অবশিষ্ট ছবি

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

কয়েক সপ্তাহ আগে দাদুবাড়িতে যে গিয়েছিলাম, সেদিনকার কিছু ছবি ও আমার কাটানো মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে কিছু কথা , সেদিন আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলাম। তবে যেহেতু দীর্ঘ সময় পরে দাদু বাড়িতে গিয়েছিলাম, তাই অনেকগুলো ছবিই তুলেছিলাম মুঠোফোনের মাধ্যমে। তারই কিছু অবশিষ্ট ছবি আজ আপনাদের সঙ্গে আবারো ভাগ করে নিচ্ছি। আশাকরি খুব একটা খারাপ লাগবে না।

20230829_182602-01.jpeg

20230829_182608-01.jpeg

20230829_180020-01.jpeg

20230829_180016-01.jpeg

20230829_181517-01.jpeg

20230829_180141-01.jpeg

20230829_180031-01.jpeg

20230829_180035-01.jpeg

20230829_174728-01.jpeg

20230829_174735-01.jpeg

এই খালে যে ডিঙ্গি নৌকো হালকা ডুবে আছে তা এখানকার স্থানীয় মাঝির। গ্রামের মানুষের এখনো জীবিকা নির্বাহ হয় নদীতে মাছ ধরার মাধ্যমে। মূলত এখনো অনেকে তাদের পুরনো পেশাকে টিকিয়ে রেখেছে। যেহেতু করতোয়া নদী থেকেই এই শাখাটা বের হয়েছে, তাই বর্ষাকালে এই খালে বেশ ভালই পানি থাকে। আর নদীর তীর সংলগ্ন যে সকল মাঝির বাড়ি, তারাই খালের পানিতে নিজেদের নৌকা ভিড়িয়ে রাখে।

যদিও আগের মত আর নদীতে তেমন মাছ পাওয়া যায় না, তবে পুরনো অভ্যাস তো তাই তারা ছাড়তে পারে না। জীবন বড়ই অদ্ভুত, হয়তো তা জায়গা ভেদে। সেদিন যেহেতু দীর্ঘসময় কাটিয়েছিলাম দাদু বাড়িতে, তাই বিকেলের দিকে বাসায় ফেরার পথে আশেপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেশ ভালোই উপভোগ করেছিলাম।

পড়ন্ত বেলায় রক্তিম সূর্য যেন আলাদা রকমের সৌন্দর্য বহন করছিল। নদীর বাঁধের উপর দিয়ে যখন হাঁটছিলাম আর গ্রামীণ জনপদের সাধারণ মানুষ গুলোর সঙ্গে যখন টুকটাক আলাপচারিতা করছিলাম, তখন আসলে খুব একটা সুখকর তথ্য পাইনি। যেহেতু মাছ ধরা কিংবা কৃষি কাজ করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ হয়, তবে এই প্রান্তিক লোক গুলো তাদের মাছের দাম কিংবা জমির ফসলের দাম সেইভাবে পায় না। অনেকটা নামে মাত্র দামে তাদের ছেড়ে দিতে হয়।

আগে এদিকটাতে বেশ ভালই পাট চাষ হতো, তবে দিন যত গড়িয়ে গিয়েছে বাস্তব চিত্র ততটাই পরিবর্তন হয়েছে। এ পরিবর্তনের আসল কারণ কি, সেটা হয়তো আমার আপনার সকলের জানা। তারপরেও আমরা, এই সহজ সরল মানুষগুলোর জন্য যেন কিছুই করতে পারছি না। আসলে প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষের খুব কাছাকাছি না গেলে, পারিপার্শ্বিক অবস্থাতে মানুষের ভিতরে কি চলছে, সেটা কোনোভাবেই বোঝা যায় না।

নদীর বাঁধটার অবস্থাও খুবই শোচনীয়, হয়তো বড় বন্যা হলে যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। তাছাড়াও অবাধ বালু উত্তোলন, এসব তো এখন এখানকার খুবই সাধারণ বিষয়। হয়তো পড়ন্ত বেলায় গ্রামীন সৌন্দর্য সেদিন কিছুটা হলেও উপভোগ করেছি, তবে যখন সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেছি, তখন আসলে দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।

Banner-16.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 11 months ago 

আপনার দাদু বাড়িতে ভ্রমণের পর্ব পড়েছিলাম ভাই। যাইহোক আজকের ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে ভাই। বিকেলে বাসায় ফেরার পথে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। নৌকা এবং রক্তিম সূর্যের ফটোগ্রাফি গুলো সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। বাজারে মাছ এবং সবজি কিনতে গেলে দেখা যায় সব জিনিসের দাম আগুন। কিন্তু কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য পায় না। সব তো খেয়ে ফেলে সিন্ডিকেট। যাইহোক এতো মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর সাবলীল মন্তব্যের জন্য। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

 11 months ago 

পড়ন্ত বেলার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ উপভোগ করেছিলাম। কিন্তু শেষের দিকে গ্রামের মানুষদের দূর্দশার অবস্থা জেনে খারাপ লাগলো। প্রধান জীবিকা যেখানে মাছ চাষ আর কৃষিকাজ কিন্তু ন্যায্য দামটা তারা পায় না। যেখানে তাদের সংসার চলে এসব করেই। খালের বাধেরও ঠিক নেই। বন্যা হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে বেশি। যদি বাধঁ ভেঙে যায় তখন পুরো গ্রামের অবস্থা ভয়াবহ হবে। আসলে সরকারে উচিত এগিয়ে আসা তাদের প্রতি এবং উপযুক্ত সেবা নিশ্চিত করা

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 62856.64
ETH 2425.55
USDT 1.00
SBD 2.67