অতঃপর শেষ হলো
টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গ্রামে আছি, বলতে গেলে এবার গ্রামে এসেছি মূলত ধান মাড়াই এর কাজের জন্য। এই কাজগুলোর সঙ্গে আমি কোন অবস্থাতেই আগে সম্পৃক্ত ছিলাম না। তবে দিন যত পরিবর্তন হচ্ছে, অভিজ্ঞতা যেন প্রতিনিয়ত বেড়েই যাচ্ছে।
যদিও আমি কাজগুলোর তদারকির দায়িত্বে ছিলাম, তাতেই মোটামুটি আমার অবস্থা কিছুটা কাহিল হয়েছিল। তবে আমি বড্ড ভাবছিলাম, যে লোকগুলো শারীরিকভাবে পরিশ্রম করছিলো তাদের কথা। তাদের জীবনের কথা চিন্তা করলেই , আমার হাত-পা গুলো যেন অনেকটা অবশ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছিল।
সেই রোদ-বৃষ্টি-ঝড় সব কিছু একদম উপেক্ষা করে মাঠে গিয়ে ধান কাটা,সেই ধান বাড়িতে নিয়ে এসে মাড়াই করা আবার সেই ধান শুকিয়ে চালে পরিণত করা, এই ব্যাপারগুলো যত সহজে লিখে ফেললাম বাস্তবে ব্যাপারটা এর থেকে ভীষণ কঠিন।
শুধু কঠিন বললেই ভুল হবে বরং অনেক সময় সাপেক্ষ। আবার ন্যায্য মূল্য পাওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক জটিলতা থাকে। যাইহোক যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের বাড়িতে আছি, তাই স্বচক্ষে ব্যাপার গুলো দেখে অনেকটা অভিজ্ঞতা হয়েছে।
অতঃপর এই যে দীর্ঘ সময় ধরে এত কঠিন কার্যক্রম চলছিল,গতকাল মূলত সেটার শেষ দিন ছিল, বলতে গেলে গতকাল ধানগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। মাথা থেকে যেন অনেকটা চাপ কমে গিয়েছে সকলের।
তবে তারপরেও কিছু তিক্ত অনুভূতি তো আছেই, যদি আরেকটু ভালো দামে ধানগুলো বিক্রি করে দেওয়া যেত, তাহলে হয়তো এই তিক্ততার ব্যাপারটা থাকতো না। কেননা এর পেছনে যেমনটা অনেক মানুষের শ্রম আছে, তেমনটা প্রত্যাশাও রয়েছে।
হয়তো নিজেদের জায়গা থেকে চেষ্টা করতে হবে সকলের ইচ্ছেগুলোকে একটু প্রাধান্য দেওয়ার জন্য। কেননা সামনে আবার ঈদ উৎসব আসছে, সেদিকটা নিয়েও কিছুটা ভাবনা চিন্তা রয়েই গিয়েছে। পুরুষ মানুষের জীবনটা আসলে সত্যিই আলাদা, শুধু দায়িত্ব আর দায়িত্ব। তাও যে এতসবের মাঝেও কাজগুলো ঠিকঠাক মত শেষ করে উঠতে পারলাম সবাইকে নিয়ে, দিনশেষে হয়তো এটাই প্রশান্তির বিষয়।
তবে সত্যিকার অর্থে, এবার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা হয়তো মনে থাকবে বহুদিন।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই ধারণা টা আমার মাঝেও কাজ করেছে ভাই। আমি এইরকম কয়েকবার অনুভব করেছি আমি সামান্য পরিশ্রম করলেই ক্লান্ত হয়ে যায় অথচ এই কৃষকরা সারাদিন রোদে বৃষ্টিতে কী পরিশ্রম টাই না করে। পুরুষ মানুষ হলো গাধার মতো ভাই শুধু বোঝা কাঁধে নিয়ে ছুটে চলে। আর এই বোঝা টাকেই ভালো ভাবে দায়িত্ব বলে।
এবারের অভিজ্ঞতা কখনোই ভুলে যাওয়ার মতো না, যা চাক্ষুষ দেখেছি, তা মনে থাকবে বহুদিন।
আসলেই ভাই পুরুষ মানুষের দায়িত্বের শেষ নেই। আর পুরুষ মানুষের কাছ থেকে সবাই এটা সেটা আশা করেই থাকে। যাইহোক একেবারে ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন ভাই। যদিও আমার একেবারেই অভিজ্ঞতা নেই এসব ব্যাপারে। তবে কৃষকেরা আসলেই খুব পরিশ্রম করে। তাদের পরিশ্রমের তুলনায় ইনকাম একেবারেই কম হয়ে যায়। তাইতো দিনদিন অনেকেই কৃষি কাজ ছেড়ে অন্য কোনো পেশায় নিযুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
কৃষকদের জীবনের কথা ভাবলে, একদম যেন শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায় ভাই। আমারও অভিজ্ঞতা হলো এবারই প্রথম। চেষ্টা করছি, জীবনগুলোকে খুব কাছ থেকে দেখার জন্য।
পুরুষ মানুষের জীবনটা আসলেই আলাদা দাদা, শুধু দায়িত্ব আর দায়িত্ব। যাইহোক, ধান কাটা থেকে শুরু করে মাড়াই করে বিক্রি করা, অনেকটাই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তারপরেও আপনি এগুলোর তদারকি করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত ধান বিক্রি করতে পেরেছেন, এটাই ভালো কথা। যদিও দাম আরো একটু বেশি পেলে হয়তো আপনার মনের অবস্থা অন্যরকম হতো।
এটা সত্য দামটা আর একটু ভালো পেলে, আত্মবিশ্বাস আর একটু বাড়তো, কেননা অনেক ব্যাপার জড়িয়ে ছিল এটার পিছনে।
ছোট বেলা থেকে এই সব কাজের সঙ্গে বেশ ভালো ভাবে পরিচিত আর সেই জন্য জানি আসলে এই কাজ গুলোতে কতোটা পরিশ্রম দরকার হয়।মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা পরিশ্রম করেন।তাদের আসলে বিষয়টি এমন হয়েছে যে কাজ করতে করতে নিজেদের মধ্যে এমন দক্ষতার তৈরি হয়েছে তারা আর পরিশ্রম কে ভয় পায় না।
একদম যথার্থ বলেছেন ভাই।
আসলেই ধান বোণা থেকে শুরু করে কাটা, মাড়াই করা, তারপরে আবার সিদ্ধ- শুকানো করে বিক্রি করা পর্যন্ত অনেক পরিশ্রম এর কাজ। তার উপর যদি তা হয় বৃষ্টির সীজনে, তবে তো কথাই নেই, সেই পরিশ্রম বেড়ে যায় আরো কয়েক গুণ! আর যারা এর পেছনে শ্রম দেন, তাদের অবস্থা আসলেই বেশ করুণ হয়ে যায় ভাই। আপনি এবার কাছ থেকে দেখে নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলিতে যুক্ত করেছেন জেনে ভালো লাগলো। শুভকামনা রইলো।