মেলাতে কিছুসময়
মোটামুটি কয়েকদিন যাবৎ থেকেই রাত্রিবেলা করে ঘুমানোর সময়, দূর থেকে ভেসে আসা কীর্তনের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম। আমাদের বাসায় যে দিদি, গৃহস্থলীর কাজকর্মের জন্য আসে তার মাধ্যমে জানতে পেরেছি, এ শহরের একদম শেষ প্রান্তে কীর্তন উপলক্ষে মেলা বসেছে।
যেহেতু মেলার কথা শুনেছি, তাই কিছুটা দুর্বলতা আমার কাজ করছিল সেখানে যাওয়ার জন্য। অবশেষে আজ বিকেলে সেখানে পরিবার নিয়ে গিয়েছিলাম। মোটামুটি বেশ ভালই সময় কেটেছিল আমাদের সেখানে।
মেলা যেটাকে কেন্দ্র করেই হোক না কেন, সেটা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা নেই। আমার কথা, মেলা হচ্ছে এটাই তো বড় কথা। একটা উৎসব মুখর পরিবেশ সকলের মধ্যেই বিরাজ করছে। নানা বয়সী লোকজন সেখানে এসেছে, সবাই নিজেদের মতো করে ঘোরাফেরা করে সময় কাটাচ্ছে এবং আমিও যুক্ত হয়েছি সেখানে।
বিশেষ করে বাবু, বাবুর মা ও বাবুর আন্টি সকলে মিলে ঘোরাফেরা করে, নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করে, তারপর আবার মেলা উপলক্ষে যে খাবারের দোকানগুলো বসেছে, সেগুলোতে বসে মুখরোচক খাবার খেয়ে যেন পরিতৃপ্তির ঢেকুর তুলছিলাম। আগে যখন ছোট ছিলাম, তখন সেই রকম উত্তেজনা কাজ করতো নিজের মাঝে। তবে দিন যত গড়িয়ে গিয়েছে, সময়ের পরিক্রমায় আজ ততই যেন সবকিছু পানসে লাগে।
বাবু বেশ খুশি হয়েছিল, এমন পরিবেশে ঘোরাফেরা করে। শহুরে বন্দী জীবনে এরকম ব্যবস্থা নেই বললেই চলে, তাই যখন হঠাৎ করেই এমন পরিবেশে গিয়ে আমরা সময় কাটাচ্ছিলাম, তখন ও যেন ভীষণ আনন্দিত হয়েছিল। চতুর্দিকে রংবেরঙের আলোকসজ্জা, ছোট ছোট খেলনার দোকান আর রকমারি খাবার তো আছি। কীর্তন উপলক্ষে বেশ ভালই জমজমাট হয়েছে মেলাটা।
অনেকটা সময় পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়িয়েছি মেলার ভিতরে। তেলে ভাজা খাবার খেয়েছি অনেক, বিশেষ করে গুড়ের ও চিনির জিলাপি। সঙ্গে খেলনাও কিনেছি বাবুর জন্য বেশ কিছু, তাছাড়া বাবুর আম্মু, তার নিজের টুকটাক কেনাকাটা করেছিল সংসারের জন্য। সব মিলিয়ে যদি বলতে হয়, তাহলে বলব দীর্ঘদিন পরে মেলাতে এসে বেশ ভালোই সময় কেটেছে।
মনে হচ্ছিল যেন শৈশবে যেন মুহূর্তেই ফিরে গিয়েছিলাম। তবে মেলা আর আগের মত তেমনটা জমজমাট নেই, বলতে গেলে জৌলুশ হারিয়ে ফেলেছে। তারপরেও যে এই সময়ে এসে, ছিটেফোঁটা টিকে আছে, এটাই তো অনেক কিছু।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
সত্যি ভাইয়া ছোটবেলা মেলায় যাওয়ার আনন্দ ছিল অনেক। তবে এখন মেলা তেমন হয় না বলেই চলে। আসলে এখন একঘেয়েমি জীবনের মধ্যে সবাই সীমাবদ্ধ থাকে। যাইহোক ভাইয়া অনেকদিন পরে মেলায় বেশ সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন নিশ্চয়ই।আর মেলার খাবার গুলো দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। আসলে এমন মুখরোচক খাবার দেখলে জিভে জল চলে আসে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দিন যতই গড়িয়ে গিয়েছে, ততই আমাদের অনুভূতিগুলো যেন নিষ্প্রাণ হয়ে গিয়েছে। তারপরেও সময়টা বেশ ভালই কেটেছে।
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1728676220337025053?t=HLKFcNDHBmsBwkXujCrXVw&s=19
যে কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে এই ধরনের মেলা গ্রামীন পরিবেশে দেখতে পাওয়া যায় । বিকেল বেলা পরিবারকে নিয়ে মেলায় দারুন সময় অনুভূতিভূত করেছেন। বিশেষ করে আপনার বাবুটা খুবই খুশি হয়েছে কারণ অনেক ধরনের খেলনা এবং অনেক মানুষের সমাগম এগুলো দেখলে বাচ্চারা খুবই খুশি হয়। সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত ছিল আপনার।
আসলেই ভাই ছোটবেলায় বাড়ির আশেপাশে মেলা হলে মনের মধ্যে অন্যরকম উত্তেজনা কাজ করতো। এখন যদিও ততটা আনন্দ লাগে না, কিন্তু তবুও মাঝেমধ্যে মেলায় ঘুরাঘুরি করতে বেশ ভালোই লাগে। যাইহোক মেলায় গিয়ে তো অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করলেন এবং কেনাকাটা করলেন। সবমিলিয়ে পরিবার নিয়ে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন ভাই। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সময়টা যে আমাদের ভালই কেটেছে, তা আসলে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বেশ ভালই এনজয় করেছি।
মেলাতে ঘুরাঘুরি করতে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে আপনি বাবু বাবুর আম্মু এবং বাবুর আন্টিসহ সকলেই তো দেখছি মেলায় ঘোরাঘুরি করতে গিয়েছিলেন। অনেকটা পথ পায়ে হেঁটে মেলায় কাটিয়েছেন, মেলায় এরকম ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো ভালো লাগে। ঘোরাঘুরির পাশাপাশি মুখরোচক কিছু খাবার খেয়েছেন এবং সাংসারিক জিনিসপত্র কিনেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। এ ধরনের মেলায় গেলে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
হ্যাঁ মেলায় ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে একটা সময় আসলেই শৈশব স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছিল, কারণ শৈশবের মেলাগুলো ছিল আমাদের কাছে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পরিবারসহ মেলায় গিয়ে বেশ সুন্দর সময় কাটালেন।মেলায় যেতে বেশ ভালোই লাগে।নতুন জিনিসপত্র দেখতে পাওয়া যায় মেলাগুলোতে।এছাড়া অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে মেলায়।ভালো লেগেছে পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এটা সত্য, গতকালের সময়টা পরিবার নিয়ে মেলাতে বেশ ভালই কেটেছে আমাদের।
আসলে ভাইয়া পরিবারের সাথে নিয়ে মিলাতে দারুন সময় উপভোগ করেছেন। সত্যি মেলাতে এই মুহূর্তগুলো উপভোগ করা দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। তবে মেলাতে এগিয়ে সেই পুরনো দিনের কথা আপনার মনে পড়ে গেল, আর আগের মতো আর এখনকার অনুভূতি অনেক পার্থক্য। কারণ দিন যত পেরিয়ে যাচ্ছে ততই যেন আমাদের মনের ভেতরের অনুভূতিগুলো পরিবর্তন হচ্ছে। তবে বাবু অনেক ইনজয় করেছে, আসলে মেলার অনেক সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেলাম। বিশেষ করে ময়ূর পাখার দৃশ্যটি আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে, কারণ আমি একবার মেলা থেকে এই ময়ূর পাখার ডাল কিনে নিয়ে এসেছিলাম।
আমিও ছোটবেলায় ময়ূরের ডাল কিনে নিয়ে আসতাম এবং পাখাগুলো বইয়ের পাতার ভিতরে রেখে দিতাম।
আমিও রাখতাম ভাই,ছোট বেলা এই কাজ গুলো মিলে যান সবার সাথে।
সত্যি ভাইয়া মেলায় গেলে শৈশবের সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়। আর বাবু ঘুরতে অনেক পছন্দ করে আমরা সবাই জানি। তাই তো সে অনেক খুশি হয়েছে। পরিবারের সবার সাথে ঘুরতে গিয়েছেন এবং মেলায় অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
শীতের সময়টাতে মাহফিল আর ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে অনেক জায়গায় মেলা বসবে। এখন পর্যন্ত কোনো জায়গায় যেতে পারেনি। যাক, পরিবারের সবাই মিলে মেলায় দারুণ কিছু সময় পার করেছেন। শায়ান এমন মেলা দেখে খুশি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আসলে মেলায় ছোটদের হরকে রকমের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। আর মজাদার সব খাবার ত আছেই। তবে মেলার আগের ফিলটা এখন পাওয়া যায় না