জেনারেল রাইটিং- বেড়ে যাচ্ছে বেকারত্ব||
আসসালামু-আলাইকুম/আদাব।
বন্ধুরা, কেমন আছেন? আমি @shopon700 🇧🇩 বাংলাদেশ থেকে। কয়েকদিন থেকে খুবই ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটছে। তাই গতকাল পোস্ট উপস্থাপন করতে গিয়েও আর সময় করে উঠতে পারিনি। আজকে ভাবলাম সকাল সকাল একটি পোস্ট শেয়ার করবো। আর আজকে আমি "বেড়ে যাচ্ছে বেকারত্ব" এই টপিক নিয়ে কিছু লিখবো। তো বন্ধুরা চলুন আমার এই পোস্ট পড়ে নেয়া যাক।
বেড়ে যাচ্ছে বেকারত্ব:
source
সময়ের সাথে সাথে বেড়ে যাচ্ছে বেকারত্ব। বেকারত্ব এক প্রকারের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেকারত্বের এই সমস্যা সমাজের উপর ভীষণভাবে প্রভাব ফেলেছে। আর বেকারত্বের হতাশা যুব সমাজকে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। একটা সময় দেখতাম পড়াশোনা শেষ করে কিছু না কিছু চাকরি পেয়ে যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে শিক্ষার হার যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি সবার মাঝে বেকারত্বের হার বেড়ে গেছে। অনেক শিক্ষিত যুবক চাকরি না পেয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। হতাশাগ্রস্ত হয়ে এদিকে ওদিকে ছোটাছুটি করছে। চাকরির সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছে সারাক্ষণ।
পড়াশোনা শেষ করার পর যখন সংসারের বোঝা মাথায় নিতে হয় তখন বেকারত্বের ভয়াবহতা সেই যুবকের জীবনটা শেষ করে দেয়। একদিকে দরিদ্র পরিবারের বোঝা মাথায় নিতে হয় অন্যদিকে নিজের উপার্জনের কোন রাস্তা খুঁজে পায় না সেই যুবক। হতাশায় দিন কাটে তার। পরিবারের মানুষগুলো যার উপর ভরসা করে বসে আছে। সেই যুবক যদি পরিবারের পাশে না দাঁড়াতে পারে তাহলে তার মাঝে এক বুক হতাশা নেমে আসে। সেই হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে গিয়ে কখনো কখনো আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় আবার কখনো নিজেকে শক্ত করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে।
যখন একটি সন্তান একটি পরিবার থেকে বেড়ে ওঠে তখন বাবা-মায়ের অনেক স্বপ্ন থাকে। তারা সব সময় স্বপ্ন দেখে তাদের সন্তান পড়াশুনা শেষ করে ভালো চাকরি করবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবে। সেই সাথে পরিবারের দায়িত্ব নিবে। কিন্তু পড়াশোনা শেষ হলেও পরিবারের দায়িত্ব নিতে গিয়ে সেই ছেলেটি যখন অপারগ হয় তখন তার হৃদয় কষ্টে ভরে ওঠে। পড়াশোনা শেষ হয়েছে ঠিকই কিন্তু তার কপালে বেকারত্বের কালিমা এখনো লেগে আছে। বেকারত্বের ভয়াবহতা থেকে সে বেরিয়ে আসতে পারছে না। তখন জীবনটা সত্যি অনেক কঠিন হয়। যারা এই পরিস্থিতিতে পরেছে তারাই শুধু উপলব্ধি করতে পারবে।
আমি আমার চারপাশের এমন অনেক মেধাবীকে দেখেছি যারা পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করে নিজের সংসার চালাতো। কিন্তু পড়াশোনা শেষ হয়ে যাওয়ার পর যখন সংসারের দায়িত্ব বেড়ে যায় তখন সে বুঝতে পারে জীবনের বাস্তবতা। টিউশনির টাকা দিয়ে নিজে চলতে পারে ঠিকই কিন্তু পরিবারের দায়িত্ব নিতে গিয়ে বারবার অক্ষম হয়। বেকারত্বের এই ভয়াবহতার মাঝে একটি মেধাবীর স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে গিয়েও যেমন থেমে যায় তেমনি নিজের জীবনের স্বপ্ন গুলো যখন হারিয়ে যায়। তখন তার জীবনে হতাশা নেমে আসে।
সময়ের সাথে সাথে বেকারত্ব যেমন বেড়ে যাচ্ছে তেমনি যুব সমাজের মাঝে হতাশা বেড়ে যাচ্ছে। আর এই হতাশা একসময় প্রবল আকার ধারণ করে। সবাই যেন এই হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে এবং নিজের বেকারত্ব দূর করতে পারে এই প্রার্থনা করি সব সময়। আমার লেখাগুলো আপনাদের কেমন লেগেছে মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না বন্ধুরা।
🥀ধন্যবাদ সকলকে।🌹
আমি মো: স্বপন । আমি একজন বাংলাদেশী। ব্যক্তিজীবনে আমি আইন পেশার সাথে জড়িত। এছাড়াও ফটোগ্রাফি, পেইন্টিং ও ব্লগিং করা হচ্ছে আমার অন্যতম শখ। আমার স্টিমিট আইডি নাম @shopon700। আমি ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে স্টিমিট ব্লগিং শুরু করি। আমি গর্বিত, কারণ আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড ব্লগার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বর্তমান সময়ে বেকারত্বের হার যে পরিমাণে বেড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাছাড়া একটা স্টুডেন্ট পড়ালেখা শেষ করে যদি মন মত চাকরি খুজে না পায় তাহলে তার হতাশার শেষ থাকে না। তাছাড়া চাকরিতে দুর্নীতির কোন শেষ নেই বর্তমানে। যাইহোক বাস্তবসম্মত একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। পড়ে ভালো লাগলো।
আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার অনেক ভালো লেগেছে জেনে অনেক উৎসাহ পেয়েছি আপু। সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি একদম ঠিক বলছেন ভাইয়া বর্তমান সময়ে বেকারত্বের হার দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তবে চাকরি করার যে প্রত্যাশা আছে সেটা মাথার থেকে ছেড়ে দিতে হবে। কারণ চাকরি করে জব পাওয়া খুবই কষ্টের। তাই মানুষকে বিজনেস করার কিংবা নিজের উদ্যোগে কিছু করার পরিকল্পনা করতে হবে। তাহলে বেকারত্বের হার কমে যাবে। কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে মানুষ আগের জায়গায় ফিরে যাচ্ছে। অথাৎ বেকারত্বের হার বেড়ে যাচ্ছে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু উদ্যোক্তা হলে সহজেই সবাই সফল হতে পারবে এবং বেকারত্ব সমস্যাও দূর হয়ে যাবে। গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন বর্তমান সময়ের বেকারত্বের হার যে পরিমাণ বেড়ে চলেছে বলে বোঝানোর মতো না। চাকরি পাওয়া খুব কষ্টের বিষয় হয়ে গেছে এখন। একজন স্টুডেন্ট পড়াশোনা করে যদি চাকরি না পাই তাহলে তার হতাশার শেষ নাই।বর্তমান সময়ে বিজনেস কিংবা অন্য কিছু করার পরিকল্পনা করতে হবে চাকরির চিন্তা মাথা থেকে দূর করে ফেলতে হবে।
ভাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন। বর্তমান সময়ে শিক্ষার হার যেমন বাড়তেছে বেকারত্ব তেমন বাড়তেছে। শত শত মানুষ পড়ালেখা করে চাকরি না পেয়ে বেকারত্ব জীবন যাপন করতেছে। অথচ তাদের ফ্যামিলি তাদেরকে লেখাপড়া করিয়ে ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখে। আর বেকারত্বের কারণে সেই স্বপ্নগুলো পূরণ হয় না। সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি এবং একেবারে বাস্তবিক কিছু কথা আপনার এই পোস্টের মধ্যে ফুটিয়ে তুলেছেন। আসলে এখন বেকারত্বের হার অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। যারা অনেক পড়াশোনা করেও চাকরি পাচ্ছে না তারা অনেক দুঃখ কষ্টে রয়েছে এবং অনেকেই এর জন্য তাদের জীবনও শেষ করে দিচ্ছে৷ ধন্যবাদ এই সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷