অনেকটা সময় চলে গিয়েছে
চোখের সামনেই পাড়ার ছোট ভাই গুলো বড় হয়ে গেল। আসলে জীবন এমনই, হয়তো বহুদিন দেখা ছিল না, ঠিকঠাক সেভাবে কথাও হচ্ছিল না, তাই হয়তো আন্দাজ করে উঠতে পারি নি। এমনটাই হয়, আসলে কর্মব্যস্ত জীবনের মাঝে নিয়োজিত থেকে কতগুলো সময় মুহূর্তেই কেটে গিয়েছে, তা হয়তো এখন কিছুটা হলে উপলব্ধি করতে পারছি।
সেদিন যখন সৌমিক ও লিটন মেসেঞ্জারে দুজনই বার্তা পাঠিয়েছে এবং বিয়ের দাওয়াত দিচ্ছে, তখন আসলে কিছুটা ভ্যাবাচেকা খেয়ে গিয়েছিলাম। যে ছেলে গুলোকে কিছুদিন আগেও উচ্চ মাধ্যমিক বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে শুনেছি, তারা নাকি আজ বিভিন্ন চাকুরীর সঙ্গে নিযুক্ত হয়ে গিয়েছে। সময় গুলো কখন যে কিভাবে চলে গেল, তা যেন বুঝে উঠতেই পারলাম না।
যদিও প্রথমে অবাক লেগেছে, তবে যখন হাতের আঙ্গুলে গুনে দেখলাম সাত-আট বছর বেশ লম্বা সময়, তাই তাদের এমন পরিবর্তন হওয়া নিতান্তই স্বাভাবিক। হয়তো এক্ষেত্রে ব্যর্থতা আমারই কারণ তাদের বিষয়ে দীর্ঘ সময় খোঁজখবর নিতে পারি নি। একটা সময়ের পরে সবারই জীবনে পরিবর্তন আসে, জীবনে ধারাবাহিকতা নিয়ে আসার জন্য হয়তো সবাই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যায়। তারপরে তো আবার সংসারের মায়া। একটা অদ্ভুত জটিল ধাঁধা।
যেহেতু সাত-আট বছর পরে তাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে, তাহলে তারা আর নিতান্তই শৈশবের মতো অবস্থাতে নেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে দুজনের বিয়ে একই মাসে , তারা তাদের নিয়ম রক্ষার্থে আমাকে দাওয়াত করেছে। তবে আমি আসলে কিছুটা সন্দিহান আছি, আদৌ তাদের বিয়েতে উপস্থিত হতে পারব কিনা এটা ভেবে।
নিয়তি বড্ড নিষ্ঠুর, আজ হয়তো চাইলেও অনেক কিছু সেভাবে করে উঠতে পারিনা। নিজের কাছে বারবার অজুহাত দেই, হয়তো তা সময়ের অভাবে। তবে তারপরেও বেশ পিছুটান কাজ করে ফেলে আসা জীবনের প্রতি। কারণ ওদের সঙ্গে একটা সময় আমার সুন্দর মুহূর্ত কেটেছে, সেগুলো তো আর চাইলেও ভুলতে পারিনা। তবে এইভাবে নিজের কাছে অজুহাতে, কত রকম সামাজিক আনুষ্ঠানিকতা থেকে যে দিন দিন দূরে সরে যাচ্ছি, তা আমাকে প্রায়ই ভাবনায় ফেলে দেয়।
ওদের দুজনের জন্যই মঙ্গল কামনা করছি। আমার অনুপস্থিতি কোন কিছুকেই থামিয়ে রাখবে না। সবকিছু নিজস্ব গতিতেই চলবে। আর এইসব ক্ষণিকের ফেলা আসা মুহূর্ত মাঝে মাঝে যখন হুটহাট ভাবতে যাব, তখন নিজেকে বড্ড গুলিয়ে ফেলবো ।
বয়স যে আমার বেড়েই যাচ্ছে, তা যেন আজকাল পারিপার্শ্বিক অবস্থার কথা চিন্তা করলে কিছুটা হলেও অনুমান করতে পারি। শৈশব আসলেই বড্ড সীমিত, মুহূর্তেই তা কেটে যায় আর মাঝে মাঝে শুধুমাত্র নিজেদের আবেগপ্রবণ করে ফেলে। চোখের সামনে ছেলেগুলো বড় হল, আজ আবার তাদের নতুন জীবনের শুরুর পথে, আমাকে অতিথি হিসেবে দাওয়াত দিয়েছে, ভাবা যায় কতগুলো সময় মুহূর্তেই চলে গিয়েছে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1714574939280621974?t=hzNUHfLK_Kso559T3eBFoA&s=19
যখন ছোট ছিলাম তখন বুঝতাম না। জীবন কি? এখন দিনের পর দিন চলে যায়। প্রতিটা মানুষ প্রতিটা জীবন নিয়ে এখন ব্যস্ত কর্মজীবনে। সংসারের মায়া যা অদ্ভুত জটিল ধাঁধা ভাইয়া। বেশ ভালো লাগলো। আমি এখন বুঝতেছি এটাতে যদি আবদ্ধ হওয়া যায় তখন মাথার ভিতরে অন্য চিন্তা ধারণা কাজ করে। সবসময় পরিবারকে খুশি রাখতেই যেন নিজের ভালো থাকা।সময় ভালো সময় খুব দ্রুত চলে যায় ভাইয়া। শৈশব আমরা যখন শৈশবে ছিলাম তখন ভাবতাম যে কবে বড় হব। আজকে বড় হয়ে গেছি এখন আমরা ইচ্ছা করলেও আর শৈশবের ফিরে যেতে পারবো না।বাস্তবতা অনেক কঠিন কিছু কিছু সময় ইচ্ছা থাকলেও নিজেকে গুটিয়ে নিতে হয়। সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি যেন আপনি জীবনটাকে অতিবাহিত করতে পারেন ফ্যামিলি নিয়ে।
সংসারের এই জটিল ধাঁধায় পরেই তো, অনেক কিছু থেকে দূরে সরে যাচ্ছি ।
আসলেই সময় কিভাবে চলে যায় টের পাওয়া যায় না। কর্মব্যস্ততার মধ্যে ডুবে থেকে এক সময়ের কাছের মানুষদের খোঁজখবর রাখার সময়ও হয়ে উঠে না আমাদের। জীবন জীবিকার তাগিদে ছুটাছুটি করতে করতে কাছের মানুষেরা কখন যে দূরে চলে যায়, সেটা উপলব্ধি করা যায় না অনেক সময়,আর এটাই হচ্ছে আমাদের জীবন। যাইহোক চেষ্টা করবেন বিয়েতে উপস্থিত থাকতে। আপনার মনের কথা গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সত্যিই ইচ্ছে আছে বিয়েতে অংশগ্রহণ করার, তবে কি যে হবে তা তো আপাতত বলতে পারছি না।
সাত-আট বছর! তাহলে তো লম্বা একটা সময় গ্যাপ হয়ে গিয়েছে। মজার ব্যাপার হলো আপনার ছোটভাইগুলোকে আপনাকে মনে রেখেছে। ভালো একটা সম্পর্ক হয়েছিল নিশ্চয় ভাইয়া আপনার সাথে। যেহেতু একই মাসে দুজনের বিয়ের দাওয়াত, ব্যস্ততা না থাকলে যেতে পারেন।
আসলেই মজার ব্যাপার, এতদিন পরেও তারা যে আমাকে মনে রেখেছে, এটাই তো অনেক বড় প্রাপ্তি।
একসাথে দুইটি বিয়ের দাওয়াত তাহলে তো ভাইয়া বেশ সুন্দর সুন্দর পোস্ট দেখতে পাবো আমরা আগামীতে।আপনার সাথে অনেক ফ্রেন্ডলি তারা নিশ্চয় এতদিনেও এতো ভালো সম্পর্ক মনে রেখেছে আপনাকে।সময় এই জিনিসটাই বেধে রাখা যায়না।ভালো লেগেছে পোস্টটি।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
দাওয়াত পেয়েছি এটা যেমন সত্য, তেমন দাওয়াতে অংশগ্রহণ করতে পারব কিনা, এটা ভেবে বড্ড সন্দিহান আছি ।