি চেষ্টা করবে এবং দ্বিতীয়ত বৃক্ষ রোপণ করার জন্য মানুষের আগ্রহ আরও বাড়বে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এটার প্রচার করলে, ধীরে ধীরে অন্যান্য স্কুল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও এমন উদ্যোগ গ্রহণ করতে আগ্রহী হবে। আমাদের পরিবেশ বাঁচাতে বৃক্ষ রোপণের কোনো বিকল্প নেই। যাইহোক পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দিন দিন পরিবেশের যে অবস্থা হয়ে যাচ্ছে ভাই, এতে আসলে বৃক্ষরোপণ ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
খুবই চমৎকার একটি উদ্যোগ নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ এটা বলতেই হয়। কারণ ছাত্র সমাজে বৃক্ষরোপণের উপকারিতা জানা জরুরি। যে হারে বৃক্ষনিধন হয় সে হারে বৃক্ষরোপণ হয় না! সবাই গাছ পেয়ে আনন্দিত এটা জেনে ভালো লাগলো 🌼
এটা সত্য যে, সবাই পরিশেষে গাছ পেয়ে বেশ ভালোই আনন্দিত হয়েছিল ভাই।