নাটক রিভিউ-মনে রেখো আমায়||
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আমি @shopon700 🇧🇩 বাংলাদেশ থেকে। নাটক কিংবা মুভি দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই মাঝে মাঝে নাটক দেখে সেই নাটকের রিভিউ শেয়ার করি। আজকেও একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে চলে এসেছি। তো বন্ধুরা চলুন আমার শেয়ার করা নাটক রিভিউ পড়ে নেয়া যাক।
নাম | মনে রেখো আমায় |
---|---|
পরিচালনা | পথিক সাধন |
সম্পাদনা | তাসিন আহমেদ ও রাহাত |
প্রযোজক | নাজমুল হক ভুঁইয়া |
অভিনয়ে | ইয়াশ, কেয়া পায়েল |
দৈর্ঘ্য | ৫৬ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ৪ জুন ২০২৪ |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- ইয়াশ
- কেয়া পায়েল
একটি ছেলে বিদেশ যাওয়ার ইচ্ছে নিয়ে মনের মাঝে অনেক রঙিন স্বপ্ন সাজিয়েছে। পরিবার থেকে তার বিয়ে ঠিক করা হয়েছে তার পছন্দের মানুষের সাথে। ছেলেটির নাম হল মোহন। আর মোহনের সাথে যার বিয়ে ঠিক হয়েছে সেই মেয়েটির নাম রেশমি। রেশমি এবং মোহন একে অপরকে পছন্দ করে। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়। যেহেতু মোহন তার পরিবার পরিজন রেখে বিদেশ চলে যাবে তাই তাড়াতাড়ি তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয় ও তাদের বিয়ে হয়ে যায়।
বিয়ের পর তাদের সময় খুবই ভালো কাটছিল। তারা নিজেরা নিজেদের মতো করে সময় কাটাচ্ছিল। অন্যদিকে মোহনের সময় শেষ হয়ে আসছিল। কারণ কিছুদিন পরেই তাকে চলে যেতে হবে। মোহন এক দালাল চক্রের মাধ্যমে বিদেশে যাবে। তাই কিছুটা রিস্ক আছে। রিস্কের কথা জেনেও সে রাজি হয়েছে। সে চায় তার পরিবার যেন ভালো থাকে। এরপর দেখতে দেখতে বিদেশ যাওয়ার সময় আসে। মোহন চলে যাবে এটা ভেবে রেশমির অনেক মন খারাপ হয়। স্বামীকে বিদায় দেয় রেশমি। মোহন যেহেতু চোরাই পথে বিদেশ যাবে তাই অনেক রিস্ক আছে। প্রথম দিকে মোহন ফোন করে সবাইকে খবর জানাতো সে কোথায় আছে। এরপর ধীরে ধীরে সময় যত যেতে লাগে মোহনের সাথে তাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
মোহনের বাবা-মা আর পরিবারের সবাই খুবই চিন্তায় পরে যায়। তারা কোনোভাবে মোহনের সাথে যোগাযোগ করতে পারছিল না। শেষবার মোহন যখন কথা বলেছিল তখন বলছিল দুই দিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে। এরপর দেখতে দেখতে কয়েকদিন কেটে যায়। কিন্তু মোহন আর পরিবারের কারো সাথে যোগাযোগ করে না। এরপর মোহনের বাবা সেই দালালের সাথে কথা বলে। লোকটি মোহনের বাবাকে বলে তার সাথে যারা গিয়েছিল তারা অনেকেই পৌঁছে গেছে। আর কয়েকজন জলদস্যুদের হাতে আটকা পড়েছে। অনেক মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছে। এটা শোনার পর মোহনের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। সবাই ভেবে নেয় মোহন মারা গেছে।
অন্যদিকে গ্রামের লোকজন মোহনের স্ত্রী এবং তার ভাইয়ের নামে অনেক আজেবাজে কথা বলে। এরপর মোহনের বাবা সিদ্ধান্ত নেন রেশমির সাথে তার ছোট ছেলের বিয়ে দিবেন। এরপর দুজনের বিয়ে হয়ে যায়। ভালোই চলছিল তাদের দিন। রেশমি মা হতে চলেছে। তাদের বাড়িতে খুশির কোন সীমা ছিল না। রেশমি সবকিছু ভুলে নতুন করে জীবন সাজিয়েছে। দিনগুলো ভালো কাটছিল তাদের। কিন্তু এরই মাঝে তাদের জীবনে এক ঝড় আসে। মোহন অনেকদিন পর বাড়িতে ফিরে আসে। মোহনকে দেখে তার বাবা-মা অবাক হয়ে যায়। সে সব ঘটনা খুলে বলে আর বলে সে কিভাবে মৃত্যুর দুয়ার থেকে পালিয়ে এসেছে।
মোহন জীবিত ফিরে আসাতে মোহনের পরিবারের সবাই অন্য রকমের পরিস্থিতির মধ্যে ছিল। কারণ মোহনের স্ত্রীর সাথে তার ছোট ভাইয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। মোহন যখন সবকিছু জানতে পারে তখন খুবই কষ্ট পায়। পাগলের মত ঘুরে বেড়াতে শুরু করে। মোহনের এই অবস্থা দেখে সবাই অনেক কষ্ট পায়। এরপর মোহন নিজের কষ্ট শেষ করে দিতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। মোহন মারা যায়। আর নাটকটির সমাপ্তি ঘটে।
অবৈধ উপায় অবলম্বন করে যারা প্রবাসে যায় তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রবাসে যায়। আমার মনে হয় এই নাটকটির মাধ্যমে সবার মাঝে সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। অবৈধ উপায় অবলম্বন করা একদম উচিত না। একদিকে যেমন নিজের জীবনের ঝুঁকি আছে অন্যদিকে বড় ধরনের কোন বিপদ হতে পারে। তবে মোহনের শেষ পরিণতি দেখে খুবই খারাপ লেগেছে। ছেলেটি তার পরিবারকে ভালো রাখার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবকিছুই হারালো।
🥀ধন্যবাদ সকলকে।🌹
আমি মো: স্বপন । আমি একজন বাংলাদেশী। ব্যক্তিজীবনে আমি আইন পেশার সাথে জড়িত। এছাড়াও ফটোগ্রাফি, পেইন্টিং ও ব্লগিং করা হচ্ছে আমার অন্যতম শখ। আমার স্টিমিট আইডি নাম @shopon700। আমি ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে স্টিমিট ব্লগিং শুরু করি। আমি গর্বিত, কারণ আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড ব্লগার।
আপনি খুব সুন্দর একটি রিভিউ পোস্ট শেয়ার করেছেন।রিভিউ পড়ে নাটকটি দেখার আগ্রহ অনেকটা বেড়ে গেল।সময় করে দেখে নিব নাটকটি।নাটকের গল্পটি ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ সুন্দর রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আজ আপনি এত সুন্দর করে এই নাটকটির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন দেখে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে করতে। যদিও আমার খুব একটা নাটক দেখা হয় না তবে আমার কাছে নাটকের রিভিউ করতে খুব ভালো লাগে। আসলে ব্যস্ততার কারণে এখন আর নাটক দেখতে পারিনা। আপনার আজকের রিভিউটা পড়ে পুরো কাহিনীটা সহজেই জেনে নিতে পারলাম। মনে রেখো আমায় এই নাটকটা আমি অবশ্যই দেখার চেষ্টা করবো সময় পেলে।
অনেক সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে রিভিউ করে দেখিয়েছেন। এমন প্রেমের নাটকগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বেশ চমৎকার কিন্তু এ নাটকটা। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার রিভিউ করা।
নাটকের রিভিউ গুলো দেখতে খুব ভাল লাগে। যেহেতু নাটক দেখার সুযোগ হয় না তাই স্বল্প সময়ের মধ্যে পুরো নাটকটি দেখার সুযোগ হয়ে যায় রিভিউর মাধ্যমে। আপনি সুন্দর স্ক্রিনশটের মাধ্যমে পুরো নাটক রিভিউ দিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
মনে রেখো আমায় নাটক আমি অনেকবার দেখেছি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। নাটকটির প্রথম দিকে অনেক সুন্দর কিন্তু যখন মহান অবৈধ পথে বিদেশ যায় আর সবার সাথে যোগাযোগ না থাকায় এদিকে তার পরিবার অন্যরকম পরিবেশে চলে আসে। কিন্তু মোহন যখন বাড়ি ফিরে আসে তখন তার ছোট ভাইয়ের সাথে তার বউকে দেখে সত্যি অনেক কষ্ট পায়। তবে মহান আত্মহত্যা পথ বেছে নিয়ে ঠিক করে নি। নাটকটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার যদিও এতটা নাটক দেখা হয়ে ওঠে না। তবে ইয়াশ আর কেয়া পায়েলের অভিনয় আমার ভালো লাগে। আজ আপনার নাটকের রিভিউটি পড়ে বুঝতে পারলাম নাটকটি অনেক সুন্দর। ইয়াশ এর জন্য অনেক খারাপ লাগলো। খুব সুন্দর করে নাটকের রিভিউটি আপনি উপস্থাপ করেছেন।
কেয়া পায়েলের নাটক আমি অনেক পছন্দ করি৷ তার সবগুলো নাটক আমি দেখার চেষ্টা করি৷ তবে আজকে যে নাটকের রিভিউ আপনি এখানে শেয়ার করেছেন সেটি আমি এখনো দেখে নিতে পারিনি৷ তবে আপনার এই রিভিউ এর মাধ্যমে নাটকটি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম এবং নাটকের রিভিউ দেখার মাধ্যমে নাটকটি দেখার প্রতি অনেক আগ্রহ জন্ম নিল৷ অবশ্যই সময় করে নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব৷
নাটকের শেষের অংশটি পড়ে খুব খারাপ লাগলো। যাইহোক আপনি খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।নাটক টি এখনো দেখা হয়নি তবে সময় করে দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।