কাশফুল দেখা আর হলো না || @shy-fox 10% beneficiary
বাবু এখন অনেকটাই আগের থেকে সুস্থ আছে । তবে তার শরীরের ঘা এর দাগগুলো এখনো পুরোপুরি মুছে যায়নি । তবে দিন দিন আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছে । যাইহোক গত কয়েকটা দিন ধরে একদম গৃহবন্দী জীবনযাপন করছিলাম । আজকে যেহেতু শুক্রবার ছিল , তাই ভেবেছিলাম বিকেলবেলার সময়টাকে একটু ভিন্ন ভাবে কাটাবো । সেই চিন্তাভাবনা থেকেই মূলত আজকে বাহিরে যাওয়া।
শহর থেকে কিছুটা অদূরে গ্রামীণ এলাকাতে নদীর উপর সুন্দর কাশফুল জন্মেছে । যেহেতু এখন শরৎকাল , তাই মূলত এমন সময় নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে কাশফুলের দেখা পাওয়া ভীষণ স্বাভাবিক । তবে আমরা যারা শহুরে মানুষজন আছি বা যারা প্রতিনিয়ত শহরে বসবাস করছি , তাদের কাছে প্রকৃতির এই রুপরেখা গুলো দেখা, অনেকটাই সৌভাগ্যের মতো ।
গত কয়েকদিন থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে বন্ধু-বান্ধবদের পোস্টে বেশ কিছু কাশফুলের ছোঁয়া লাগানো ছবি দেখেছি । হয়তো ওখান থেকেই আকর্ষণটা বেশি তৈরি হয়েছে । তাই আজকে হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি , কাশফুল দেখতে যাবো নদীর ওপাড়ে । ঠিক এই চিন্তা থেকেই সবাই রেড়িয়ে পড়েছি বাসা থেকে ।
যদিও আমি খুব দ্রুত বের হতে চেয়েছিলাম তবে হীরার সাজুগুজুর কারণে বেশ কিছুটা সময় লেগে গিয়েছিল । তারপরেও বিকেল বেলার দিকে ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গিয়েছিলাম ।
অবশেষে নদীর তীরবর্তী এলাকাতে গিয়ে বেশ ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম । কারণ আমি যেভাবে ভেবেছিলাম , ব্যাপারটা তার একদম বিপরীত । আমি যে শুধু একাই কাশফুল দেখার জন্য আগ্রহ নিয়ে আছি তা কিন্তু না । বলা যায় সেখানে অনেকটাই ভীড় জমেছে লোকজনের কাশফুল দেখাকে কেন্দ্র করে । নদীর পাড়ের উপরে অনেক লোকজন অপেক্ষা করছে , নদীর ওপাড়ে যাওয়ার জন্য ।
আমরা নিজেরাই প্রকৃতির কাছে লজ্জিত । কারণ কাশফুলের সৌন্দর্য্য দেখার জন্য, সেই শহর থেকে ছুটে এসেছি এত দূরে । যদি প্রকৃতিটাকে আরো আগে থেকেই সুন্দরভাবে সজ্জিত করে রাখতাম, তাহলে আজ হয়তো এই ব্যাপারগুলো হাতের নাগালেই পেয়ে যেতাম । ছোট্ট একটা নৌকায় করে এতগুলো মানুষ কিভাবে পাড়ি দিচ্ছে এই নদী , তা ভাবতেই আমার বুকের ভিতরে যেন ধুপ ধুপ করে শব্দ হচ্ছে ।
নদীর ওপাড় থেকে যখন লোকজন বোঝাই করে নৌকাটা চলে আসছিল , তখন আর ইচ্ছা করেই মন টানলো না ঐ অবস্থা দেখে । কারণ এপাড়েও অনেক লোকজন অপেক্ষা করছে ঐপাড়ে যাওয়ার জন্য । আমি যেহেতু পুরো পরিবার নিয়ে গিয়েছি, তাই আর ইচ্ছা করেই নৌকায় উঠলাম না । হুট করে যদি কোন বিপদ হয়ে যায়, তাহলে সেটা নিতান্তই ভালো হবে না ।
গিন্নিকে বুঝিয়ে বললাম, আমাদের আর কাশফুল দেখতে হবে না । এপাড় থেকে যতটুকু দেখেছো সেই সৌন্দর্যটুকু মনে ধারণ করে নিয়েই বাসায় ফেরার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নাও । কারণ এই অবস্থাতে আমি কোনভাবেই তোমাদেরকে নিয়ে নদী পাড়ি দিতে চাই না ।
অবশেষে যখন নৌকাটা ঘাটে এসে পৌঁছালো তখন দেখলাম, যে লোকজন গুলো নদী পাড় হয়েছিল তারা সবগুলোই শহুরে লোকজন । কারণ তারা এপাড়ে গাড়ি রাখার বন্দোবস্ত করে বেশ ঝুঁকি নিয়েই ঐপাড়ে গিয়েছিল । যেকোন সময় বিপদ ঘটে যেতে পারে । দরকার নেই আমার কাশফুল দেখার ।
আজ আর কাশফুল দেখা হলো না । আর এইভাবে এতো লোকের মাঝে , ঐ ছোট্ট একটা নৌকাতে করে নদী পাড়ি দিয়ে আমার কাশফুল দেখার ইচ্ছেও নেই । যদি কখনো সময় সুযোগ হয়, তাহলে হয়তো অন্যদিন একটা ফাঁকা নৌকা নিয়ে গিয়ে দেখে আসব, তবে এইভাবে ভিড়ের মধ্যে গিয়ে নয় ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
নদীর পারে বাড়ী হওয়াতে বেশ সুখে আছি ইচ্ছা হলেই দেখে আসছি কাশফুল।
আসলেই ভাই প্রকৃতির এই ভয়াবহতার কারণ আমরাই।প্রকৃতি যখন সুন্দর কিছু উপহার দেয় তখন আমরা হুমরি খেয়ে পরি আর অন্য সময় প্রকৃতি কে শেষ করতে দিধা করি না।
আসলে আমরাই ভাই প্রকৃতি নষ্টের জন্য একমাত্র দায়ী যার কারণেই প্রকৃতির আজ এই অবস্থা ।
শরতের সৌন্দর্যময় দৃশ্য কাশফুলের মাধ্যমে ফুটে ওঠে আর এই কাশ ফুলের সৌন্দর্য দেখার জন্য আপনি শহর থেকে গ্রামে গিয়েছেন। কিন্তু গ্রামে গিয়ে দেখতে পেলাম ছোট্ট একটি নৌকায় করে হাজার মানুষ পার হচ্ছে। আসলে জীবনে রিক্স নিয়ে যাওয়াটা ঠিক হবেনা। আপনি পরিবার নিয়ে গেছেন একা হলে তাও কথা ছিল। পরিবার নিয়ে এত ভিড়ের মাঝে যাওয়া ঠিক না। কারণ নৌকাডুবি ঘটনা প্রায়ই ঘটে যাচ্ছে। তাই আপনি এপার থেকে যতটুকু সম্ভব দেখলেন তবে আপনি না গিয়ে ভালো কাজ করেছেন। বলে আমি মনে করি।
আমি তেমনটাই ভেবেছি ভাই , যেহেতু পরিবার সঙ্গে ছিল তাই এক হিসাবে না গিয়ে ভালোই করেছি ।
বাহ আপনার বাড়ির পাশেই কাশফুল ব্যাপারটাতো বেশ মজার। আমাকে দেখার জন্য অনেকটাই যেতে হয়েছিল ভাই , তাও তো দেখা হলো না ।
ভাই আমাদের এলাকায় একদিন আসেন আপনার দাওয়াত রইল।
ফেসবুকে কিংবা কোন সোশ্যাল মিডিয়ায় গেলেই দেখা যাচ্ছে কাশফুলের ছড়াছড়ি। সবাই প্রকৃতির সান্নিধ্যে গিয়ে সময় কাটাচ্ছে। বিশেষ করে কাশফুলের সাথের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করছে। সেই কাশফুল গুলো দেখে হয়তো মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে ঘুরতে যেতে। কিন্তু যাওয়া হয়ে ওঠে না। ছোট্ট একটি নৌকার মধ্যে এতগুলো মানুষ উঠেছে দেখে আমার ভয় লাগছিল। আপনারা নদী পার হয়ে যাননি এটা অবশ্যই ভালো কাজ করেছেন। আসলে দুর্ঘটনা কখনো বলে কয়ে আসেনা। যেহেতু শায়ান অনেকটা ছোট তাই বিপদের সম্মুখীন হলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারতো। হয়তো অন্য কোনদিন আবারো কাশফুলের দেখা পাবেন এই প্রত্যাশা করি।
সত্যি বলতে আপু আমি নৌকার ঐ অবস্থা দেখেই ইচ্ছে করেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ফেলেছিলাম।
ঘুরাঘুরি হচ্ছে মনে ঔষুধ ৷ একটু ঘুরাঘুরি করলে মন অনেক ভালো হয় ৷ শরৎ এর কাশ ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে মাঝে মাঝে আমিও বাড়ির পাশে নদীর পাড়ে ঘুরতে যাই ৷ তবে আপনার মতো এতো কষ্ট করতে হয়না ৷ যাই হোক কাঁশ ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেনি এটা জেনে একটু খারপ লাগলো ৷ তবে জীবনের মূল অনেক ৷ বেঁচে থাকলে অনেক সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে ৷ ছোট ওই নৌকায় এতো মানুষের ভীরে পরিবার নিয়ে নদী পাড় হননি একটা সত্যি ভালো কাজ করেছেন ৷
ভাই আসলে নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই নদী পাড়ি দেই নি । তবে ইচ্ছে আছে অন্যদিন যাওয়ার।
একদম সঠিক সিদ্ধান্ত ৷ আনন্দ কখনো কখনো দুঃখের পরিনত করে ৷ সময় থাকলে নিশ্চই কোনো একদিন কাশফুল দেখতে পাবো ৷ তাই বলে কোনো মতেই ঝুকি নিয়ে যাওয়া ঠিক নয় ৷ আপনি বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন৷
আসলে আমি কয়েকদিন আগে একটা নৌকা ডুবির পোষ্ট দিয়েছিলাম ৷ দূর্গাপুজোর আগে যে মহালয়া হয় ৷ আর মহালয়ের দিন আমাদের পঋগড় জেলায় করতোয়া নদীতে বদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া মেলা দেখতে গিয়ে নদী পার হতে নৌকা ডুবে ৭০ জন মারা গেছে ৷ যেটা হয়তো গোটা বাংলাদেশ এমন নৌকা ডুবি ঘটে নি ৷ হয়তো খবরে দেখছেন কী না জানি না ৷
যা হোক সর্বোপরি আপনি যান নি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷ ছবিতে যতগুলো মানুষ উঠেছে ৷ না জানি কোন সময় কি ঘটে ৷
ভালো করেছেন ভাই ৷
ভাইয়া,প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য আমরা যারা শহরে থাকি তারা একটু বেশি আগ্রহ দেখায় কিন্তু অনেক সময় আগ্রহটা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।ভাইয়া, ফটোগ্রাফিতে দেখলাম ছোট একটা নৌকায় করে অনেক মানুষ নদী পার হচ্ছে আর আপনি ঠিক সময় ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ছোট নৌকায় করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে গিয়ে যেকোনো সময় বড় বিপদ ঘটতে পারে না যাওয়া টা ভালো হয়েছে।ভাইয়া,আপনি ঠিক কথা বলেছেন আমরা আমাদের প্রকৃতির সৌন্দর্য নষ্ট করছি। তাই আজকে প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে আসতে হচ্ছে মানুষকে।ভাইয়া, আপনাকে ভাবিকে এবং আমার প্রিয় শায়ান বাবাকে দেখে সত্যিই আমার খুব ভালো লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।।