রবিবারের আড্ডা - পর্ব ৬৬ | জীবনের গল্প - পর্ব ৪
ব্যানার ক্রেডিট @hafizullah
সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের নতুন আয়োজন জীবনের গল্পের শো-তে । মূলত আমরা যেহেতু প্রথম থেকেই বলেছিলাম, রবিবারের আড্ডার কিছুটা ভিন্নতা হবে, ঠিক সেই ভিন্নতার জায়গা থেকেই, এই সংযোজন। মানুষের জীবনে কত গল্পই তো থাকে, কত সুখস্মৃতি থাকে, থাকে পাওয়া না পাওয়ার অভিজ্ঞতা কিংবা হারিয়ে ফেলার তিক্ততা , কিংবা থাকে সফলতার হাজারো গল্প, যা হয়তো অনায়াসেই, অন্য কাউকে অনুপ্রাণিত করে ফেলে মুহূর্তেই। এই গল্পগুলো হয়তো অজানাই থেকে যায়, আমরা আসলে কান পেতে থাকি, এই গল্পগুলো শোনার জন্য। এইজন্য বাংলা ব্লগ আয়োজন করেছে, জীবনের গল্প। যেখানে অতিথি তার নিজের জীবনের গল্প অন্যদের সামনে অনায়াসেই বলে ফেলবে এবং অতিথি নিজের থেকেও বেশ হালকা হবে, সেটা হয়তো মনের দিক থেকে।
আজকের অতিথিঃ @selinasathi1
ভেরিফাইড সদস্যঃ আমার বাংলা ব্লগ
ফেলে আসা জীবন থেকে যদি কিছু কথা স্মৃতিচারণ করতেন।
আমার আসলে প্রথম লেখালেখি শুরু হয় গান লেখার মাধ্যমে। তখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি, তখনই মূলত প্রথম একটা গান লিখেছিলাম সেটা আমার এক পরিচিত ভাই নিয়েছিল এবং বলেছিল আমি নিজের মতো করে সুর করে গান করব। তখন থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম। তাছাড়া সেই সময় আমার কিছু কবিতা পেপারে ছাপা হয়েছিল, আমার এখনো বেশ ভালোভাবে মনে আছে, আমার বাবা সেকি খুশি। পেপারটা বুকে জড়িয়ে একে ওকে দেখাচ্ছিল, বলছিল আমার মেয়ের লেখা। সবচেয়ে আমার লেখালেখির জগতে বাবার অনুপ্রেরণা ছিল অনেক বেশি। আমি মূলত স্বাধীনভাবে খুব একটা বেশি দিন চলতে পারিনি, সিক্সে বার্ষিক পরীক্ষা দেওয়ার পরেই আমার অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে বিয়ে হয়ে যায়। এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার কারণে আমি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাই এবং নিয়মিত স্কুলে যেতে পারতাম না, সব মিলিয়ে আমার জীবনটা অনেকটাই অন্ধকার হয়ে যাচ্ছিল। আমার শাশুড়ি কর্তৃক আমি অনেক ধরনের মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলাম। যেহেতু আমি প্রায় সময়ই অসুস্থ থাকতাম এবং মাঝে মাঝেই হাসপাতলে যাওয়া লাগতো, তাই আমার শাশুড়ি সেই সময় সিয়ামের বাবাকে বলেছিল, ওতো বউয়ের পিছনে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ফকির হয়ে যাবে। এই কথাগুলো আমাকে বেশ কষ্ট দিয়েছিল। তখন থেকেই আমার মনে জেদ চেপে ছিল নিজেকে কিছু করতে হবে। আমি প্রথম পাটকাঠির ব্যবসা শুরু করেছিলাম এবং ভালই লাভ হয়েছিল। পরবর্তীতে আমি আশেপাশের প্রতিবেশীদের উৎসাহ পেয়ে খড়ি তুলেছিলাম, এবং সেখানেও বেশ ভালই লাভ হয়েছিল। যদিও আমার পরবর্তীতে সেই পুঁজির সব টাকা শেষ হয়ে গিয়েছিল আমার বড় দুলাভাইয়ের চিকিৎসা খরচের পিছনে। এভাবেই আমার ইনকাম শুরু হয়েছিল। এরপর আমি ব্লক বাটিকের কাজ শিখলাম, প্রিন্ট ও ডিজাইনের কাজ শিখলাম। বলতে গেলে হাতের কাজগুলো শিখে ফেললাম, এবং সেই শেখা কাজগুলো দিয়ে যা তৈরি করতাম তা আশেপাশের লোকজনই নিতো। এরপরে আমি বীমায় কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। তবে কিছুদিন করার পরে ছেড়ে দিয়েছিলাম, কেননা কাজটা আমার সঙ্গে যাচ্ছিল না। তাছাড়া আমি ছোট থেকেই সঞ্চয় করতাম,যখন যা পেতাম তাই আমার ড্রয়ারে রেখে দিতাম। আমার যেখানে বিয়ে হয়, তাদের বাড়িঘরের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না, আমি ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম, অনেক টাকা ইনকাম করব এবং আমার দু-তলা বাড়ি হবে । সিয়াম যেদিন জন্ম নিলো, সেদিন সিয়ামের বাবা আমাকে একটা ব্যাংক কিনে দিয়েছিল। সেই ব্যাংকে আমি টাকা রেখেছিলাম, মূলত যারা সিয়াম কে দেখতে এসেছিল তারা অনেকেই সিয়ামকে দেখে টাকা দিয়েছিল। অনেকগুলো টাকা হয়েছিল সেখানে, তবে দুঃখের বিষয় সেই ব্যাংকটি আমার হারিয়ে যায় এবং চুরির দায়টাও আমার ঘাড়ে পড়ে। বড্ড কষ্ট পেয়েছিলাম সে সময়। এরপরে তো এভাবেই সময় যাচ্ছিল। এভাবেই বহুটা বছর গড়িয়ে গিয়েছিল, তার পরবর্তীতে তো শিপু আসলো। তবে দিন যত যাচ্ছিল, আমার টাকার প্রচুর দরকার পড়ছিল। কেননা সিয়াম শিপুর পড়াশোনার জন্য। তারপর পরবর্তীতে এক ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়, তার মাধ্যমে মূলত আমি ইলিংকস নামে একটা প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হয়েছিলাম । সেটা ছিল মূলত নেটওয়ার্ক মার্কেটিং। মূলত যারা বাত-ব্যথা প্যারালাইসিস ও বিভিন্ন রোগে ভুগতো তাদের জন্য এই মিরাকেল ব্রেসলেটটি বেশ ভালো কাজ করতো। আমি ব্রেসলেটটি ব্যবহার করে নিজেও উপকার পেয়েছিলাম এবং পরবর্তীতে আমাদের এলাকার প্রভাবশালী লোকজন ও মেয়র সাহেব এর সঙ্গে কথা বলেছিলাম, তারাও আমার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে ব্রেসলেট কিনেছিল। যেহেতু আমি রেফার করতাম, তাই সেখান থেকে আমার কমিশনের ব্যবস্থা ছিল। এভাবেও আমি অনেক ইনকাম করেছিলাম। তবে পরবর্তীতে দু'বছর পরে কোম্পানিটা হারিয়ে যায়। আমি মূলত আমার ইনকামের পয়সা খরচ করেছিলাম আমার ছেলেদের লেখাপড়ার পিছনে। কেননা ছোটবেলায় ওদের পড়াশুনায় বন্ধ হয়ে যেতে ধরেছিল। আমার জেদ ছিল আমার ছেলেদেরকে একদম রাজধানীর বুকে পড়াবো এবং সর্বোচ্চ ডিগ্রি যেন ওরা নেয় সেই ব্যবস্থা আমার পক্ষ থেকে থাকবে। ইলিংকস কোম্পানি হারিয়ে যাওয়ার পরে, আমি কিছুটা বিচলিত হয়ে গিয়েছিলাম। কেননা তখন আমার অর্থের দরকার ছিল, অবশেষে আমি বিউটি পার্লারের কাজ শিখি, চেয়েছিলাম একটা বিউটি পার্লার দেওয়ার জন্য, মানসিকভাবে প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম, তবে একদিন হঠাৎই যখন আমি গভীরভাবে ভাবছিলাম, তখন আমি অবশ্য সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ফেলি। কেননা রূপচর্চা আমার অন্যজন করে দেবে, আমি করতে পারবো না। অবশেষে পরবর্তীতে আমি নিউটেক কোম্পানিতে চাকরি পেয়ে যাই। এটার পিছনে একটা ঘটনা ছিল, ইলিংকস এর যে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিল, সে আমাকে দীর্ঘদিন যাবত থেকে ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে ফলো করে আসছিল, তবে আমি শুরুতে তাকে চিনতে পারিনি। আমার সোশ্যাল ওয়ার্কিং দেখে সে, আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবে ছিল। অবশেষে ঢাকায় আমি তার সঙ্গে দেখা করি এবং তার মাধ্যমেই নিউটেক ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানিতে যুক্ত হই। মূলত নিউটেকে চাকরি করার মাধ্যমেই, আমি আমার সব স্বপ্ন পূরণ করে ফেলি। আমি বাড়ি করি, জায়গা কিনি, গাড়ি কিনি। যদিও পরবর্তীতে করোনাকালীন সময়ে, লকডাউন চলে আসে, তখন ধীরে ধীরে কোম্পানিটির কার্যক্রম হালকা হয়ে পড়ে। নিউটেকে কাজ করতে গিয়ে আমার অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছিল, প্রচুর টাকা ইনকাম করেছি আমি। আমার ছেলেদের দুহাতে টাকা গুনতে দিয়েছে, যেন ওরা পরবর্তীতে অনেক টাকা দেখলে চমকে না ওঠে। এর পরবর্তীতে সিয়াম যখন করোনাকালীন সময়ে স্টিমিটে যুক্ত হয়, তখন আমি ওর কাছ থেকে আগ্রহবশত একটা একাউন্ট খুলে নেই এবং চেষ্টা করি তখন থেকেই লেগে থাকার জন্য। এখানেও প্রচুর চড়াই-উতরাই অতিক্রম করতে হয়েছে, তবে হাল ছাড়িনি। এটা আমার কাছে অনেকটা নেশার মত। যাইহোক এই ছিল আমার জীবনের কিছু টুকরো টুকরো কথা। জীবনে সৎ থাকুন, মিথ্যা পরিহার করুন, কাজ করুন প্রতিনিয়ত, জীবনে অবশ্যই সফলতা আসবে।
অতিথি ও উপস্থিত দর্শকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ।
পুরস্কার বিতরণের সম্পূর্ণ অবদান @rme দাদার
উপস্থিত দর্শক শ্রোতারা বেশ ভালই উপভোগ করেছিল অতিথির জীবনের গল্প। তারা বেশ ভালই প্রশ্ন রেখেছিল এবং উত্তরগুলো খুঁজেও পেয়েছিল, অতিথির গল্পের মাঝে।
সব মিলিয়ে জীবনের গল্প চলছে, একদম দুর্বার গতিতে । পরবর্তীতে আমরা আসছি কিন্তু আপনার দরজায়, আপনি প্রস্তুত তো।
ধন্যবাদ সবাইকে
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
আসলে রবিবারের আড্ডায় আমি আমার জীবনের আনন্দঘন মুহূর্তগুলো তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কথা প্রসঙ্গে অন্য দিকে মোর নিয়েছিল। তবে আমার ব্যাথিত কিছু গল্প শুনে যারা কষ্ট পেয়েছেন তাদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আমার বাংলা ব্লগ এর সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা দাদাকে। এত চমৎকার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য। স্পেশালি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের সকলের প্রিয় শুভ ভাইকে। খুবই চমৎকার ভাবে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করার জন্য। জীবনে যত খারাপ সময়ই আসুক না কেন জাস্ট হাল ছেড়ে দেবেন না। হতাশ হবেন না। লেগে থাকুন বিজয় আপনার হাতে। ধৈর্য ধরুন। ক্ষমা করতে শিখুন। এবং বিনয়ী হন। সফলতা আপনাকে খুঁজে নেবে।
আপনার গল্প শুনে, কেউ আসলে মনে কষ্ট পায়নি। তবে আমি বিশ্বাস করি, সবাই অনুপ্রাণিত হয়েছে। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
গত কালকের রবিবারের আড্ডায় সেলিনা সাথী আপুকে পেয়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। তিনি নিজের জীবনের লড়াইটা আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছিলেন। তিনি সবকিছুর পরেও হাল ছাড়েননি। দুই ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছে, আর সেগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। আসলে প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই খারাপ সময় আসে, তবে সেই মুহূর্তেই হাল ছাড়া একেবারেই উচিত না। সেই সময়টাতে ধৈর্য ধরা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, ধৈর্য ধরলেই তো সফলতা আসবে জীবনে।
রবিবারের আড্ডায় জীবনের গল্প পর্ব ৪ হতে অনেক মোটিভেশন পেয়েছি। সাথী ম্যাডাম এর জীবনের গল্প শুনে আমার খুবই ভালো লেগেছে। তিনি অনেক কষ্টের পরও হাল ছাড়েনি। নিজের চেষ্টায় এবং ধৈর্যের কারণে অবশেষে সফল হতে পেরেছেন। আপনি বুঝিয়ে দিয়েছেন পরিশ্রম, চেষ্টা এবং ধৈর্য কখনো বিফলে যায় না। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি প্রতিষ্ঠাতা দাদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
এটা সত্য যে আপু অনেক কষ্ট করে সফল হয়েছেন, তার জীবনের গল্প থেকে অবশ্যই অনেক কিছু শেখার আছে।
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1779777711424307602?t=91JZT4JwVIXKekjSUCyoew&s=19
জীবনের গল্প শুনতে ভীষণ ভালো লাগে। গতকাল যখন সেলিনা সাথী আপুর কথা গুলো শুনলাম অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কথা গুলো থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। @selinasathi1 আপু আমাদের সাথে জীবনের গল্প শেয়ার করে হয়তো অনেক বেশি খুশি হয়েছে। আমার পছন্দের একজন মানুষ সেলিনা সাথী আপু। অনেক অনেক দোয়া এবং শুভ কামনা রইলো। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চমৎকার একটি উদ্যোগ জীবনের গল্প। আশাকরি সবার কাছে থেকে অনেক কিছু জানতে পারবো। সর্বোপরি অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। সুন্দর করে সবকিছু তুলে ধরার জন্য। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।
সাথী আপু আমারও বেশ পছন্দের মানুষ, তার কবিতা আবৃত্তি শুনতে আমারও বেশ ভালো লাগে ভাই।
গতকাল রবিবারের আড্ডায় থাকতে পেরে সত্যিই আমি বেশ আনন্দিত ছিলাম। কিন্তু সাথী আপুর জীবনের দুঃখময় কিছু গল্প শুনেছিলাম সত্যি আমার কাছে বেশ খারাপ লেগেছিল। নিজের জমানো টাকা হারিয়ে যাওয়ার পরে যদি নিজেকে অপবাদ দেওয়া হয় সত্যি তখন বেশ খারাপ লাগে। তবে সাথী আপুর জীবনে আবার বেশ দারুন ভাবে উত্থানের গল্প শুনেছিলাম সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। সব মিলিয়ে কালকে আড্ডা বেশ জমিয়ে তুলেছিল সাথী আপু।
জীবনে ধাক্কা খেতে হয়, না হলে কেউ উপরে উঠতে পারে না রে ভাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সেলিনা সাথী আপুর মতো অনেক মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে শ্বাশুড়ির মাধ্যমে মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়। তবে উনি আসলেই বেশ সাহসী একজন নারী। জীবনের এতো চড়াই উৎরাই পার করে উনি নিঃসন্দেহে আজকে সফল। উনার জীবন সম্পর্কে জানলে অনেকেই অনুপ্রাণিত হবে বলে আমি মনে করি। যাইহোক এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে উনার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। এই রিপোর্টটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার বাংলা ব্লগের রবিবারের আড্ডা মানেই বিভিন্ন রকম আয়োজন। যদিও এবারের আড্ডায় থাকতে পারিনি।একদিক থেকে ঈদ, অন্য দিক থেকে ব্যস্ততা। সব মিলিয়ে এবার আর থাকা হলো না। তবে আগামীবার আশা করছি মিস হবে না ধন্যবাদ ভাই।
রবিবারে আড্ডায় গল্প শোনাতে আমার কাছে ও অনেক ভালো লাগে। তবে সাথী আপু গল্প শোনে অনেকেই হয়তো সফল হতে পারবে।আসলে কারো জীবনেই সফলতা একবারে আসে না। আর সফলতার জন্য প্রয়োজন চেষ্টা পরিশ্রম আর ধৈর্য্য।যারা এগুলো নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন তারাই জীবনে কিছু করতে পারবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া পুরো রিপোর্ট সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।